টেস্ট সিরেজে হোয়াইটওয়াশ পাকিস্তান, দোষ অধিনায়কের ঘাড়ে


Janobani

ক্রীড়া ডেস্ক

প্রকাশ: ০৯:০৩ অপরাহ্ন, ৬ই জানুয়ারী ২০২৪


টেস্ট সিরেজে হোয়াইটওয়াশ পাকিস্তান, দোষ অধিনায়কের ঘাড়ে
শান মাসুদ | ছবি: সংগৃহীত

শান মাসুদের পাকিস্তানের টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক হয় সদ্য সমাপ্ত অস্ট্রেলিয়া সিরিজে। দলপতি হিসেবে শুরুটা একদমই ভালো করতে পারেননি তিনি। তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে তার দল। এক ম্যাচেও অজিদের পরীক্ষা নিতে পারেনি মাসুদ-শাহিনরা, যার বড় দায় পড়ছে কাপ্তান মাসুদের ওপরে।


পার্থ টেস্ট দিয়েই শুরু হয় বাবর-ইমামদের এবারের অস্ট্রেলিয়া সফর। শুরুর টেস্টে ৩৬০ রানের বড় ব্যবধানেই পরাজয় হয় সফরকারীদের। এরপরে মেলবোর্নে অবশ্য কিছুটা প্রতিদ্বন্দিতা করতে পেরেছিল শান মাসুদের দল। কিন্তু তা জয়ের জন্য যথেষ্ট ভূমিকা ফেলতে পারেনি। আর সিডনিতে নূন্যতম প্রতিরোধও গড়তে পারেননি পাকিস্তান শিবির।


আরও পড়ুন: এবার সাকিবের নির্বাচনী মাঠে এনামুল হক বিজয়


দলের ফলাফলে অধিনায়কের বড় একটা ভূমিকা থাকে। তবে দলের সবাই মিলেই ভালো পারফর্ম করতে হয়। তাই পুরো সিরিজের ফলাফলের দায় হয়তো মাসুদের একার ওপরই বর্তাবে না। কিন্তু মাঠে খেলা চলাকালে অধিনায়ক হিসেবে তার বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে কিছু প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।


শেষ টেস্টের প্রথম ইনিংসে দুর্দান্ত বোলিং করা আমের জামালকে দ্বিতীয় ইনিংসে নতুন বলে বোলিংয়েই আনেননি অধিনায়ক। ম্যাচ শেষে এসব বিষয় নিয়ে পাকিস্তানের ক্রিকেট পরিচালক ও এই সিরিজের প্রধান কোচের ভূমিকায় থাকা মোহাম্মদ হাফিজকে প্রশ্ন করা হয়। আর তিনিও মনে করেন, জামালের হাতে আরেকটু আগেই বল তুলে দেওয়া উচিত ছিল।


আরও পড়ুন: শূন্য রানে ৬ ব্যাটার সাঁজঘরে ভারতের লজ্জার রেকর্ড


এদিন হাফিজ বলেন, ‘সব বোলারই বল করার জন্য প্রস্তুত ছিল। কিন্তু এক্ষেত্রে পুরো ব্যাপারটি অধিনায়কের ওপর নির্ভর করে। আর অধিনায়কের কৌশল এমনই (জামালকে দেরিতো বোলিংয়ে আনা) ছিল।


উসমান খাজা প্রথম ওভারেই সাজিদের বলে এলবিডব্লু হয়ে সাঁজঘরে ফেরেন। সাজিদ শুরুতে ব্রেকথ্রু এনে দেওয়ায় তাকে দিয়েই আরও কিছু ওভার করানোর পরিকল্পনা করেছিলেন শান মাসুদ, এমনটাই মনে করেন কোচ হাফিজ, এই পিচ থেকে বাড়তি কিছু পাওয়ার যথেষ্ঠ সুযোগ ছিল। এজন্যই অফ স্পিনারকে দিয়ে আরও বেশি বল করানো হয়েছে। আর মাঠে থাকা অধিনায়কই এটা ভালো বুঝতে পারে। তাই ওর ওমন সিদ্ধান্তকে আমাদের সমর্থন জানাতেই হতো।


এমএল/