মৌলভীবাজারে পর্যটন স্পটগুলোতে পর্যটকদের ঢল নামছে
উপজেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১২:৪১ অপরাহ্ন, ৩০শে সেপ্টেম্বর ২০২৩
দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া, ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া। একটি ধানের শিষের উপর, একটি শিশির বিন্দু। প্রকৃতি সুন্দর, তা সবাই বিশ্বাস করে। কিন্তু প্রকৃতিকে কাছ থেকে দেখা, প্রকৃতির সঙ্গে একই সুরে গান গাওয়া কয়জনের ভাগ্যে জুটে। জীবনের অন্তিম মুহূর্তে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রকৃতির মাঝে নিজেকে খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করেছেন। প্রকৃতি খুঁজতে বহুদূর যাওয়ার দরকার নাও হতে পারে, কিন্তু যখন প্রকৃতি নিজের বাড়ির আঙিনায় থাকে। বলছি চায়ের রাজধানী খ্যাত মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গল উপজেলার কথা।
টানা ছুটিতে পর্যটকদের উপচেপড়া ভিড়ে মুখরিত মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গল উপজেলার টিলাঘেরা সবুজ চা-বাগান, ও আলীনগর সবুজ চা-বাগান লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী হামিদুর রহমানের স্মৃতিসৌধ, নয়নাভিরাম মাধবপুর লেক, হামহাম জলপ্রপাত, মাগুরছড়া খাসিয়া পুঞ্জি, ডবলছড়া খাসিয়া পুঞ্জিসহ বিভিন্ন পর্যটন স্পটগুলোতে যেন পা ফেলার ঠাঁই নেই।
এদিকে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের টিকিট কাউন্টার থেকে জানা যায়, শুধু শুক্রবার কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান থেকে সরকারের রাজস্ব আদায় হয়েছে প্রায় ৭১ হাজার টাকা। অন্যদিকে ঈদে পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য কমলগঞ্জ থানার ওসি সঞ্জয় চক্রবর্তীর নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল সকাল থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত প্রতিটি জায়গায় টহল দিচ্ছে।
গত বৃহস্পতিবার থেকে আজ শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত মাধবপুর লেক ও লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে দেখা মিলে দূর-দূরান্ত থেকে আগত পর্যটকদের। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার এবং শনিবার লোকজনের উপস্থিতি ছিল অন্য বছরের তুলনায় অনেকটাই বেশি। ঝরনার যৌবন হলো বর্ষাকাল। বর্ষাকালে প্রচণ্ড ব্যাপ্তিতে জলধারা গড়িয়ে পড়ে। শীতে তা মিইয়ে মাত্র একটি ঝরনাধারায় এসে ঠেকে। ঝরনার ঝরে পড়া পানি জঙ্গলের ভেতর দিয়ে ছড়া তৈরি করে বয়ে চলেছে।
লাউয়াছড়ায় জাতীয় উদ্যানে ঘুরতে যান ঢাকা থেকে জাহিদ চৌধুরী, ঢাকা নরসিংদীর গার্মেন্স কর্মী মনি বেগম, শায়েস্তাগঞ্জের কলেজছাত্র অভি, সিলেটের এমসি কলেজের ছাত্রী প্রিয়াঙ্কা ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ব বিদ্যালয়ের মিনারা খাতুন। তারা জানান, কমলগঞ্জের লাউয়াছড়ার বন একটি সমৃদ্ধ বন। প্রাকৃতিক অপরূপ সৌন্দর্য আর জীববৈচিত্র্যে ভরপুর এই বনটি যে কেউ দেখলে মন জুড়িয়ে যাবে।
বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের লাউয়াছড়া রেঞ্জ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান, অন্য সময়ের তুলনায় এবার বেশি পর্যটকের সমাগম ঘটেছে।
জেবি/এসবি