সরকারি চাকরিজীবী জামাই না পাওয়ায় তরুণীর আত্মহত্যা
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সরকারি চাকরিজীবী পাত্র না পাওয়ায় ২৬ বছর বয়সী এক তরুণী আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি পরিবারের। বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে ভারতের মুর্শিদাবাদের কান্দিতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ‘আত্মহত্যা’ করেন শিল্পী ঘোষ নামের ওই তরুণী।
স্থানীয়রা জানান, বিয়ের জন্য তার একটিই ‘শর্ত’ ছিল—পাত্রকে সরকারি চাকরিজীবী হতে হবে! দীর্ঘদিন খোঁজ করেও তার জন্য এমন কোনো পাত্র পাওয়া যায়নি। ‘শর্তপূরণ’ না হওয়ায় কোনো পাত্রকেই মনে ধরছিল না তার। মানসিক অবসাদে আত্মহত্যা করেছেন তিনি।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ কান্দির খড়গ্রামের গুরুটিয়া গ্রামের বাসিন্দা শিল্পী ঘোষের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান বলে জানিয়েছেন তার পরিবারের সদস্যরা। তারাই খড়গ্রাম থানায় খবর দেন। পুলিশ কর্মকর্তারা গলায় গামছার ফাঁসে শিল্পীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেন। এরপর স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে শিল্পীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
কান্দি হাসপাতালের মর্গে শিল্পীর দেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। শিল্পী আত্মহত্যা করেছেন বলে পুলিশের কাছে দাবি করেছে তার পরিবার। এ নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে খড়গ্রাম থানা।
তরুণীর মৃত্যুতে হতবাক শিল্পীর চাচা সঞ্জীব মণ্ডল। তিনি বলেন, স্নাতক স্তরের পড়াশোনা শেষ করার পর থেকেই শিল্পীর জন্য পাত্রের খোঁজ করা হচ্ছিল। তবে জমি-জায়গা, টাকাপয়সা রয়েছে, এমন পাত্রদের দেখাশোনা করা হলেও সরকারি চাকরিজীবী পাত্র ছাড়া বিয়েতে রাজি হয়নি শিল্পী।’
এই ঘটনার কথা শোকাহত শিল্পীর গ্রামের বাসিন্দা চন্দন ঘোষও। তার দাবি, কোনো প্রেমঘটিত সম্পর্ক ছিল না শিল্পীর। চন্দন বলেন, ‘শিল্পী আমার বোনের মতো ছিল। গ্রামের সকলে ওকে একডাকে ভালো মেয়ে বলে চেনে। ওর বিরুদ্ধে গ্রামের কারও কোনও অনুযোগ পর্যন্ত নেই। অনেক দিন ধরে পরপর বিয়ের জন্য দেখাশোনা চললেও সরকারি পাত্র ছাড়া বিয়ে করতে রাজি হয়নি শিল্পী। হয়তো সে জন্য ওর মানসিক চাপ বাড়ছিল। হয়তো চেয়েছিল, বিয়ের পর ভালোভাবে থাকবে। তবে কপালে না থাকলে যা হয়।’