স্বামী জীবিত তবুও পাচ্ছেন বিধবা ভাতা
উপজেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:২০ অপরাহ্ন, ১লা ফেব্রুয়ারি ২০২৪
কুষ্টিয়া ভেড়ামারায় স্বামী জীবিত থাকা সত্ত্বেও দীর্ঘদিন ধরে বিধবা ভাতার সুবিধাভোগ করে আসছেন আনু বেগম নামের এক গৃহিণী।
সরেজমিনে দেখা যায়, আনু বেগমের স্বামী ফজল হক জীবিত। তিনি এক মসজিদের মোয়াজ্জিন এবং খাদেম। পাশাপাশি সে মুদি ব্যবসায়ী। তারা একসাথে একই বাড়িতে সন্তানদের নিয়ে বসবাস করেন। তাদের বাড়ি কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় ট্রাক থামিয়ে ড্রাইভার ও হেলপারকে মারধর,
এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তার স্বামী ফজল হক বলেন, “বিয়ের পর থেকেই আমি আমার স্ত্রীর ভরণপোষণের দায়িত্ব পালন করে আসছি। আমাদের চার মেয়ে দুই ছেলে। আমাদের মধ্যেকার সম্পর্ক চমৎকার। তার বিধবা কার্ডের ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না।”
ভেড়ামারা সোনালী ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ২০ ডিসেম্বর ২০২০ পর্যন্ত মাসিক ১৫০০ টাকা বিধবা ভাতা হিসেবে সে ব্যাংক থেকে উত্তোলন করেছে। পরবর্তীতে তা মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে উঠানোর পদ্ধতি চালু হয় বলে জানা যায় । এর আগে সমাজসেবা কার্যালয় থেকে বইয়ের মাধ্যমে টাকা তুলতো। তার বই নাম্বার ২৩৪৫।
আনু বেগমকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “আমার বিধবা ভাতার কার্ড আছে। আমার স্বামীও জীবিত আছে। অল্প কিছুদিন ধরে আমি এই সুবিধা ভোগ করছি। সাবেক স্থানীয় কাউন্সিলর আমাকে এ কার্ড করে দিয়েছেন।”
স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা গেছে, সুবিধাভোগীর পরিবার যথেষ্ট সচ্ছল ও তাদের দোতলা বাড়ি আছে। ছেলে এবং স্বামীর মাসিক আয় ও ভালো । দীর্ঘদিন ধরেই সে বিধবা ভাতা তুলছে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় নাবালক শিশু হত্যার দায়ে একজনের যাবজ্জীবন
স্থানীয় কাউন্সিলর সবুজের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এই বইটা অনেক আগের বই, আমরাও এ বিষয়টা জানতাম না, আপনাদের মাধ্যমে জানতে পেরেছি।
উপজেলা সমাজসেবা অফিসার ইমদাদুল হক বিশ্বাস বলেছেন, আনু বেগমের ব্যাপারে আমি আগে জানতাম না। আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম। অসামঞ্জস্যতা পরিলক্ষিত হলে খুব দ্রুতই তার বই বাতিল করা হবে। বইটি খুব সম্ভবত ২০১৮-১৯ সালের দিকে খোলা হয়েছে। আমি এখানে নতুন এসেছি, পরবর্তীতে আরও সতর্কতার সাথে কাজ করব।
আরএক্স/