সু-স্বাগতম ইংরেজি নববর্ষ ২০২২


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


সু-স্বাগতম ইংরেজি নববর্ষ ২০২২

মহাকালে বিলীন আরও একটি বছর। বিদায় ২০২১। ঘড়ির কাঁটা রাত ১২টার ঘর স্পর্শ করতেই সব দুঃখ-বেদনা ভুলে সারাবিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশও বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বরণ করেছে নতুন বছরকে। স্বাগতম ২০২২।সময় বহমান স্রোতের মতো। সময়কে কখনো বেঁধে রাখা যায় না। তাই একের পর এক পঞ্জিকার পাতা উল্টে চলে যায় দিন, মাস, বছর, যুগের পর যুগ। কালের পরিক্রমায় এভাবেই দিনপঞ্জির পাতা উল্টাতে উল্টাতে দোরগোড়ায় হাজির হলো নতুন আরো একটি বছর। ২০২২ খ্রিস্টাব্দ। শুভ ইংরেজি নববর্ষ! 

পৃথিবীর প্রায় সব দেশে উৎসবের মেজাজে সাড়ম্বরে পালিত হয়ে থাকে। কিছু জাতি যেমন চীনা, ইহুদি, মুসলমান প্রভৃতির মধ্যে নিজ নিজ ক্যালেন্ডার অনুসারে নববর্ষ পালন করতে দেখা যায়।যেসব দেশে গ্রেগোরিয়ান ক্যালেন্ডার ব্যবহার করা হয়, তারা সাধারণত নববর্ষ ১ জানুয়ারিতে পালন করে থাকে। ঐতিহাসিকভাবে, রোমান ক্যালেন্ডারে নতুন বর্ষ শুরু হতো ১ মার্চ থেকে। এর প্রভাব বছরের কয়েকটা মাসের ওপর দেখা যায়। ল্যাটিন ভাষায় সেপ্টেম্বরের অর্থ হচ্ছে সাত, অক্টোবর আট, নভেম্বর নয় এবং ডিসেম্বর দশ।সেই সময় রোমান সরকারের নতুন অধিবেশন শুরু হতো জানুয়ারি মাস থেকে। জুলিয়াস সিজার খ্রিস্টপূর্ব ৪৭ সালে এ ক্যালেন্ডারে পরিবর্তন ঘটিয়ে জুলিয়ান ক্যালেন্ডারের সৃষ্টি করেন। এতে খ্রিস্টপূর্ব ৪৪ সালে মার্ক অ্যান্টোনির কনসুল এক দফা পরিবর্তন ঘটানোর পর খ্রিস্টপূর্ব ৮ সালে এম্পরর অপাসটাস সিজার আরেক দফা পরিবর্তন ঘটান। 

সর্বশেষ পোপ ১৩তম গ্রেগোরি ১৫৮২ সালে এই ক্যালেন্ডারে পরিবর্তন ঘটিয়ে এর বর্তমান কাঠামোতে নিয়ে আসেন।এ পরিবর্তিত ক্যালেন্ডারে নতুন বর্ষের শুরু হয় ১ জানুয়ারি।১ জানুয়ারি ইংরেজি নববর্ষ, আজ যা সাড়ম্বরে পালিত হয়ে থাকে, দুই হাজার বছর আগেও কিন্তু এমনটি ছিল না। এমনকি দিন-তারিখ বছরও। ফিরে দেখা যায় সেসব ইতিহাস।মধ্য আমেরিকার মেক্সিকোতে এক সভ্যতার উদয় হয়েছিল।খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চম শতাব্দী থেকে এ সভ্যতার বিকাশ এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল, যা বিস্ময়কর। অতীব বিস্ময়কর। এ সভ্যতার নাম 'মায়া' সভ্যতা। মায়া সভ্যতার বহু বিচিত্র কীর্তি-কাহিনীর মধ্যে হায়ারোগি্লফিক লিপি একটি। সম্প্রতি এ দুর্বোধ্য লিপির পাঠোদ্ধার করা হয়েছে। এর ফলে মায়াদের সম্বন্ধে অনেক নতুন তথ্য জানা গেছে। মায়াদের সংখ্যাতত্ত্বের সম্যক জ্ঞান, গ্রহ-নক্ষত্রের গতিবিধি পর্যবেক্ষণের অসাধারণ দক্ষতা, স্থাপত্য-শিল্পকলার বহুবিধ ব্যুৎপত্তি বিস্ময়ে আমাদের হতবাক করে দেয়। মায়ারা আবিষ্কার করেছিল সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে পৃথিবীর ৩৬৫ দিন লাগে। নির্ভুল বিচারে এই গণনা ছিল ৩৬৫-২৪২০ দিন। এ সময়কালকে ১৮ মাসে ভাগ করে নিয়েছিল তারা। যার প্রতিমাসের দিন-সংখ্যা ছিল ২০। 

