ভোট বর্জন যারা করলেন


Janobani

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:১৫ অপরাহ্ন, ৭ই জানুয়ারী ২০২৪


ভোট বর্জন যারা করলেন
ফাইল ছবি

নানা অভিযোগে সদ্য শেষ হওয়া দ্বাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন বিভিন্ন আসনের প্রার্থীরা। এদের মধ্যে আ. লীগের নেতা, বর্তমান সংসদ সদস্য, জাতীয় পার্টি, বিএনএম, তৃণমূল বিএনপি, গণফোরামের দলীয় প্রার্থীদের পাশাপাশি স্বতন্ত্র প্রার্থীও রয়েছেন।

যারা ভোট বর্জন করেছেন

সিলেট-২ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও গণফোরামের প্রার্থী মোকাব্বির খান চৌধুরী, জাতীয় পার্টির প্রার্থী ইয়াহইয়া চৌধুরী, স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহিবুর রহমান, তৃণমূল বিএনপির আব্দুর রব মল্লিক।

এ ছাড়া সিলেট-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. মো. ইহতেশামুল হক চৌধুরী, সিলেট-৪ আসনের তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী আবুল হোসেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের বিএনএম প্রার্থী মোহাম্মদ আব্দুল মতিন, কুমিল্লা-১১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মিজানুর রহমান, লালমনিরহাট-২ আসনের জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রাথী দেলোয়ার হোসেন, যশোর-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম লিটন, টাঙ্গাইল-২ আস‌নের স্বতন্ত্র প্রার্থী ইউনুছ ইসলাম তালুকদার ঠান্ডু,  কক্সবাজার-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য জাফর আলম, কক্সবাজার-৪ আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী লাঙ্গল প্রতীকের নুরুল আমিন সিকদার ভূট্টো, কক্সবাজার ৩ আসনের ঈগল প্রতীকের প্রার্থী মিজান সাঈদ, নারায়ণগঞ্জ-২ আড়াইহাজার আসনে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী জাহাঙ্গীর সিকদার লোটন, কুড়িগ্রাম-৪ আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী এ কে এম সাইফুর রহমান বাবলু ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মজিবুর রহমান বঙ্গবাসী নির্বাচন বর্জন করেছেন।

এদিকে, এদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সারাদেশে ২৯৯টি আসনে বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলে। এ সময়ে কিছু জায়গায় বিচ্ছিন্ন গোলযোগ হয়েছে। ৩০ থেকে ৩৫ জায়গায় ভোট কেন্দ্রের বাইরে ধাওয়া-পালটা ধাওয়া হয়েছে। কোথাও ভোটকেন্দ্রের পাশে ককটেল বিস্ফোরণ হয়েছে। অনিয়মের কারণে বেশ কিছু কেন্দ্রের ভোট বাতিল এবং ২১ কেন্দ্রে ভোট স্থগিত করা হয়। ১৫ ব্যক্তিকে জাল ভোটে সহায়তা করার জন্য দণ্ড দেওয়া হয়েছে। কারচুপি ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ তুলে ভোট বর্জন করেছেন বেশ কয়েকজন প্রার্থী।


এবার নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ কোটি ৯৭ লাখ। এর মধ্যে ৬ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৭৯ জন পুরুষ, ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ২০২ জন নারী এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটারের সংখ্যা ৮৫২। মোট ভোটকেন্দ্র ৪২ হাজার ১০৩টি। ভোটকক্ষ ২ লাখ ৬১ হাজার ৯১২টি। ভোট হচ্ছে ব্যালট পেপারে।

ইসির দেওয়া অনুযায়ী, নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ভোট হয়েছে ২৯৯ আসনে। স্বতন্ত্র প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে নওগাঁ-২ আসনের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। নির্বাচনে ২৮টি দল অংশগ্রহণ করেছে। এর মধ্যে দলীয় প্রার্থী ১ হাজার ৫৩৪ জন এবং স্বতন্ত্র ৪৩৬ জন। নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ২৬৬ জন প্রার্থী ছিল আওয়ামী লীগের। এ ছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৬৫ জন প্রার্থী দিয়েছে জাতীয় পার্টি এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৩৫ জন প্রার্থী রয়েছেন ‘সোনালী আঁশ’ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে আসা তৃণমূল বিএনপি।


এদিকে,  বিএনপিসহ ৬০টি দল নির্বাচন বর্জন করেছে। দলটি সরকার পতনের এক দফা দাবিতে দীর্ঘদিন আন্দোলন করে সফলতা না পেয়ে নির্বাচনের দুই মাস আগ থেকে হরতাল-অবরোধের পথ বেছে নেয়। এতে সরকারকে চাপে ফেলতে না পেরে ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়ে গত ২০ ডিসেম্বর ‘অসহযোগ আন্দোলনের’ ডাক দেয় দলটি। পাশাপাশি সরকারকে সকল প্রকার কর, খাজনা, পানি, গ্যাস এবং বিদ্যুৎ বিল দেওয়া স্থগিত রাখার অনুরোধ জানায় দলটি।

জেবি/এসবি