শীতকালীন সুপারফুড ৪ খাবার
জনবাণী ডেস্ক
প্রকাশ: ০৭:৫৯ অপরাহ্ন, ৩১শে ডিসেম্বর ২০২৩
শীতের সময়কে কে না ভালোবাসে? শীতের কম্পন, গরম সোয়েটার এবং সুস্বাদু সব খাবার। হৃদয়কে উষ্ণ করে তুলতে এগুলোর কোনো তুলনা নাই। কিন্তু তাপমাত্রা কমে গেলে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তবে ভয় পাবেন না, শীতের মাসগুলোতে নিজেকে ফিট রাখতে কিছু খাবার খেলেই হবে। এগুলো শুধু খাবার নয়; শীতের সময়ে এগুলো সুপারহিরো। পুষ্টি এবং উপকারিতায় ভরপুর এসব খাবার আপনার শরীর সুস্থ রাখতে অনেক কাজ করে। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক সেরা ৪টি প্রয়োজনীয় শীতকালীন খাবারের সম্পর্কে যা আপনাকে শুধু উষ্ণই রাখবে না বরং স্বাস্থ্যও যথেষ্ঠ ঠিক রাখবে।
১. মিষ্টি আলু খান বেশি বেশি
মিষ্টি আলুর মিষ্টি স্বাদ নিন প্রতিদিন। আয়রন, ফোলেট, ম্যাগনেসিয়াম, কপার এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ মিষ্টি আলু শুধুমাত্র একটি সুস্বাদু খাবার নয়, এতে বিদ্যমান অসংখ্য উপকারিতা। উজ্জ্বল চুল, ত্বক এবং চোখের জন্য মিষ্টি আলু হতে পারে উত্তম সমাধান। শীতের সমস্যা দূর করতে কখনোই মিষ্টি আলু খাওয়া বাদ দেবেন না।
আরও পড়ুন: বিয়ের পরে স্বামীকে মানতে হবে যে নিয়ম
২. শালগম খেতে পারেন
শালগমের শক্তিকে অবমূল্যায়ন করবেন না কখনো! এই সবজিটি সবাই খেতে পছন্দ নাও করতে পারেন, তবে এটি শীতকালীন গেম-চেঞ্জার খাবার হতে পারে। ভিটামিন সি এবং কে দ্বারা পরিপূর্ণ শালগম শুধুমাত্র আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় না বরং শরীরে আয়রনের ঘাটতিও মোকাবিলা করে শক্তভাবে। এই পুষ্টিকর সবজি খাবার তালিকায় রেখে শীতের অসুস্থতাকে বিদায় জানান।
৩. কাঠ বাদাম খেতে পারেন
কাঠ বাদাম শুধু নাস্তা হিসেবেই নয়, এটি সবার জন্য শীতকালীন সুপারফুড হিসেবেও কাজ করে। মস্তিস্কের ক্ষমতা বৃদ্ধিকারী উপাদানে ভরপুর, এমনকি কাঠ বাদাম আপনার মন এবং শরীরের জন্য একটি প্রয়োজনীয় খাবার। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন ই এবং জিঙ্কের পাওয়ার হাউজ হিসেবেও কাজ করে আমন্ড। এর সাথে আখরোট, চিয়া বীজ এবং ফ্ল্যাক্সসিড মিশিয়েও খেতে পারেন। শীতে সুস্থতা নিশ্চিত হবে অনেকবেশি।
আরও পড়ুন: শীতে মুখরোচক ভাজা পুলি পিঠা
৪. খাবার তালিকায় মাছ রাখেন
সব আমিষভোজীদের জন্য মাছ হলো শীতকালীন সবচেয়ে ভালো খাবারের মধ্যে একটি। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডে পূর্ণ এই খাবার আপনার প্রতিদিনের তালিকায় রাখুন। এ সময় সংক্রমণ এড়ানোর জন্য এটি আপনাকে নিয়মিত খেতে হবে। ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন, খনিজ এবং কপারে ভরা মাছ খাওয়ার অভ্যাস করুন। ফলে স্বাদ আর পুষ্টি একসাথে পাবেন।
এমএল/