টেকনাফে ঔষুধ ও খাদ্যপণ্যসহ মিয়ানমারে পাচার চক্রের ২ সদস্য আটক


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৭:৩০ অপরাহ্ন, ১৩ই ফেব্রুয়ারি ২০২৪


টেকনাফে ঔষুধ ও খাদ্যপণ্যসহ মিয়ানমারে পাচার চক্রের ২ সদস্য আটক
ছবি: জনবাণী

কক্সবাজারে টেকনাফ উপজেলার বিভিন্ন সাগর উপকূল দিয়ে প্রতিবেশী দেশ ‘মিয়ানমারে পাচারের উদ্দেশ্যে মজুদকালে’ বেশ কিছু পরিমান ঔষুধ ও খাদ্যপণ্যসহ পরিবহনকাজে ব্যবহৃত গাড়ী জব্দ করেছে র‌্যাব। এসময় পাচারকাজে জড়িত থাকার অভিযোগে দুইজনকে আটক করা হয়েছে।


মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান র‌্যাব সদর দপ্তরের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।


আরও পড়ুন: ঘুমধুম সীমান্তে কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী


র‌্যাব জানিয়েছে, মিয়ানমারে সরকারি বাহিনীর সাথে বিচ্ছিন্নতাবাদী আরকান আর্মির মধ্যে চলমান সংঘাতের জেরে দেশটির রাখাইন রাজ্যে ঔষুধ, জ্বালানি তেল ও খাদ্যপণ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে একটি অসাধু ব্যবসায়ি চক্র বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন চ্যানেল ব্যবহার করে উচ্চমূল্যে এসব পণ্য ও মালামাল পাচারে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এতে সরকার রাজস্ব হারানোর পাশাপাশি দেশের স্থানীয় বাজারে কৃত্রিম সংকটের সৃষ্টি হচ্ছে।


আটকরা হল, টেকনাফ উপজেলার সদর ইউনিয়নের হাতিয়ারঘোনা এলাকার আবুল বশরের ছেলে আব্দুল মান্নান (২৪) এবং একই এলাকার মৃত হাছন আলীর ছেলে আলী হোসেন (৪৫)।


কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, মিয়ানমার অভ্যন্তরে সরকারি বাহিনীর সাথে আরকান আর্মির মধ্যে চলমান সংঘাতের জেরে দেশটির রাখাইন রাজ্যের বেশ কিছু এলাকা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এতে দেশটির ওই রাজ্যে জ্বালানি তেল, ঔষুধ ও খাদ্যপণ্য সহ বিভিন্ন নিত্যপণ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। প্রতিবেশী দেশের সীমান্ত লাগোয়া ওই রাজ্যের সংকটজনক এই পরিস্থিতিতে এসব পণ্যের চাহিদা সৃষ্টি হওয়ায় অসাধু ব্যবসায়ি ও সংঘবদ্ধ একটি পাচারকারি চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এ নিয়ে র্যাব সীমান্তের বিভিন্ন এলাকায় নজরদারি বৃদ্ধি করেছে।


সোমবার রাতে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের হাতিয়ারঘোনা এলাকায় জনৈক আবুল বশরের বাড়ীতে সংঘবদ্ধ পাচারকারি চক্রের কতিপয় লোকজন বেশ কিছু পরিমান পণ্য প্রতিবেশী দেশে পাচারের জন্য মজুদ করেছে খবরে র্যাবের একটি দল অভিযান চালায়। এতে র্যাব সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে ৪/৫ জন লোক দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করে। পরে ধাওয়া দিয়ে দুইজনকে আটক করতে সক্ষম হলেও অন্যরা পালিয়ে যায়।


আরও পড়ুন: এসএসসি পরীক্ষার ঘুমধুম কেন্দ্র পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত


“এসময় আবুল বশরের মুরগীর খামারে মজুদ করা অবস্থায় পাওয়া যায় ৪ হাজার ৪৭০ লিটার সয়াবিন তেল, ৫০০ কেজি ময়দা এবং ১ লাখ ৩৬ হাজার ৫৫০ টি বিভিন্ন ধরণের ঔষুধ।”


র্যাবের গণমাধ্যম শাখার এ কর্মকর্তা বলেন, “ গ্রেপ্তাররা জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, তারা সীমান্তের বিভিন্ন চ্যানেল দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারে জ্বালানি তেল ও ঔষুধ, খাদ্যপণ্য পাচার করে আসছিল। এতে সরকার বিপুল পরিমান রাজস্ব হারানোর পাশাপাশি দেশের বাজারে কৃত্রিম সংকটের সৃষ্টি হয়েছে।”


চক্রটি মিয়ানমারে নিত্যপণ্যের বিনিময়ে বাংলাদেশে মাদকের বড় বড় চালান নিয়ে আসছিল বলে গ্রেপ্তাররা র্যাবের কাছে স্বীকারোক্তি দিয়েছে বলে জানা খন্দকার আল মঈন।


তিনি জানান,আটকদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে টেকনাফ থানায় মামলা করা হয়েছে।


আরএক্স/