পোশাক রফতানির আড়ালে ১০ প্রতিষ্ঠানের ৩০০ কোটি টাকা পাচার


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৫:৩২ অপরাহ্ন, ৪ঠা সেপ্টেম্বর ২০২৩


পোশাক রফতানির আড়ালে ১০ প্রতিষ্ঠানের ৩০০ কোটি টাকা পাচার
ফাইল ছবি

তৈরি পোশাক রফতানির আড়ালে ১০টি প্রতিষ্ঠান প্রায় ৩০০ কোটি টাকা পাচার করেছে বলে অভিযোগ করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। ঢাকা ও গাজীপুরের ১০টি রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান  ফ্রান্স, কানাডা, রাশিয়া, স্লোভেনিয়া, পানামাসহ বিভিন্ন দেশে এই অর্থ পাচার করা হয়েছে।


প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- গাজীপুরের পিক্সি নিট ওয়্যারস ও হংকং ফ্যাশনস লিমিটেড, ঢাকার ফ্যাশন ট্রেড, এম ডি এস ফ্যাশন, থ্রি স্ট্রার ট্রেডিং, ফরচুন ফ্যাশন, অনুপম ফ্যাশন ওয়্যার লিমিটেড,  ও ইডেন স্টাইল টেক্স ও সাভারের প্রজ্ঞা ফ্যাশন লিমিটেড।


সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতরের যুগ্ম পরিচালক শাসমুল আরেফিন খান এসব তথ্য জানান। তিনি আরও জানান, রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো বিল অব এক্সপোর্ট জালিয়াতি করে অন্য রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানের ইএক্সপি ব্যবহার করে পণ্য রফতারি করেছে। তারা বিল অব এক্সপোর্টের ২৪ নাম্বার কলামে নমুনার কোড ২০ ব্যবহার করেছে। এক্ষেত্রে কোনো অর্থ দেশে না এসে রফতানির অর্থ বিদেশে পাচার হয়েছে। 


আরও পড়ুন: আবারও বাড়লো এলপিজি গ্যাসের দাম


চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে তৈরি পোশাক পণ্যের চালান বিদেশে রফতানি হচ্ছে, এ কারণে পণ্যমূল্য বা বৈদেশিক মুদ্রা প্রত্যাবাসিত হচ্ছে না— এমন অভিযোগের ভিত্তিতে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর তদন্ত চালায়।


তদন্তকালে ১০টি রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান ১ হাজার ২৩৪টি পণ্য চালানে এমন জালিয়াতি করেছে বলে প্রমাণ মিলেছে। রফতানি করা ১ হাজার ২৩৪টি চালানের বিপরীতে পণ্যের পরিমাণ ৯ হাজার ১২১ টন। অর্থের পরিমাণ প্রায় ৩০০ কোটি টাকা।


আরও পড়ুন: কাল থেকে পেট্রোল পাম্পে তেল সরবরাহ বন্ধ


টি-শার্ট, টপস, লেডিস ড্রেস, ট্রাউজার, বেবি সেট, পোলো শার্ট প্রভৃতি পণ্য সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া, কাতার, সৌদি আরব ও নাইজেরিয়া প্রভৃতি দেশে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে রপ্তানি দেখিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো অর্থপাচার করেছে।


বিভিন্ন সময়ে ১ হাজার ২৩৪টি পণ্যচালানে প্রতিষ্ঠানগুলো এমন জালিয়াতি করেছে বলে তদন্তে উঠে আসে।


জেবি/এসবি