অতিথি পাখির কলকাকলীতে মুখরিত জাবির ক্যাম্পাস


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:০৩ অপরাহ্ন, ১৯শে ডিসেম্বর ২০২৩


অতিথি পাখির কলকাকলীতে মুখরিত জাবির ক্যাম্পাস
ছবি: সংগৃহীত

ডিসেম্বরের শেষের দিকে কুয়াশা পড়তে শুরু করেছে। রাতের শেষ বেলায়ও শীত পড়ছে বেশ। প্রকৃতির যখন এ অবস্থা ঠিক তখনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শীত যেন একটু আগেই চলে আসে। আর সেই সঙ্গে  আসছে হাজার হাজার অতিথি পাখিও। 


এই অতিথি পাখিদের অন্যতম আশ্রয়স্থল হচ্ছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের জলাশয়ে গুলো। ইতোমধ্যে স্থানগুলো অতিথি পাখিতে ভরে উঠেছে। পাখি দেখতে ক্যাম্পাসে ভিড় করতে শুরু করেছেন অনেক পাখিপ্রেমী মানুষ। 


আরও পড়ুন: কুয়াশার চাদরে মোড়ানো ১৮ একরের ক্যাম্পাস


ক্যাম্পাসের ছোট ও বড় আকারের জলজ পদ্ম সুশোভিত লেকে বিভিন্ন প্রজাতির শত শত অতিথি পাখির আগমনও ঘটেছে। কুয়াশাচ্ছন্ন ও শীতের আবহাওয়ায় সবুজে সুশোভিত বিশাল এই এলাকা অতিথি পাখিদের কলরব পাখিপ্রেমী দর্শকদের মুগ্ধ করে তুলছে।


সাধারণত হিমালয়ের উত্তরের দেশ সুদূর সাইবেরিয়া, চীন, মঙ্গোলিয়া ও নেপালে এ সময়টায় প্রচুর তুষারপাত হয়। এ তুষারপাতে পাখিরা মানিয়ে নিতে না পেরে বাংলাদেশের মতো নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে চলে আসে। শীত চলে গেলে তারাও চলে যাবে তাদের আপন ঠিকানায়। 


জাবির এ আঙিনায় যেসব অতিথি পাখি আসে তা হলো- সরালী, পিচার্ড, গার্গেনি, মুরগ্যাধি, মানিকজোড়, কলাই, নাকতা, জলপিপি, ফ্লাইপেচার, কোম্বডাক, পাতারি, চিতাটুপি, লাল গুড়গুটি ইত্যাদি।বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রবেশ গেট (ডেইরি গেই) দিয়ে পা রাখলেই মনে হবে এ যেন এক প্রকৃতির লীলাভূমি। একটু সামনে আসলেই চোখে পড়বে একটি জলাশয়। যাতে ফুটে আছে অসংখ্য লাল শাপলা। তারপর শহীদ মিনারের পাশ দিয়ে ডান দিকে গেলেই চোখে পড়বে রাস্তার দুপাশের জলাশয়গুলোতে ফুটে থাকা লাল শাপলা। আর তাতে খেলা করছে দূর-দূরান্ত থেকে আসা অতিথি পাখিরা। তারা কখনো উড়ছে, কখনো ডুব দিচ্ছে, আবার কখনো চুপ মেরে বসে আছে।ষড়ঋতুর এই দেশে শীত আসছে উৎসবের আমেজে। আর সে উৎসবটা অন্য যেকোনো জায়গার চেয়ে জাবি ক্যাম্পাসে একটু বেশিই। 


আরও পড়ুন: ক্যাম্পাসে নিজ ক্লাসরুমেই মীমের গায়ে হলুদ


এখন অতিথি পাখির কল-কাকলিতে ঘুম ভাঙছে শিক্ষার্থীদের। ক্যাম্পাসে ছোট-বড় ১০ থেকে ১২টি লেক রয়েছে। এগুলোর মধ্যে চারটি লেকে অতিথি পাখি বেশি বসে। এবারও প্রশাসনিক ভবনের সামনের লেক, জাহানারা ইমাম ও প্রীতিলতা হল সংলগ্ন লেক, বোটানিক্যাল গার্ডেনের পাশে ওয়াইল্ড লাইফ রেসকিউ সেন্টারের লেক এবং সুইমিং পুল সংলগ্ন সবচেয়ে বড় লেকে এরই মধ্যে পাখিরা আসতে শুরু করেছে। এই লেকগুলোকে অভয়াশ্রম হিসেবে ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।এ অতিথিদেরকে স্বাগত জানাতে নতুন রূপে সেজেছে জাবির জলাশয়গুলো। অসংখ্য রক্তিম ফুটন্ত লাল শাপলার সৌন্দর্যে মন মাতানো রূপ ধারণ করেছে জাবি ক্যাম্পাস। 


দূর থেকে তাকালেই প্রাণটা জুড়িয়ে যায়। যে কারো নজর কাড়বে এ দৃশ্য। শহরের ব্যস্তময় যান্ত্রিক জীবন আর ইট পাথরে ঘেরা ধূলাবালি থেকে হাফ ছেড়ে বাচঁতে অসংখ্য দর্শনার্থী ভিড় করছে ক্যাম্পাসে।


আরএক্স/