চুয়াডাঙ্গায় আ.লীগ নেতার গ্রেফতারের প্রতিবাদে নৌকার প্রার্থীর সংবাদ সম্মেলন


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৪:৪৭ অপরাহ্ন, ২৫শে ডিসেম্বর ২০২৩


চুয়াডাঙ্গায় আ.লীগ নেতার গ্রেফতারের প্রতিবাদে নৌকার প্রার্থীর সংবাদ সম্মেলন
সংবাদ সম্মেলন করছেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের নৌকার প্রার্থী সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান আলী আহাম্মেদ হাসানুজ্জামান মানিকসহ নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের নৌকার প্রার্থী সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি। 


সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।


আরও পড়ুন: দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়


এতে লিখিত বক্তব্যে নৌকার প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন বলেন, কয়েকদিন ধরে চুয়াডাঙ্গা সদরের শংকরচন্দ্র ও পদ্মবিলা ইউনিয়ন এলাকায় একজন স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীরা নৌকা মার্কার প্রার্থীর বিরুদ্ধে সরাসরি নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ করে অপপ্রচার, কুৎসা রটনা ও নৌকার প্রার্থীর নামে ব্যক্তিগত ভাবে গালাগালী করে উত্তেজনা ছড়াচ্ছিলেন। এ ঘটনায় সরোজগঞ্জ পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ হারুন-অর-রশিদ নামক একজন এসআই তার সাথে যোগ দিয়ে এবং স্থানীয় জামাত-বিএনপি’র কিছু লোকজনের সাথে যুক্ত হয়ে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ ভন্ডুল করার একটি গোপন নকশা নিয়ে কাজ করছেন।


গত ২৩ ডিসেম্বরের নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে ঘটনার বিবরণ তুলে ধরে এমপি ছেলুন জোয়ার্দ্দার বলেন, সেদিন সন্ধ্যায় স্থানীয় যুবলীগের একটি মিছিলে হামলা চালানো হয় এবং নৌকার প্রার্থীকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি ও উত্তেজনা ছড়ানো হয়। রাত ৮টার দিকে ভান্ডারদহ গ্রামে নৌকার পক্ষে একটি মিছিল বের হয় এবং মিছিলের পিছনে ঈগল মার্কা স্বতন্ত্র প্রার্থী তার ব্যক্তিগত বডিগার্ড ও কয়েকজন কর্মী সমর্থকসহ গাড়ী নিয়ে উপস্থিত হন। প্রার্থীর উপস্থিতিতে তার সমর্থক আবু তাহের বিশ্বাস একটি হ্যান্ড মাইক দিয়ে মিছিলের পিছন থেকে গালাগালি করতে থাকে এবং তাদের জন্য রাস্তা ছেড়ে দিতে বলে। রাস্তা ফাকা হলে গাড়ি বহরটি কিছুদূর গিয়ে ভান্ডারদহ ত্রি-মোহনী মোড়ে পৌছে রাস্তার উপরেই মাইকে বক্তিৃতা দিতে শুরু করেন প্রার্থী। এতে রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। ওই স্থান ত্যাগ করতে গেলে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থীর বডিগার্ড তাদের হাতে থাকা বিশেষ লাঠি দ্বারা এবং তাদের কর্মিরা অতর্কিত হামলা করে।


স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে নৌকার প্রার্থী বলেন, ঘটনার সময় সেখানে সরোজগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ি থেকে এসআই হারুন-অর-রশিদের নেতৃত্বে একদল পুলিশ সদস্য উপস্থিত হন। তখন স্বতন্ত্র প্রার্থী অকথ্য ভাষায় পুলিশ সদস্যগণকে আমাদের কর্মিদেরকে আক্রমন করায় নির্দেশ দেয়। আশ্চর্য বিষয় হলো পুলিশ বিনা বিচার বিবেচনায় ওই প্রার্থীর নির্দেশ মেনে আমাদের মিছিলে হামলা চালায় এতে অনেকে আহত হয় এবং মিছিল ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এমতাবস্থায় সেখানে পৌঁছালে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কুতুবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলী আহম্মেদ হাসানুজ্জামান মানিকসহ ৫ জনকে আটক করা হয়।  পরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে একজনকে বাদী সাজিয়ে মামলা করা হয়।


আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় স্বতন্ত্র প্রার্থী ও কর্মীদের ওপর হামলা


সংবাদ সম্মেলনে সরোজগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই হারুন-অর-রশিদকে অবিলম্বে প্রত্যাহার এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির মূল হোতা আবু তাহের বিশ্বাসকে অবিলম্বে গ্রেফতার ও তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়।


এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নান, অ্যাড. মুহা. শামসুজ্জোহা, সাবেক দপ্তর সম্পাদক অ্যাড. আবু তালেব বিশ্বাস, জেলা কৃষকলীগের সাবেক সভাপতি আজিজুল হকসহ জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার কর্মীরা।


আরএক্স/