বলা হয়ে থাকে, খ্রিস্টপূর্ব ৭৫০ সাল নাগাদ তিনি যে ক্যালেন্ডারের উদ্ভাবন করেছিলেন, সেখানে দিন-সংখ্যা ছিল ৩০০। এই ৩০০ দিনকে সমান ১০টি ভাগে ভাগ করে মাসের দিন-সংখ্যা ৩০ করা হয়েছিল। যা কিনা আজকের মাসের গড়দিন। একে রোমুলাস ক্যালেন্ডার বলা যেতে পারে। এ রোমান ক্যালেন্ডারে প্রথম শুরুর মাস ছিল 'মারটিয়াস', অর্থাৎ আজকের মার্চ মাস। রোমানদের যুদ্ধদেবতার নামানুসারে এ মাস। ১ মার্চ ছিল বর্ষ আরম্ভের প্রথম দিন। খ্রিস্টপূর্ব প্রথম শতকে জুলিয়াস সিজার এই ক্যালেন্ডারের কিছু সংশোধন করিয়ে নিয়েছিলেন। তৎকালীন প্রখ্যাত জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এ বিষয়ে তাকে সাহায্য করেছিল। এই ক্যালেন্ডারে পৃথিবীর সূর্য প্রদক্ষিণকাল ৩৬৫ দিন। কিন্তু বছর ৩৬৫ দিনে রেখে অতিরিক্ত দিন-সংখ্যা (১-৪ দিন) প্রতি চার বছর অন্তর ফেব্রুয়ারি মাসের সঙ্গে যোগ করা হয়।

তখন ফেব্রুয়ারি মাসের দিন-সংখ্যা দাঁড়ায় ২৮ থেকে ২৯ দিন। এই একটি বাড়তি দিনকে বলা হয় 'লিপ'-ডে। আর বছরটি হলো 'লিপিয়ার'। এ ক্যালেন্ডারটি 'জুলিয়ান ক্যালেন্ডার' নামে খ্যাত ছিল। বহু বছর এ ক্যালেন্ডারটি চালু ছিল।অনেককাল পরে এই জুলিয়ান ক্যালেন্ডারটির পুনরায় সংশোধন করে নিয়ে নতুন একটা ক্যালেন্ডার বাজারে চালু হয়। তৎকালীন মহামান্য ত্রয়োদশ পোপ গ্রেগোরি ১৫৭৭ সালে দুজন জ্যোতির্বিজ্ঞানীর সাহায্য নিয়ে পুরনো ক্যালেন্ডারটি গ্রেগোরিয়ান ক্যালেন্ডার নামে পরিচিত। * ইংরেজি নববর্ষের সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশনাঃ-সারাবিশ্বে হু হু করে বাড়ছে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। তাই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনে সতর্ক করে দিয়েছে ।সম্প্রতি পুলিশ মহাপরিদর্শক, বিভাগীয় কমিশনার, মহানগর পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার,  স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি দেয়া হয়েছে।চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘প্রকাশ্যে কোনো সভা, সমাবেশ এবং ধর্মীয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন না করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে আয়োজন করাই যৌক্তিক হবে।’খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব বড়দিন ২৫ মার্চ। আর তার এক সপ্তাহের মাথায় ৩১ ডিসেম্বর রাতে বর্ষবরণের উৎসব। 

করোনাভাইরাসের মহামারীর কারণে গতবছরও এ দুই আয়োজনে বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছিল।স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ‘প্রতি বছর খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান ‘শুভ বড়দিন’ ২৫ ডিসেম্বর যথাযথ মর্যাদা, আনন্দ, উৎসাহ-উদ্দীপনায় পালিত হয়। সেইসঙ্গে ইংরেজি নববর্ষের প্রথম প্রহরে ‘থার্টি ফার্স্ট নাইট’ উপলক্ষেও বিভিন্ন স্থানে আনন্দ উৎসবের আয়োজন করা হয়। অতিমারী করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বব্যাপী সব ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠান, জনসমাবেশ অত্যন্ত সীমিত আকারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঘরোয়াভাবে উদযাপন করা হচ্ছে। এই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশেও মুসলিম, হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান সীমিত করে পালিত হয়েছে।’এ পরিস্থিতিতে বড়দিন ও ইংরেজি নববর্ষের প্রথম প্রহরের আয়োজন সীমিত রাখার নির্দেশনা দিয়ে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ‘কঠোর নজরদারি’ অব্যাহত রাখতে এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।

