কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে দু'পক্ষের বিবাদ প্রকাশ্যে


Janobani

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭:০৬ অপরাহ্ন, ১৬ই জানুয়ারী ২০২৪


কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে দু'পক্ষের বিবাদ প্রকাশ্যে
ফাইল ছবি।

কৃষির বাতিঘর হিসেবে পরিচিত কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে চলছে থমথমে পরিবেশ। কর্মকর্তাদের মাঝে নেই প্রাণচাঞ্চল্যতা। দীর্ঘদিন ধরে চলছে বিশৃঙ্খলা। অধিদপ্তরে দু'পক্ষের রেষারেষির কারণে সেবা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। কৃষিমন্ত্রী পরিবর্তন হওয়ার পর বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করা কৃষিবিদদের মধ্যে বিরোধ প্রকাশ্যে এসেছে। 


জানা যায়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করা কৃষিবিদরা সাবেক কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাকপন্থী ও শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করা কৃষিবিদরা ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিমপন্থী বলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে সর্বাধিক পরিচিত।


আরও পড়ুন: শৈত্য প্রবাহে যেভাবে ফসল রক্ষা করবেন


রবিবার (১৪ জানুয়ারি) কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে সাবেক কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাকের অনুসারী ও বিসিএস কৃষি ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন লাঞ্ছিত হন। এ ঘটনায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। আতঙ্ক বিরাজ করছে রাজ্জাকপন্থী কৃষিবিদদের মধ্যে। অপরদিকে দীর্ঘদিনের শোষণ-বঞ্চনা থেকে মুক্তি পেতে চাই নাছিমপন্থী কৃষিবিদরা। এ ঘটনায় তেজগাঁও থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন কৃষিবিদ মোয়াজ্জেম হোসেন। 


অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিসিএস কৃষি ক্যাডার অ্যাসসিয়েশনের সভাপতি ও প্রকল্প কনসালট্যান্ট মোয়াজ্জেম হোসেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে লাঞ্ছনার শিকার হয়েছে। রবিউল ইসলাম খান মিলন ও ফুয়াদ জীবননাশের হুমকি দিয়েছে মর্মে তেজগাঁও থানায় লিখিত অভিযোগ করেন তিনি। 


এ ছাড়াও উদ্ভিদ সংগনিরোধ উইংয়ের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক জিয়াউল ইসলামের কক্ষের সামনে লাগানো নামফলক ভেঙে ফেলা এবং প্রশাসন ও অর্থ ইউংয়ের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক জহিরুল হককে হুমকি-ধামকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পৃথক ঘটনায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ব্যবস্থাপনা কমিটি জরুরি বৈঠক করেছেন।


আরও পড়ুন: ছাতকে ফ্রিপ প্রকল্পের আওতায় কৃষি উপকরণ বিতরণ


কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে দুই পক্ষের বিরোধের অপ্রীতিকর ঘটনার জের ধরে অধিদপ্তরের ব্যবস্থাপনা কমিটি গত বছর বেশকিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়া প্রবেশ করতে লাগবে অনুমতি। বহিরাগতদের গাড়িও মোটরসাইকেল প্রবেশ নিষিদ্ধ। তিন বছর এক স্থানে চাকরি করলে নেওয়া হয় বদলিসহ নানা সিদ্ধান্ত। অধিদপ্তরে প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপকরায় পেছনের গেটে দেয়াল তুলে বন্ধ করা হয়েছে। 


লাঞ্ছিতর বিষয়ে কৃষিবিদ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, মিলনের সাথে লিফটে দেখা হয়। এ সময় মিলন বলেন, আপনি (মোয়াজ্জেম) আর এখানে (কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর) আসতে পারবেন না। যদি আসেন, জীবন শেষ করে দেব। আমি বলি, আমি তো এখানে চাকরি করি। আমাকে আসতেই হবে। দ্বিতীয় তলায় লিফট থেকে নামার পর আমাকে টেনে ধাক্কাধাক্কি করে গেটের দিকে নিয়ে যায়। আমাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। 


আরএক্স/