সোনারগাঁয়ে লোক কারুশিল্প মেলায় শেষ মুহূর্তে দর্শনার্থীর উপচে পরা ভীড়


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৬:৫৪ অপরাহ্ন, ৯ই ফেব্রুয়ারি ২০২৪


সোনারগাঁয়ে লোক কারুশিল্প মেলায় শেষ মুহূর্তে দর্শনার্থীর উপচে পরা ভীড়
ছবি: প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে শুরু হওয়া মাসব্যাপী লোককারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসব জমে উঠেছে। মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) থেকে শুরু হওয়ার পর লোকজ উৎসবে ছুটির দিনে থাকায় ও শেষ মুহূর্তে ব্যাপক দর্শনার্থীদের ঢল নেমেছে বিশেষ করে ছুটির দিনে মেলা প্রাঙ্গণ ছিল লোকে লোকারন্য।


সরকারি ছুটির দিন থাকায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার নানান বয়সী মানুষ এসেছেন এই উৎসবে। মেলার বিভিন্ন স্টল থেকে কেনাকাটা করেছেন আগত পর্যটকরা। দোকানীরাও খুশি ছুটির দিনের ক্রেতা সমাগমে।


আরও পড়ুন: সদরপুরে বিশ্ব জাকের মঞ্জিল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রদের পূর্ণমিলনী


কুষ্টিয়া থেকে আসা দর্শনার্থী শরিফুল ইসলাম জানান, তিনি নিউ ঢাকার স্ক্যান সিমেন্ট ফ্যাক্টরিতে চাকরি করেন। শুক্রবার ছুটির দিন হওয়াতে স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে এসেছেন লোককারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসবে। দেশীয় হাতের তৈরী বিভিন্ন পণ্য ক্রয় করেছেন তারা।


কুমিল্লা থেকে আসা মিলা আক্তার, সুইটি, জলি আক্তার, মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া থেকে রুনা বেগম, কলি আক্তার, রোমান, সাভার ও মানিকগঞ্জ থেকে নিলাঞ্জনা, হৃদয়, রকি, রাসেল, পাপিয়াসহ বিভিন্ন জেলা উপজেলা থেকে আগত দর্শনার্থীরা জানান, তাদের কারো স্বামী কারো বাবা চাকুরি করেন। শুক্র ও শনিবার ছুটির দিন থাকার সুবাদে এসেছেন লোকজ উৎসবে। তারাও হাতের তৈরী কাঠের, তাঁতের বিভিন্ন পন্য ক্রয় করেছেন। লোকজ মেলায় এসে তারা মুগ্ধ হয়েছেন বিভিন্ন কারু পন্য দেখে ও ক্রয় করে। তদের সাথে থাকা ছোট বাচ্চারা আনন্দ উপভোগ করেছে ঐতিহ্যবাহী বায়োস্কোপ আর পুতুল নাচ দেখে।


আরও পড়ুন: পরিবহনে চাঁদাবাজি, র‍্যাবের অভিযানে আরও ৩২ জন গ্রেফতার


বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক আবুল কালাম আজাদ জানান, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের লুপ্তপ্রায় লোকজ ঐতিহ্যকে পুনরুদ্ধার, সংগ্রহ, সংরক্ষণ, গবেষণা, প্রদর্শন এবং পুনরুজ্জীবন দান করাই মাসব্যাপী লোককারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসবের মূল উদ্দেশ্য। মেলার পাশাপাশি এই লোকজ উৎসবে বাউলগান, পালাগান, কবিগান, ভাওয়াইয়া ও ভাটিয়ালি গান, জারি-সারি ও হাছন রাজার গান, লালন সংগীত, মাইজভান্ডারী গান, মুর্শিদী গান, আলকাপ গান, গায়ে হলুদের গান, ক্ষুন্দ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শরিয়তী-মারফতি গান, ছড়া পাঠের আসর, পুঁথি পাঠ, গ্রামীণ খেলা, লাঠি খেলা, দোক খেলা, লোকজ জীবন প্রদর্শনী, লোকজ গল্প বলা, পিঠা প্রদর্শনী ইত্যাদি হয়ে থাকে।


মেলা চলাকালীন দেশী বিদেশী পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত থাকে ফাউন্ডেশন এলাকা। তবে ছুটির দিনে পর্যটক বেশি হয়।


মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) শুরু হওয়া এই মেলা ও উৎসব চলবে প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত।


এমএল/