জয়পুরহাটে স্কুলছাত্র হত্যা মামলায় ১১ জনের মৃত্যুদণ্ড
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৩:২৪ অপরাহ্ন, ৩১শে জানুয়ারী ২০২৪
জয়পুরহাটে চাঞ্চল্যকর স্কুলছাত্র মোয়াজ্জেম হত্যা মামলায় ১১ জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক আব্বাস উদ্দীন এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে ১৪ টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন
বুধবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জয়পুরহাট আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল।
সাজা প্রাপ্ত আসামীরা হলেন, জয়পুরহাট শহরের দেওয়ান পাড়া মহল্লার মৃত ইউনুস আলী দেওয়ানের ছেলে বেদারুল ইসলাম বেদিন, একই মহল্লার মোহাম্মদআলী মোখলেসারের ছেলে মনোয়ার হোসেন মনছুর, ওয়ারেছ আলীর ছেলে টুটুল, আজিজ মাস্টারের ছেলে রানা, শান্তিনগর মহল্লার শাহজাহান মৃধার ছেলে সরোয়ার রওশন সুমন,আরাফাত নগর মহল্লার মোসলেম উদ্দিনের ছেলে মশিউর রহমান এরশাদ, তেঘর বিশার কাবেজ উদ্দীন মন্ডলের ছেলে নজরুল ইসলাম, দেবীপুর কাজী পাড়ার মৃত মগবুল হোসেনের ছেরে শাহী, একই মহল্লার রফিকের ছেলে সুজন, নুর হোসেন নুমুর ছেলে রহিম, পার্শ্ববর্তী নওগাঁ জেলার ধামইরহাট উপজেলার ধুরইল আবুল কাশেমের পুত্র ডাবলু।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে বেদিন, নজরুল ইসলাম, টুটুল, সুজন, রহিম ও ডাবলু পলাতক রয়েছেন।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে ট্রেনের ধাক্কায় দুই জনের মৃত্যু
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০০২ সালের ২৮ জুন বিকেলে জয়পুরহাট শহরের প্রামাণিকপাড়ার ফজলুর রহমানের ছেলে মোয়াজ্জেম হোসেন বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। সেদিন আসামীরা মোয়াজ্জেমকে চিত্রা সিনেমা হল এলাকা থেকে তুলে নিয়ে যান। এরপর ভিটি এলাকায় একটি কবরস্থানের পাশে মোয়াজ্জেমকে আসামীরা ধারালো অস্ত্র ও লাঠি দিয়ে আঘাত করে গুরুতর আহত করেন। পরে জামালগঞ্জ রোডের একটি আম গাছের নিচে অচেতন অবস্থায় ফেলে রেখে চলে যান। এরপর ঘটনার দিন রাতে হাসপাতালে নেওয়া হলে মোয়াজ্জেম মারা যায়।
এঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে পরের দিন সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর তদন্তকারী কর্মকর্তা মাহবুব আলম ২০০৩ সালের ২৯ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এ মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে বিজ্ঞ আদালত আজ এ রায় দেন।
আরএক্স/