গাজায় ইসরাইলি সেনাদের অতি বলপ্রয়োগে বাংলাদেশের নিন্দা


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৭:১৭ অপরাহ্ন, ১৫ই অক্টোবর ২০২৩


গাজায় ইসরাইলি সেনাদের অতি বলপ্রয়োগে বাংলাদেশের নিন্দা
ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি সেনাদের অতিরিক্ত অসম বলপ্রয়োগের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ।


রবিবার (১৫ অক্টোবর) এক  বিবৃতিতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ নিন্দা জানায়।


পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, বিপর্যয় রোধে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় মানবিক সহায়তার অনুমোদনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।


মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তি ও ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাত নিরসনে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবের ওপর ভিত্তি করে ‘দ্বি-রাষ্ট্রীয়’ তত্ত্বের ভিত্তিতে কাজ করতে বিশ্ব সম্প্রদায়কে আহ্বান জানানো হয়।


এর আগে  পররাষ্ট্রন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ঢাকায় নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রমাদান।


শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) সকালে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গাজা শহর থেকে সব বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপদে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয় ইসরাইল। তবে বাসিন্দারা বাড়িঘর ছেড়ে যেতে অস্বীকৃতি জানান।



আরও পড়ুন: ইসরাইলকে ‘কাঁপিয়ে’ দেয়ার হুমকি ইরানের


এ বিষয়ে হামাস জানিয়েছে, তারা শেষ রক্ত বিন্দু দিয়ে হলেও লড়াই চালিয়ে যাবে। হামাসের রাজনৈতিক ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ব্যুরোর প্রধান বাসেম নাইম বলেন, আমাদের কাছে দুটি বিকল্প আছে। হয় এই দখলদারিত্বকে পরাস্ত করব, নতুবা বাড়িতেই প্রাণ দেব। আমরা গাজা ছেড়ে কোথাও যাচ্ছি না।


পরে ওই দিন অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় স্থল অভিযান শুরু করে ইসরাইলি বাহিনী। পদাতিক বাহিনী ও ট্যাংক গাজা উপত্যকায় প্রবেশ করেছে বলে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়।


আরও পড়ুন: একদিনে গাজায় নিহত ৩০০


প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলে নজিরবিহীন হামলা চালায় হামাস। এই হামলায় ইসরাইলে নিহত হয়েছেন এক হাজার ৩০০ জন। এ ঘটনায় ইসরাইলের ১৫০ জন নাগরিককে বন্দি করেছে হামাস। তাদের গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এর জবাবে গাজার শাসক গোষ্ঠীটিকে ‘মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়ার’ প্রতিজ্ঞা করে পাল্টা অভিযান শুরু করে ইসরাইল।


চলমান সংঘাতে ৬  দিনে গাজায় ছয় হাজার বোমা নিক্ষেপ করেছে ইসরাইল। ইসরাইলি সেনাবাহিনীর হামলায় ইতোমধ্যে গাজায় এক হাজার ৯শ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৬১৪ শিশু ও ৩৭০ জন নারী রয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ৬ হাজার ৬১২ জন।


জেবি/এসবি