৭ শিক্ষক থেকে ১ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা ফিরিয়ে আনলো কুবি প্রশাসন


Janobani

ক্যাম্পাস প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৯:০৪ অপরাহ্ন, ৬ই নভেম্বর ২০২৩


৭ শিক্ষক থেকে ১ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা ফিরিয়ে আনলো কুবি প্রশাসন
ছবি: সংগৃহীত

শিক্ষা ছুটি শেষ হওয়ার পরও কর্মস্থলে না যোগদান করায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ৭ জন  শিক্ষক থেকে প্রথমবারের মত শিক্ষা ছুটিতে থাকাকালীন ভোগ করা বেতন-ভাতার টাকা ফেরত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ফেরত পাওয়া অর্থের পরিমাণ ১ কোটি ৩৭ লক্ষ ৬৭ হাজার ৭০৮ টাকা।


বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তর সূত্রে জানা যায়, শিক্ষা ছুটি শেষে কর্মস্থলে না ফেরার ৭জন শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাপ্ত অর্থ ফেরত দিয়েছে। ফেরত দেওয়া অর্থের পরিমাণ হলো ১ কোটি ৩৫ লক্ষ ৬৭ হাজার ৭০৮ টাকা।  অর্থ ফেরত দেয়া সাত জন শিক্ষক হলেন- পরিসংখ্যান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মিজানুর রহমান, কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাদিয়া সুলতানা, লোকপ্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আফরোজা হক, কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আবুল বাসার, আইসিটি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক খোন্দকার ফিদা হাসান, কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং  বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কামরুল হাসান রঞ্জু ও গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সুমি আক্তার। তবে মোট কতজন শিক্ষক দেশে ফেরেননি এই তথ্য নিশ্চিত হওয়া যায়নি।


আইন অনুযায়ী, বিদেশে যাওয়া শিক্ষকরা বৈতনিক, অবৈতনিকসহ বিভিন্নভাবে সর্বোচ্চ চার বছর পর্যন্ত ছুটি নিতে পারেন। এসময় কারও ডিগ্রি বা গবেষণা শেষ না হলে আরও দুই বছরের অবৈতনিক ছুটি দেওয়া হয়। তবে নিয়ম হলো- চার বছর ছুটি ভোগের পর দেশে ফিরে কাজে যোগদান করতে হবে। এরপর আবেদন করতে হবে দুই বছরের জন্য ছুটির। এছাড়া চার বা ছয় বছর ছুটি ভোগের পর কেউ যদি পদত্যাগ করতে চান, তাহলে তাকে ছুটির সময় নেওয়া অর্থ ফেরত দিতে হয়। অথবা সমপরিমাণ সময় চাকরি করার পর নিতে হয় অব্যাহতি।


বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আমিরুল হক চৌধুরী বলেন, 'আমরা আপাতত ৭ জন শিক্ষকের কাছে থেকে টাকা উদ্বার করতে পেরেছি। আরো কয়েকজন শিক্ষক থেকে টাকা উদ্বার করা বাকি। আমরা শীঘ্রই পুরো কাজ সম্পূর্ন করতে পারবো বলে আশাবাদী।'


এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন,  ' বিদেশে গিয়ে যারা কর্মস্থলে যোগদান করেননি তাদের নৈতিক দায়িত্ব হচ্ছে আইন অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাপ্য টাকা বুঝিয়ে দিয়ে চাকরি ছেড়ে দেওয়া। কিন্তু বিগত সময়ে সেরকম না হওয়ায় আমি আসার পর থেকেই আমি এ ব্যাপারে উদ্যোগ নিয়েছি। এখন পর্যন্ত ৭ জন শিক্ষক টাকা পরিশোধ করেছে। আরো যারা বাইরে গিয়ে চাকরিতে যোগদান করেননি তাদের সাথেও যোগাযোগের চেষ্টা চলছে। 


তিনি আরো বলেন, 'বিদেশে গিয়ে না ফেরার ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ে টাকার যেমন অপচয় হচ্ছে তেমনি শিক্ষক সংকট তৈরি হয়েছে। তাই এসব বিষয়ে আমরা কাজ করছি।'


আরএক্স/