আ.লীগের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করছেন শেখ হাসিনা


Janobani

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১:৫৭ পূর্বাহ্ন, ২৭শে ডিসেম্বর ২০২৩


আ.লীগের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করছেন শেখ হাসিনা
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা - ছবি: সংগৃহীত

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ইশতেহার ঘোষণা করবে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। 


আগামী ৭ জানুয়ারির দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) এ ইশতেহার ঘোষণা ও উপস্থাপন করছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 


এর আগে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ের গ্রান্ড বলরুমে সকাল সাড়ে ১০টায় নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন  ইশতেহার ঘোষণা অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়ন উপকমিটির আহ্বায়ক ও দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।



ইশতেহারে আওয়ামী লীগ সরকারের টানা তিন মেয়াদের অর্জন এবং আগামী মেয়াদে ক্ষমতায় এলে দেশের উন্নয়নে তাদের কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরা হয়েছে। ২০০৯ থেকে ২০২৩ সালের শাসনামলকে ‘উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে বিশ্বের বিস্ময় বাংলাদেশ’ বলা হয়েছে। আবারও ক্ষমতায় এলে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দ্রব্যমূল্য সবার ক্রয় ক্ষমতায় আনতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাবে আওয়ামী লীগ। এ বিষয়গুলো দলটির নির্বাচনী ইশতেহারে মোট ১১টি বিষয়ে বিশেষ অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। 


আরও পড়ুন: আ. লীগ ছাড়া কেউ এদেশে শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর করেনি: কাদের

 


আওয়ামী লীগের ইশতেহারে যে ১১টি বিষয়ে বিশেষ অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে-  


১. দ্রব্যমূল্য সবার ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া।


২. কর্মোপযোগী শিক্ষা ও যুবকদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা।


৩. আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা।


৪. লাভজনক কৃষির লক্ষ্যে সমন্বিত কৃষি ব্যবস্থা, যান্ত্রিকীকরণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণে বিনিয়োগ বৃদ্ধি।



আরও পড়ুন: আ. লীগের নির্বাচনি ইশতেহার ঘোষণার আনুষ্ঠানিকতা শুরু



৫. দৃশ্যমান অবকাঠামোর সুবিধা নিয়ে এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি করে শিল্পের প্রসার ঘটানো।


৬. ব্যাংকসহ আর্থিক খাতে দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি করা।


৭. নিম্ন আয়ের মানুষদের স্বাস্থ্যসেবা সুলভ করা।


৮. সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায় সবাইকে যুক্ত করা।


৯. আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যকারিতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা।


১০. সাম্প্রদায়িকতা এবং সব ধরনের সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ রোধ করা।


১১. সর্বস্তরে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সুরক্ষা ও চর্চার প্রসার ঘটানো।  


জেবি/এসবি