* ইসলামের দৃষ্টিতে থার্টি ফার্স্ট নাইটঃ-পুরোনো বছরকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর উৎসব ‘থার্টি ফার্স্ট নাইট’। 

নতুন বছরটি মুসলিম উম্মাহর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিগত একটি বছরের পর্যালোচনা ও নতুন এক বছরের পরিকল্পনা গ্রহণ করা সচেতন মুমিনের ঈমানি দায়িত্ব।৩১ ডিসেম্বর রাত ১২.০১ মিনিটকে ‘থার্টি ফাস্ট নাইট’ নামে অভিহিত করা হয়। আমরা এটাকে ইংরেজি নববর্ষ হিসেবে জানলেও মূলত তা ইংরেজি নববর্ষ নয়, বরং এটা খৃস্ট্রীয় বা গ্রেগরিয়ান নববর্ষ। যার সাথে মিশে আছে খ্রিস্টানদের ধর্ম ও সংস্কৃতি। এর নামকরণও করা হয়েছে খ্রিস্টানদের ধর্মযাজক পোপ গ্রেগরিয়ানের নামানুসারে। ঐতিহাসিকগণ বলেন, খৃষ্টপূর্ব ৪৬ সালে জুলিয়াস সিজার সর্বপ্রথম ১ জানুয়ারিতে নববর্ষ উৎসবের প্রচলন করে। পরে তা ধীরে ধীরে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। ধর্মীয় ও দেশজ সংস্কৃতি নিজ নিজ ধর্ম ও দেশের মানুষের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে এটাই স্বাভাবিক ও যৌক্তিক দাবি।বেশ ধুমধামের সাথে অন্য ধর্মের প্রথা বা বিদেশি সংস্কৃতি উদযাপন নিজ ধর্ম ও দেশজ সংস্কৃতি সম্পর্কে অজ্ঞতা ও উদাসীনতা প্রকাশ করে। এটা কিছুতেই কাম্য নয়।’থার্টি ফাস্ট নাইট’ উদযাপন দেশ ও ধর্মের উৎসব-সংস্কৃতির দেউলিয়াত্ব ঘোষণা করে। যা বাংলাদেশের নাগরিক ও মুসলিম হিসেবে আমাদের জন্য বড়ই লজ্জার বিষয়।থার্টি ফাস্ট নাইট’ উদযাপন ইসলামে বৈধ নয়। ইসলামি আইনবিদগণ একে হারাম বলে আখ্যায়িত করেন। অন্য ধর্মের সংস্কৃতি-উৎসব মুসলমানের জন্য উদযাপন করা জায়েয নেই। নিজ ধর্ম ও অন্যের ধর্মের কালচারকে ঘুলিয়ে একাকার করতে বারণ করা হয়েছে হাদিসে। নবী সা. বলেছেন,‘যে ব্যক্তি যে জাতির সাথে সাদৃশ্য রাখে সে সেই জাতিরই অন্তর্ভুক্ত।’মিশকাত শরীফ:৪৩৪৭অন্য ধর্মের সভ্যতা-সংস্কৃতি গ্রহণ না করার জন্য এ হাদিস মুসলমানদের অনুপ্রাণিত করেছে। আর গ্রহণ করলে মুসলমানিত্ব হারানোর হুশিয়ারিও প্রকাশ পেয়েছে উপর্যুক্ত হাদিসটিতে।আরইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, প্রাচীন পারস্যের পরাক্রমশালী সম্রাট জামশিদ খ্রিস্টপূর্ব ৮০০ সালে নববর্ষ প্রবর্তন করেন। পরবর্তীতে ব্যাবিলনের সম্রাট জুলিয়াস সিজার খ্রিস্টপূর্ব ৪৬সালে ইংরেজি নববর্ষ প্রচলন করেন। প্রথম দিকে নববর্ষ বিভিন্ন তারিখে উদযাপিত হতো। পরবর্তীতে ১৫৮২সালে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার প্রবর্তনের পর পহেলা জানুয়ারিতে নববর্ষ উদযাপনের দিন হিসেবে নির্দিষ্ট করা হয়। যার ধারাবাহিকতায় আজও বিশ্বব্যাপী ইংরেজি নতুন বছরের আগমন উপলক্ষে থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন করা হয়। 

