পাকিস্তান ক্রিকেটের নতুন দায়িত্বে মোহাম্মদ হাফিজ

চলমান ভারত বিশ্বকাপে চরম ব্যর্থতার পর পাকিস্তানের ক্রিকেটকে নতুন করে ঢেলে সাজানো হচ্ছে।পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড, কোচ ও অধিনায়ক পদে আনা হয়েছে ব্যাপক পরির্বতন। ইতি মধ্যেই সব ফরম্যাটের অধিনায়কত্ব ছেড়েছেন বাবর আজম, এরপর পরই নানা পদে নতুন করে দায়িত্ব দেওয়া নিয়ে কাজ শুরু করে পাকস্তিান ক্রিকেট বোর্ড । সে ধারাবাহিকতায় নতুন করে ক্রিকেট বের্ডের পরিচালক পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সাবেক ক্রিকেটার মোহাম্মদ হাফিজকে। আবার তাকে প্রধান কোচের দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে। এদিকে ৪৩ বছর বয়সী এই সাবেক অলরাউন্ডারকে দেখা যাবে পাকিস্তানের পরবর্তী অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড সফরে।

আগামী ডিসেম্বরে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ এবং কিউইদের সঙ্গে জানুয়ারিতে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে পাকিস্তান ক্রিকেটদল। ওই সিরিজেই দলকে কোচিং করাবেন নতুন কোচ মোহাম্মদ হাফিজ। এরপরই হয়তো এই দায়িত্বকে নতুন কাউকে আবারো দেখা যেতে পারে। তবে তখনও বোর্ড পরিচালক হিসেবেই থাকবেন মোহাম্মদ হাফিজ।

পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, ভবিষ্যতে দলের পরিচালক ও প্রধান কোচের দায়িত্ব একজনকেই দেওয়া হবে। সেই সিদ্ধান্তের কারণ হিসেবে তারা ডিসেম্বরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ এবং জানুয়ারিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য প্রধান কোচ করেছে সাবেক এই অলরাউন্ডারকে। যদিও এর আগে তার কোনো দলের কোচিংয়ের অভিজ্ঞতা নেই।

পাকিস্তানের জাতীয় দলের হয়ে সর্বশেষ ২০২১ সালে খেলেছিলেন সাবেক এই অলরাউন্ডার। এবার তারই হাত ধরে পাকিস্তান চলমান বিশ্বকাপের ব্যর্থতা ভুলে আবার নতুন করে যাত্রা শুরু করতে চায়। আসন্ন দুটি সিরিজের আগে পাকিস্তানের দুই ফরম্যাটে নতুন অধিনায়ক ঘোষণা করা হয়েছে। আর টেস্ট দলের নতুন নেতৃত্বের ভার দেওয়া হয়েছে শান মাসুদকে। আর টি-টোয়েন্টির অধিনায়কত্ব পেয়েছেন তারকা পেসার খ্যাত শাহিন আফ্রিদি। তবে এখনও ওডিআই ফরম্যাটে দলের অধিনায়ক করা হয়নি কাউকেই। এদিকে বেশকিছুদিন ধরেই বাবর আজম  তিন ফরম্যাটেই পাকিস্তান দলের নেতৃত্বভার সামলে আসছিলেন।

চলমান বিশ্বকাপের আর মাত্র একটি ম্যাচই বাকি। স্বাগতিক ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার শিরোপা জেতার এই ম্যাচের মধ্যদিয়ে ত্রয়োদশ আসরের পর্দা নামবে এবার। চলমান বিশ্বকাপে শিরোপা জেতার প্রতিশ্রুতি নিয়ে গেলেও পাকিস্তান বিদায় নিয়েছে সেরা চারের আগেই। ১৯৯২ সালের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা ৯ ম্যাচের মাত্র ৪টি ম্যাচেই জয়পায়,বাকি ম্যাচগুলোতে লজ্জার পরাজয় বরণ করতে হয়। দেশে ফিরেই বাবর  অধিনায়কত্ব এবং মরনে মরকেল বোলিং কোচের দায়িত্ব ছাড়েন। এছাড়া সরিয়ে দেওয়া হয়েছে ক্রিকেট ডিরেক্টর পদ থেকে মিকি আর্থার, প্রধান কোচের পদ থেকে গ্র্যান্ট ব্র্যাডবার্নকে।অন্যদিকে বিশ্বকাপ চলাকালে প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব ছাড়া ইনজামাম-উল-হকের পদে অভিসিক্ত হয়েছেন সাবেক পেসার ওয়াহাব রিয়াজ।