আচরণবিধি লঙ্ঘন: অভিনেত্রী মাহিয়া মাহিকে তলব


Janobani

বিনোদন প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫:১২ অপরাহ্ন, ১৫ই ডিসেম্বর ২০২৩


আচরণবিধি লঙ্ঘন: অভিনেত্রী মাহিয়া মাহিকে তলব
বৃহস্পতিবার গোদাগাড়ী উপজেলায় নির্বাচনী প্রচারণা চালান মাহি/ ছবি- সংগৃহীত

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-১ গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী চিত্রনায়িকা শারমিন আক্তার নিপাকে (মাহিয়া মাহি) তলব করেছে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি। নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের কারনে এই অভিনেত্রীকে তলব করা হয়েছে। অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান (যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ, ২য় আদালত) মো. আবু সাঈদ শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) মাহিয়া মাহিকে তলব করেন।


মাহিকে পাঠানো এ সংক্রান্ত চিঠিতে লেখা হয়েছে , আপনাকে জানানো যাচ্ছে যে, গত ১৪ ডিসেম্বর নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে ভোট চাচ্ছেন মাহি এমন শিরোনামের খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে। এতে আরো বলা হয়, প্রার্থীতা ফিরে পাওয়ার পর রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী ও তানোর) আসনে আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘন করে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করে এ নায়িকা। বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) মাহি তার ফেসবুক পেজে বেশ কিছু ছবি পোস্ট করেন। তাতে দেখা যায় তার নির্বাচনী এলাকা রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী ও তানোর) আসনে জনসাধারণের কাছে ভোট চাওয়া নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন মাহি।


চিঠিতে আরও  উল্লেখ করা হয়েছে, এছাড়াও বিভিন্ন ইলেকট্রনিকস, প্রিন্ট  ও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কাছে প্রমাণিত হয়েছে যে, আপনি বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নির্বাচনী আচরণবিধি উলঙ্ঘন করে প্রতীক বরাদ্দের আগেই গোদাগাড়ী উপজেলার চরআষারিয়াদহ ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গায় বিপুল পরিমাণে জনসমাগম করে নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন এবং এলাকার ভোটারদের কাছে ভোট চান।


এই আচরণের কারনে আপনি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ এর বিধি ৬(ঘ) ও বিধি ১২ লঙ্ঘন করেছেন, যা নির্বাচন-পূর্ব অনিয়ম হিসেবে বিবেচিত হয়েছে বলে জানান নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি।


এই অবস্থায় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ লঙ্ঘনের দায়ে কেন বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হবে না সে বিষয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে মাহিয়া মাহিকে ব্যাখ্যা ও কারন দেখানোর কথা বলা হয়েছে।


এমএল/