(১)তবে অপ্রিয় হলেও সত্য যে, বর্তমান সময়ে এই উৎসবটি বিধর্মীদের পাশাপাশি মুসলিমরাও বিভিন্নভাবে উদযাপন করছে। বিশেষভাবে মুসলিম যুব সমাজের মাঝে এর প্রভাব বেশি পরিলক্ষিত হয়। যেমন ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা জানায়। এছাড়াও, এ রাতে মহল্লায় মহল্লায় কিংবা বিভিন্ন শহরের অলিতে-গলিতে কতিপয় মুসলিম নামধারী যুবসমাজ গান-বাজনা, অশ্লীল নৃত্য, আতশবাজি ফোটানো, ফানুস উড়ানো, ডিজে পার্টি ও কনসার্ট প্রভৃতি বিজাতীয় সংস্কৃতির মাধ্যমে এই উৎসবটি প্রতিনিয়ত উদযাপন করছে।এমনকি এই উৎসব পালনের নামে সমাজের অসংখ্য ছেলে ও মেয়েদের মাঝে অবাধ চলাফেরা লক্ষ্য করা যায়, যার মাধ্যমে যিনার দ্বার উন্মোচিত হয়। আল্লাহ তা’আলা এ ব্যাপারে ইরশাদ করে বলেন,অর্থাৎ, আর তোমরা ব্যভিচারের কাছেও যেয়ো না। নিশ্চয় এটা অশ্লীল কাজ এবং মন্দ পথ। 

(২) রাসূলুল্লাহ(সাঃ) এর জীবনী, সাহাবীদের জীবনী, তাবেয়ী ও তাবে-তাবেঈনদের জীবনী, চার ইমামের জীবনী, বিখ্যাত মুসলিম মনীষীদের জীবনী এবং বিভিন্ন ইসলামী খেলাফতের শাসনামল পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, তাঁহারা কখনোই বিধর্মীদের সাথে সামঞ্জস্য এমন কোন উৎসব পালন করেননি এবং এমনকি থার্টি ফার্স্ট নাইট নামক উৎসবটিও সমর্থন করেননি।যেমন হাদীসে এসেছেহযরত ইবনে উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি অন্য জাতির সাদৃশ্য অবলম্বন করে, সে তাদের দলভুক্ত গণ্য হবে। 

(৩)আল্লাহ তা’আলা বলেন,অর্থাৎ, (হে নবী) আপনি বলুন: নিশ্চয়ই আমার রব্ব হারাম তথা নিষিদ্ধ করেছেন প্রকাশ্য, অপ্রকাশ্য অশ্লীলতা, পাপ কাজ, অন্যায় ও অসংগত বিদ্রোহ ও বিরোধিতা এবং আল্লাহর সাথে কোন কিছুকে শরীক করা যার পক্ষে আল্লাহ কোন দলীল প্রমাণ অবতীর্ণ করেননি। 

(৪)উপরোল্লিখিত আলোচ্য আয়াত ও হাদিসটি বিশ্লেষণ করলে বোঝা যায় যে, মুসলিম ব্যক্তিদের জন্য বিধর্মীদের এই উৎসবটি পালন আল্লাহর পক্ষ হতে সম্পূর্ণ হারাম তথা নিষিদ্ধ এবং যদি কেউ পালন করে তাহলে সে তাদের তথা বিধর্মীদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হবে। তাই আমাদের সকলের উচিত বিধর্মীদের এই সংস্কৃতিকে পরিহার করা এবং এটা থেকে নিজেকে মুক্ত রাখা।পাশাপাশি নিজের সন্তান,পরিবার, আত্মীয়-স্বজনসহ সকলকে এই উৎসব পালন সম্পর্কে ইসলামের অভিমত অবহিত করা এবং সকলকে সতর্ক করা। কেননা আল্লাহ তা’আলা পবিত্র কুরআনে বলেছেন,অর্থ হে বিশ্বাস স্থাপনকারীগণ! তোমরা নিজেদেরকে এবং তোমাদের পরিবার পরিজনকে রক্ষা কর আগুন হতে। পরিশেষে যে কোন নওরোজ সেটা থার্টি ফাস্ট নাইট হো