হাবিপ্রবির সেন্ট্রাল ল্যাব উদ্বোধন করবেন শিক্ষামন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
মুজিববর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষ্যে আগামী ১৩ মার্চ ( রবিবার ) বিকাল সাড়ে তিনটায় উদ্বোধন হতে যাচ্ছে দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) কেন্দ্রীয় গবেষণাগার। শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি এ গবেষণাগার উদ্বোধন করবেন বলে জানা গেছে।
এছাড়া বিকাল চারটায় শহীদ শেখ রাসেল হল সংলগ্ন মাঠে "জ্যোতির্ময় বঙ্গবন্ধু" শীর্ষক স্বারকগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন এবং পক্ষকাল ব্যাপী সাংস্কৃতিক উৎসবের শুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী জনাব মহিবুল হাসান চৌধুরী এবং হাবিপ্রবির ট্রেজারার প্রফেসর ড. বিধান চন্দ্র হালদার। অনুষ্ঠানটিতে সভাপতিত্ব করবেন হাবিপ্রবির ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. কামরুজ্জামান।
এদিকে ডিবেটিং সোসাইটি অব এইচএসটিইউ এর সভাপতি মনিরুজ্জামান মুন বলেন, " মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষ্যে হাবিপ্রবি প্রশাসন যে উদ্যোগ নিয়েছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়। তাদের আয়োজিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতার মাঝে বিতর্ক প্রতিযোগিতা রাখায় বিতার্কিকরা অত্যন্ত আনন্দিত। বিভিন্ন অনুষদের বিতার্কিকরা তাদের প্রস্তুতি গ্রহণ করছে। এ আয়োজন সফলভাবে বাস্তবায়নে আমরা ডিবেটিং সোসাইটি অব এইচএসটিইউ এর সদস্যবৃন্দ সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদানে বদ্ধপরিকর "।
অন্যদিকে, হাবিপ্রবির সেন্ট্রাল ল্যাব সম্পর্কে জানতে চাইলে হাবিপ্রবির মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ মোস্তাফিজার রহমান বলেন, “কেন্দ্রীয় গবেষণাগার উদ্বোধন হলে হাবিপ্রবি গবেষণার দিক দিয়ে আরো একধাপ এগিয়ে যাবে বলে প্রত্যাশা করতেছি। এই গবেষণাগার বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা স্নাতক, স্নাতকোত্তর কিংবা পিএইচডি রিসার্চের কাজে ব্যবহার করতে পারবে। উক্ত গবেষনাগারে থাকছে বিভিন্ন ধরণের সুযোগ সুবিধা। প্রায় সকল বিভাগ গবেষণার কাজে এই ল্যাব ব্যবহার করতে পারবে। আমরা যেমন জিনোম সিকুয়েন্স থেকে শুরু করে, ডিএনএ ও আরএনএ আইসোলেশন, ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র জীবাণু চিহ্নিতকরণের মতো জটিল জটিল কাজ করতে পারবো উক্ত ল্যাব ব্যবহার করে। একই ভাবে অন্যান্য বিভাগ সমূহ নিজ নিজ গবেষনার কাজে এই ল্যাবটি ব্যবহার করতে পারবে।”
উল্লেখ্য যে, আগামী ১৩ মার্চ থেকে পক্ষকালব্যাপী সাংস্কৃতিক উৎসবের আয়োজন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য রয়েছে বিতর্ক প্রতিযোগিতা, গান( দেশাত্ববোধক, নজরুল ও রবীন্দ্র সংগীত), নৃত্য, উপস্থিত বক্তৃতা প্রভৃতি।