রংপুরে খোলা সয়াবিনের ডাবল সেঞ্চুরি, লাগামহীন নিত্যপণ্য
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
রংপুরে খোলা সয়াবিনের ডাবল সেঞ্চুরি পরিবর্তন নেই সবজির দামে রংপুরে লাগামহীনভাবে বাড়ছে ভোজ্যতেলের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে খোলা সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে কেজিতে ১০-১৫ টাকা। খাসি ও মুরগির দাম অপরিবর্তিত থাকলেও বেপরোয়া গতিতে ছুটছে গরুর মাংসের দাম। এছাড়া সবজির বাজারে সুখবর নেই। বাড়তি দরেই বিক্রি হচ্ছে চাল-ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য।
মঙ্গলবার (১ মার্চ) রংপুর নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল এখন ১৬৮ টাকা ও খোলা সয়াবিন ১৮০ টাকা থেকে বেড়ে ১৯৫-২০০ টাকা এবং বোতলজাত পাঁচ লিটার তেল ৭৯৫-৮০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
তেলের দাম বাড়ার বিষয়ে আমতলা বাজারের ব্যবসায়ী ভুট্টু মিয়া বলেন, কী কারণে দাম বাড়লো তা জানা নেই। বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে তাই সেভাবে বিক্রিও করতে হয়েছে। এদিকে গত সপ্তাহের তুলনায় ব্রয়লার মুরগি ৫-১০ টাকা কমে ১৬০-১৬৫ টাকা, পাকিস্তানি মুরগি আগের মতোই ২৭০-২৮০ টাকা, দেশি মুরগি ৪৪০-৪৫০ টাকা এবং পাকিস্তানি লেয়ার ২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া গরুর মাংস ৬০০ টাকা থেকে বেড়ে ৬৪০-৬৫০ এবং খাসির মাংস ৮৫০-৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
লালবাগ বাজারের মাংস ব্যবসায়ী সোলেমান মিয়া বলেন, হঠাৎ করে বাজারে গরুর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। বাড়তি দামে গরু কেনার কারণে মাংসের দামও বাড়াতে হচ্ছে। এতে করে ক্রেতারা অখুশি হয়ে পড়ছেন।
শাপলা চত্বরের হোটেল ব্যবসায়ী মনিরুল ইসলাম বলেন, আগে এক কেজি গরুর মাংস ৫৬০-৫৮০ টাকায় কিনে রান্না করে ১২০ টাকা বাটি বিক্রি করতাম। এখন বাড়তি দামে কিনে আগের মতোই বিক্রি করতে হচ্ছে। এতে লোকসান হচ্ছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রায় সব ধরনের সবজির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। খুচরা পর্যায়ে কেজি প্রতি টমেটো আগের দামেই ৩০-৩৫ টাকা, গাজর ২৫ টাকা, মটরশুঁটি ১০ টাকা কমে ৭০ টাকা, মুলা ১৫-২০ টাকা, করলা ১১০-১২০ টাকা, ধনিয়া ২০ টাকা, চিকন বেগুন ১০ টাকা কমে ৩০ টাকা, গোল বেগুন ৫০ টাকা, সিম ৩৫-৪০ টাকা, শসা ৫০ টাকা, পেঁপে ২৫ টাকা, লেবু প্রতি হালি ১৫ টাকা, কাঁচামরিচ ৫০ টাকা, শুকনা মরিচ ৩৫০ টাকা, প্রতি পিস বাঁধাকপি ১০-১৫ টাকা, ফুলকপি ১০ টাকা বেড়ে ৩৫ টাকা, লাউ ৪০-৪৫ টাকা, কাঁচকলা হালি ২০-২৫ টাকা, পটল ১০০-১২০ টাকা, সজনে ২০০ টাকা, প্রতি কেজি মিষ্টি আলু ও মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা এবং দেশি পেঁয়াজ ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আদা-রসুন আগের দরেই ৬০-৭০ টাকা এবং ব্রয়লার মুরগির ডিমের হালি খুচরা বাজারে ৩৫-৩৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া খোলা চিনি ৫ টাকা বেড়ে ৮৫ টাকা এবং প্যাকেট চিনি ৮৫ টাকা, মসুর ডাল মাঝারি ১০০ টাকা, চিকন ১২০ টাকা, আটা প্যাকেট ৪২ টাকা ও খোলা ৩৫ টাকা এবং ময়দা ৫৭-৬০ টাকা প্যাকেট বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে খুচরা বাজারে চালের দাম কেজি প্রতি ১-২ টাকা কমেছে। স্বর্ণা (মোটা) ৪৬-৪৮ টাকা থেকে কমে ৪৫-৪৬ টাকা, বিআর২৯ দুই টাকা কমে ৫৫ টাকা, বি২৮ আগের মতোই ৫৮-৬০ টাকা, মিনিকেট ৬৫ টাকা এবং নাজির শাইল ৭৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে মাছের দামে তেমন একটা পরিবর্তন নেই। প্রায়ই অপরিবর্তিত রয়েছে সব ধরণের মাছের দাম।
এসএ/