জাবিতে শর্ত সাপেক্ষে অনশন ভাঙলেন ছাত্রলীগ নেতা


Janobani

ক্যাম্পাস প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১২:১৫ অপরাহ্ন, ১৯শে ফেব্রুয়ারি ২০২৪


জাবিতে শর্ত সাপেক্ষে অনশন ভাঙলেন ছাত্রলীগ নেতা
ছবি: জনবাণী

সজীবুর রহমান, জাবি প্রতিনিধি: শর্তসাপেক্ষে অনশন ভাঙলেন  জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) অনশনরত  দুই ছাত্রলীগ নেতা। আগামী ২০ তারিখে অনুষ্ঠিতব্য সিন্ডিকেটে দোষীদের বিচার নিশ্চিতে উপাচার্যের দেয়া আশ্বাসে অনশন ভাঙ্গেন তারা।  


রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে আটটার দিকে উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলম ডাব খাইয়ে ওই শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙেন। 


আরও পড়ুন: জাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো প্রশাস‌নিক ভবন অব‌রোধ


এসময় অনশনে থাকা ছাত্রলীগ নেতা এনামুল হক এনাম  বলেন,  আমি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছি বঙ্গবন্ধুকে  অবমাননাকারীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে এবং একটা ক্লিয়ার মেসেজ যেন আসে বঙ্গবন্ধুকে অমান্য করে কেউ পার পাবে না। আমি  একটা দৃশ্যমান পদক্ষেপ দেখতে চাই। উপাচার্য  আমাকে আশ্বাস দিয়েছেন ২০ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য  সিন্ডিকেট এ বিষয়টি উত্থাপন করবেন এবং তাদের শাস্তি নিশ্চিত করবেন। তবে যদি দৃশ্যমান কোন ব্যবস্থা দেখতে না পাই আমি আবার অনশনে বসবো। শুধু আমি না, ছাত্রলীগ সভাপতি নিজে বলেছেন আরো কঠিন পদক্ষেপে যাবেন।


অপরাধীদের শাস্তির বিষয়ে তিনি বলেন, আমি চাই তাদেরকে যেন অন্ততঃ সাময়িক বহিষ্কার করে বা যেভাবেই হোক দৃশ্যমান একটা পদক্ষেপ যেন নেয়া হয়  সেটাই আমার চাওয়া, বাকি সিদ্ধান্ত সিন্ডিকেট নিবে।


উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলম বলেন, তদন্ত রিপোর্ট হাতে পাওয়ার সাথে সাথেই আমি এটি সিন্ডিকেটে নিব এবং এটার বিচার করবো।  


উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি মুছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যঙ্গচিত্র অঙ্কনের ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত বিচার দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনারের বেদিতে আমরণ অনশন শুরু করেন শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি এনামুল হক এনাম। তার উত্থাপিত তিন দফা দাবিগুলো হলো- বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অবমাননাকারীদের অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা, বিশ্ববিদ্যালয় ও জাতীয় আইনে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে করা, ৮ দিন পার হলেও জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্টদের উদাসীনতা তদন্ত করা। এনামুলের দাবির সাথে সংহতি জানিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে অনশনে বসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ৪৪ ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং শাখা ছাত্রলীগের উপ-শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম।


আরও পড়ুন: জাবিতে অপ্রয়োজনীয় ব্যয়ে ৩১০কোটি টাকার টেন্ডার


এ ঘটনায় ৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কমিটিতে আছেন আন্তজার্তিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল্লাহ হেল কাফী। বাংলা বিভাগের অধ্যাপক খন্দকার শামীম আহমেদ ও চারুকলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এমএম ময়েজউদ্দীন। এছাড়া কমিটিতে সদস্যসচিব হিসেবে রয়েছেন ডেপুটি রেজিস্ট্রার এবিএম আজিজুর রহমান। সাত কর্মদিবসের মধ্যে সুপারিশসহ প্রতিবেদন দাখিলের জন্য এই কমিটিকে আদেশ দেয়া হয়েছে।


আরএক্স/