বিএসএমএমইউ-তে বিশ্ব ‘কিডনী দিবস ও গ্লুকোমা সপ্তাহ ২০২২’ উদযাপিত


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


বিএসএমএমইউ-তে বিশ্ব ‘কিডনী দিবস ও গ্লুকোমা সপ্তাহ ২০২২’ উদযাপিত

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিশ্ব কিডনী দিবস ও বিশ্ব গ্লুকোমা সপ্তাহ (৬-১২ মার্চ) ২০২২ উদযাপিত হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (১০মার্চ) এসব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ।

বিশ্ব কিডনী দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ রেনাল এ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে সকাল ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা থেকে ‘সুস্থ কিডনী সবার জন্য জ্ঞানের সেতুবন্ধনে সাফল্য’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয় এবং সি ব্লকে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। সেখানে রেনাল এ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ডা. কে বি এম হাদিউজ্জামানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ রেনাল এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মোঃ হাবিবুর রহমান দুলাল, ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কিডনী বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মোঃ নজরুল ইসলাম। এতে আরো বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ডা. এম এ সামাদ, অধ্যাপক ডা. হারুন অর রশীদ, অধ্যাপক ডা. মোঃ মুজিবুর রহমান প্রমুখ। পরে শহীদ ডা. মিলন হলে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। 



বিশ্ব কিডনী দিবস উপলক্ষে পেডিয়াট্রিক নেফ্রোলজি সোসাইটি অফ বাংলাদেশ এর উদ্যোগে বটতলা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ১১টায় কিডনী ‘চিকিৎসায় প্রয়োজন জ্ঞানের সেতু বন্ধন’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়। পরে অত্র এ ব্লক অডিটোরিয়ায়ে জনসেচতনা বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেব বক্তব্য রাখেন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ। সভাপতিত্ব করেন পেডিয়াট্রিক নেফ্রোলজি সোসাইটি অফ বাংলাদেশ এর সভাপতি অধ্যাপক ডা. রণজিত রঞ্জন রায়। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক ডা. আফরোজা বেগম। গুরুত্বপূর্ণ ওই অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ডা. গোলাম মাঈন উদ্দিন, অধ্যাপক ডা. আনোয়ার হোসেন খান, অধ্যাপক ডা. শিরিন আফরোজ, ডা. তাহমিনা জেসমিন, ডা. সৈয়দ সাইমুল হক প্রমুখ। 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘কিডনী মানবদেহের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এর মাধ্যমে শরীরের ভারসাম্য রক্ষা পায়। ভারসাম্যপূর্ণ সঠিক খাদ্যাভাস, নিয়মিত ব্যায়াম,  উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা, চিকিৎসক এর পরামর্শ গ্রহণ ইত্যাদির মাধ্যমে কিডনীকে সুস্থ রাখা সম্ভব। তিনি বলেন, কিডনীর সমস্যাকে গুরুত্ব দিয়ে এবং দেশের মানুষকে ভালোবাসেন বলেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুধু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, গুরুত্বপূর্ণ সরকার মেডিক্যাল কলেজসহ দেশের বিভাগ ও জেলা পর্যায়েও এই রোগের রোগীদের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন। তবে আমরা যাতে কিডনী রোগে আক্রান্ত না হই সে জন্যই সবাইকে সচেতন হতে হবে। মাননীয় উপাচার্য আরো বলেন, বড়রা যেমন কিডনী রোগে আক্রান্ত হয় তেমনি শিশুরাও কিডনী রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তাই সবাইকে এ বিষয়ে সচেতন হয়ে মোকাবিলা করতে হবে।’

এদিকে বিশ্ব গ্লুকোমা সপ্তাহ ২০২২ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের চক্ষু বিজ্ঞান বিভাগ ও কমিউনিটি অফথালমোলজি বিভাগে একটি গুরুত্বপূর্ণ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ। এবারে দিবসটির প্রতিপাদ্য হলো আপনার ‘দৃষ্টি রক্ষা করুন, সুন্দর পৃথিবী উপভোগ করুন’।  

উপাচার্য তার বক্তব্যে চক্ষুরোগ বিষয়ে আরো গবেষণার উপর জোর দেন। 

তিনি বলেন, ‘বিশ্বে গ্লুকোমা রোগীর সংখ্যা ২.৮% হলেও বাংলাদেশে ৩৫ বছরের ঊর্ধ্বে এই সংখ্যা ৩%। তিনি বলেন, গ্লুকোমা সপ্তাহ সচেতনতা বৃদ্ধিতে বিরাট ভূমিকা রাখবে। এই রোগ নির্ণয়ে  গ্লুকোমা স্ক্রীনিং অব্যাহত রাখতে হবে। সাথে সাথে চক্ষু চিকিৎসকদের গ্লুকোমা সন্দেহ হলে রোগীর প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে। মনে রাখতে হবে, গ্লুকোমা চোখের প্রধান স্নায়ু রজ্জুর রোগ। সঠিক সময়ে চিকিৎসা না করালে স্থায়ী অন্ধত্ব বরণ করতে হয় রোগীকে।  বাস্তবতা হলো রোগী অনেক সময় নিজেও জানেন না যে তার গ্লুকোমা হয়েছে। এটা একটা বড় সমস্যা। গর্ভাবস্থায় মায়ের পেটে থেকেও নবজাতকের এই সমস্যা হতে পারে। তাই গ্লুকোমা প্রতিরোধে সচেতনার বিকল্প নাই। সেমিনার শেষে সি ব্লকের সামনে থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়।’

এসএ/