বিলুপ্তির পথে সদরপুরের মৃৎশিল্প


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৭:২৮ অপরাহ্ন, ১১ই জানুয়ারী ২০২৪


বিলুপ্তির পথে সদরপুরের মৃৎশিল্প
সদরপুরের কুমার পাড়া মৃৎশিল্প এলাকা থেকে তোলা। ছবি: জনবাণী

প্রতিদিন বাজারে আসছে নানা বাহারি পন্যের এ্যালুমিনিয়াম ও প্লাষ্টিকের নান্দনিক পরিবারের আসবাবপত্র। প্রযুক্তির যাত্রায় মানুষের জীবনকে সহজ করেছে, তেমনি এর প্রভাবে পুরনো অনেক দৈনন্দিন পণ্য হারিয়ে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে হারিয়ে যাচ্ছে মানুষের শত শত বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী কিছু পেশা। গ্রাম বাংলার তেমনই এক পেশা মৃৎশিল্প। মাটির তৈরি জিনিসের চাহিদা কমে যাওয়ার ফলে এখন ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলা থেকে হারিয়ে যাচ্ছে এ শিল্পটি। 


আরও পড়ুন: মুন্সীগঞ্জে নৌকার সমর্থককে কুপিয়ে হত্যা


এক সময়ের কোলাহলপূর্ণ ব্যস্ত কুমার পাড়ায় এখন চলছে সুনসান নীরবতা। বাধ্য হয়ে কুমারা তাদের পেশা পরিবর্তন করে অন্য পেশায় নিয়োজিত হচ্ছেন। দক্ষ মাটির কারিগররা এখন আর তৈরি করছে না তাদের পেশা ভিত্তিক মাটির উপকরন। 


উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে আগে মৃৎশিল্প বিক্রি হতো, বাজারগুলো এখনো জমজমাট থাকলেও উপজেলার সদরপুর ইউনিয়নের পূর্ব শ্যামপুর গ্রামের কুমারবাড়ির ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্প আজ বিলুপ্তির পথে। সরজমিন দেখা যায়, গ্রামে এখন হাতে গোনা কয়েকটি পরিবার রয়েছে। এরা সবাই সনাতন ধর্মাবলম্বী। 


শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে প্রতিমা তৈরির পাশাপাশি মাটির উপকরণ সামগ্রী তৈরি  করে। পৈত্তিক এ পেশার কারিগররা তাদের আদি পেশা কোনোমতে আঁকড়ে ধরে আছেন। কোনো মতে কেটে যাচ্ছে তাদের সংসার জীবন। সময়ের পরিবর্তে মাটির আসবাবপত্র কে পিছনে ফেলে এখন এ্যালুমিনিয়াম ও প্লাস্টিকের পন্য পুরো বাজার দখল করে নিয়েছে। মাটির চেয়ে অধিক টেকসই হওয়ার কারনেই মানুষ সাদরে গ্রহন করেছে।


আরও পড়ুন: গাজীপুরে ভোট কেন্দ্রসহ দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আগুন

 

মাটির পন্য তৈরির কারিগর হরেন্দ্র পাল। তিনি জানান, পৈত্তিক ভাবে তিনি মৃৎশিল্পের কাজ শিখেছেন। এখন টিকে থাকতে পারছেন না চাহিদা কম থাকার কারনে। বর্তমানে এ্যালুমিনিয়াম ও প্লাষ্টিকের পন্য বাজার দখল করার কারনে পেশা টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে। আগে রাত দিন পরিশ্রম করতে হতো। চাহিদা বেশ থাকার কারনে পরিবারের ছোট বড় সবাই কে নিয়ে কাজ করতে হতো। 



আরএক্স/