ছুটির দিনে বইমেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থীদের ভিড়


Janobani

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪:২০ অপরাহ্ন, ২রা ফেব্রুয়ারি ২০২৪


ছুটির দিনে বইমেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থীদের ভিড়
ছবি: সংগৃহীত

অমর একুশে বইমেলার দ্বিতীয় দিন আজ। ছুটির দিন হওয়ায় বইমেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থীর ভিড় লক্ষ্য করার মতো। 


শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) বইমেলা ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়। 


দেখা গেছে,  চলতি বছরের বইমেলায় বিন্যাস গতবছরের মতো অক্ষুণ্ণ রাখা হয়েছে। টিএসসি, দোয়েল চত্বর, এমআরটি বেসিং প্লান্ট এবং ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউশন অংশের মোট ৮টি প্রবেশ ও বের হওয়ার পথ দিয়ে পাঠক-দর্শনার্থীরা আসা-যাওয়া করতে পারছেন। 


তবে মেট্রোরেল স্টেশনের অবস্থানগত কারণে খানিক পরিবর্তন এসেছে একটি বের হওয়ার পথে। বাংলা একাডেমির দিকে বের হওয়ার পথটি সরিয়ে দিয়ে এবার রমনা মন্দির গেটের কাছাকাছি নেওয়া হয়েছে। ছুটির দিন হওয়াতে সকাল ১১টা নাগাদ শুরু হয়েছে বইমেলা। তবে ভিড় বেড়েছে দুপুরের পর থেকে। 


সরেজমিনে আরও দেখা যায়, ছুটির দিনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বইমেলায় টিএসসি সংলগ্ন গেট দিয়েই প্রবেশ করছেন অধিকাংশ মানুষ। সেখানে লাইনে দাঁড়িয়ে নারী-পুরুষ আলাদাভাবে ভেতরে প্রবেশ করতে হচ্ছে। তবে শুরুতেই পড়তে হচ্ছে পুলিশের নিরাপত্তা তল্লাশিতে। মেলায় আসা পাঠক-দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে বরাবরের মতোই মূল ফটকের সামনে অনুসন্ধান- ঘোষণা বুথ এবং মেলার ম্যাপ রাখা হয়েছে। এরপর ভেতরের দিকে বিস্তৃত হয়েছে প্যাভিলিয়ন, স্টল এবং লিটলম্যাগ।


মেলায় ঘুরতে আসা এক দর্শনার্থীরা জানান, মানুষের সুবিধার্থে বইমেলা চলাকালীন সময়ে অন্তত শুক্রবার দিন মেট্রোরেল দুপুরের পর থেকে রাত পর্যন্ত চালু রাখা হোক। এতে করে যাতায়াতে সুবিধা পাবেন সবাই। দূর-দূরান্ত থেকে আসতে যথেষ্ট ভোগান্তি পোহাতে হয়। কিন্তু ছুটির দিনগুলোতে মেট্রোরেল চালু রাখলে সহজেই বইমেলায় আসা যাবে।


আও পড়ুন: বইমেলার দ্বিতীয় দিনে জমজমাট শিশুপ্রহর


মোহন লাল নামের এক দর্শনার্থী বলেন, অমর একুশে বইমেলাটা আমার কাছে বড় উৎসবের মতো মনে হয়। এখানে না আসলে অনেকটা অপূর্ণতা থেকে যায়। তাই শুরুর দিকেই ঘুরতে এসেছি। এখনও কোনো বই কেনাকাটা করিনি। তবে ভালো লাগলে কিনে নেব। চারপাশের পরিবেশ এবং অনেক বই দেখে খুবই ভালো লাগছে।


শারমিন সাথী নামের আরেক ক্রেতা জানান, অন্য বছরের তুলনায় এবার পরিসর বেশ বড় মনে হচ্ছে। আর বেশ গোছানো। শুরুর দিকেই মেলার আয়োজনও বেশ সমৃদ্ধ।


অন্যদিকে নিরাপত্তা নিশ্চিত ব্যাপক নিরাপত্তা বলয় তৈরি করতে দেখা গেছে পুলিশ, ডিবিসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের। বইমেলার প্রবেশ ও বের হওয়ার পথে পর্যাপ্ত সংখ্যক আর্চওয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। 


আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বইমেলায় এসে মজা নেই: শেখ হাসিনা



আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থেকে জানানো হয়েছে, মেলার সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে বাংলাদেশ পুলিশ, র‍্যাব, আনসার ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা। এছাড়া নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার জন্য মেলায় তিন শতাধিক ক্লোজসার্কিট (সিসি) ক্যামেরার ব্যবস্থাও করা হয়েছে।


প্রসঙ্গত, বইমেলা প্রতিদিন ছুটির দিন ছাড়া বেলা ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। তবে রাত ৮টা ৩০ এর পর নতুন করে কেউ মেলা প্রাঙ্গণে যেতে পারবেন না। আর ছুটির দিন বইমেলা চলবে সকাল ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। আর ২১শে ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের দিন মেলা চলবে সকাল ৮টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত।


জেবি/এসবি