চুয়াডাঙ্গায় ভ্রাম্যমাণ দোকানে পেঁয়াজু বিক্রির ধুম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:১৫ অপরাহ্ন, ৭ই ফেব্রুয়ারি ২০২৪
শাহাদাৎ হোসেন লাভলু: চুয়াডাঙ্গায় আসমানখালী বাজারে রাস্তার দুই পাশে ভ্রাম্যমান দোকানগুলোতে বিক্রি হচ্ছে দেশের একমাত্র ছোট পেঁয়াজু ভাজা। এছাড়া রাস্তার পাশের ওই ভ্রাম্যমান দোকানে বেগুনী, আলুর চপ সিঙ্গারা পাওয়া যায়।
শিশু থেকে কিশোর, মধ্যবয়সী, তরুণ-তরুণীরা, বৃদ্ধা কিনে খাচ্ছে এই পেঁয়াজু ভাজা। দেশজুড়ে পেঁয়াজু ভাজা, সিঙ্গারা, বেগুনী, আলুর চপ পাওয়া গেলেও চোখে পড়ে না ছোট পেঁয়াজু। স্থানীয় ভাষায় ছোট পেঁয়াজুকে বলা হয়ে থাকে বড়া ভাজা।
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার আসমানখালী বাজারে ছোট পেঁয়াজু খেতে আসে জেলা বিভিন্ন উপজেলা ও পার্শ্ববর্তী মেহেরপুর ও কুষ্টিয়া জেলা থেকে বিভিন্ন গ্রাম থেকে ভোজন প্রেমীরা ।
মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার ভোজন প্রেমী আরশাদ আলী বলেন, আমার ৬৫ বছর বয়স হচ্ছে, আমি এখনো সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন আসমানখালী বাজারে এই ছোট পেঁয়াজু/ বড়া ভাজা খেতে আসি , যদিও এই পেঁয়াজু তেল দিয়ে ভাজা হয়ে থাকে তবে বিভিন্ন লোকের মুখে শুনেছি যে পেঁয়াজু বেশি খেলে গ্যাস্ট্রিক সমস্যা হয়, আজ পর্যন্ত আমার কোন গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হয়নি। এটি একটি মুখোরচ খাবার আমার খেতে খুব ভালো লাগে তাই আমি প্রতি সপ্তাহে ২ থেকে ৩ দিন এসে পেঁয়াজু/বড়া ভাষা খেয়ে থাকি।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় খেজুরে রস ও গুড় তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছে গাছিরা
ভোজন প্রেমী রিমন হোসেন বলেন, পেয়াজু/বড়া ভাজা, সিঙ্গারা, বেগুনী, আলুর চপ, আমরা ঘুম থেকে উঠে আসমানখালী বাজারে আসলে স্বল্পমূল্যে এগুলো পেয়ে থাকি তাই এই খাবার খেয়ে থাকে এতে আমাদের ভাত ও রুটির ক্ষুধা মিটিয়ে থাকে, দামেও সস্তা ।
বিক্রেতা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “এই দোকানে আমি ৭ বছর যাব ব্যবসা করছি। পূর্বে আমার বাবা ও দাদা ব্যবসা করেছে এখানেই। পেঁয়াজু/বড়া তৈরির ক্ষেত্রে প্রথমে টিউবয়েলের পানি ও লবণ মিশিয়ে এরপর মরিচের গোড়া, কালো জিরা, কাঁচা আদা, এলাচের ফল, ছোলা বা খেসারির বেসন মিশিয়ে কাঁচামরিচ ও কাচা পেঁয়াজ দিয়ে মাখিয়ে বড় কড়ায় সয়াবিন গরম তেলের উপরে দিয়ে ভাজা হয়ে থাকে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গার-২ আসনে চতুর্থ বার এমপি হলেন হাজী আলী আজগর টগর
তিনি আরও বলেন, দুই বছর আগে আমরা ১০০ গ্রাম পেঁয়াজুর দাম নিতাম ১২ টাকা বর্তমান বাজারে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি হওয়ায় বর্তমানে আমরা ১০০ গ্রাম পিঁয়াজের মূল্য নিচ্ছি ২০ টাকা। প্রতিদিনে আমার দোকানে ২০ কেজি বেসন কাটছে। পিয়াজুর পাশাপাশি আমি প্রতিদিন ৫০০ পিস সিঙ্গারা, ৩০০ পিস বেগুনী ও ৪০০ পিস আলুর চপ বিক্রয় করে থাকি একপিস বেগুনীর মূল্য ৫ টাকা ও এক পিস আলুর চাপের মূল্য ৫ টাকায় বিক্রয় করে থাকি। এ থেকে আমাদের সংসার চলছে। এখন আসমানখালী বাজারে অনেক দোকান হয়েছে তো তবে বেচাকেনা কমেনি। আমাদের এই বাজারে বিভিন্ন এলাকা থেকে ভোজন প্রেমীরা এসে এই খাবার খেয়ে থাকে।
বিক্রেতা শান্ত ইসলাম বলেন, আমার দোকানে আমি সর্বোচ্চ ভাজা বিক্রয় করে থাকি পেয়াজু সিঙ্গারা, বেগুনী খুব সুস্বাদু খাবার এই পেঁয়াজু/বড়া ভাজা খেলে পারে মুখের রুচি বৃদ্ধি পায়। আমাদের এলাকার মানুষের এই পিয়াজু ভাজা যেনো সকলের প্রিয় খাবার হয়ে উঠেছে।
জেবি/এসবি