রোজার আগেই বিশেষ প্রস্তুতি নিয়ে রাখুন


Janobani

জনবাণী ডেস্ক

প্রকাশ: ০৭:১১ অপরাহ্ন, ২৯শে ফেব্রুয়ারি ২০২৪


রোজার আগেই বিশেষ প্রস্তুতি নিয়ে রাখুন
ছবি: সংগৃহীত

বছর ঘুরে পবিত্র রমজান মাস চলেই এলো। আর ক’দিন পরেই শুরু হবে মাহে রমজান। সম্পূর্ণ একমাস ধরে রোজা রাখবেন মুসলমানরা। মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্যই এই এক মাস দিনের বেলা সমস্ত পানাহার থেকে বিরত থাকা হয়। পবিত্র এই মাসটি বছরের অন্যান্য মাসের মতো নয়। যেখানে অন্য মাসগুলোতে দিনে তিনবেলা ভারী খাবার খাওয়া হয়, রমজান মাসে সেটা চলে আসে মূলত দুইবেলায়, সেহরি এবং ইফতার। আর সারাদিন না খেয়ে থাকার ফলে শরীরেও আসে বেশ কিছু পরিবর্তন। তাই রোজার প্রস্তুতি হিসেবে বিশেষ কিছু কাজ করে রাখতে পারলে খুব ভালো হয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক কি সেইসব কাজ-


খাবার


রোজার সময় অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে খাবার। এই মাসে খাবারের ক্ষেত্রে বাড়তি সচেতনতা প্রয়োজন। অনেকেই এসময় বাইরে তৈরি ভাজাপোড়া এবং মসলাদার খাবার খেয়ে থাকেন, যা অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর আর শরীরের জন্যও ক্ষতিকর। এ ধরনের খাবার আপনাকে বড় কোনো অসুখে ফেলতে পারে। তাই বিশেষ সতর্ক হতে হবে। রমজান মাসে রোজা রেখে অনেক ধরনের খাবার তৈরি করাও অনেক কষ্টসাধ্য বিষয়। তাই আগেভাগেই কিছু খাবার প্রস্তুত করে রাখা যেতে পারে। সম্পূর্ণ রমজানের বাজার একবারে করে রাখতে পারেন। এতে রোজা রেখে বারবার বাজারে যেতে হবে না। এরপর ইফতারের কিছু পদ ও মসলা ইত্যাদি তৈরি করে ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে পারেন। ফলে কাজ অনেকটাই কমে আসবে। পুরো রমজান মাস জুড়েই আপনি ইবাদতের জন্য পর্যাপ্ত সময় পাবেন।


আরও পড়ুন: যেসব খাবার বাতের ব্যাথা বাড়িয়ে দেয়


মানসিক ও শারীরিক প্রস্তুতি


রমজানে শারীরিক সুস্থতার দিকে নজর রাখা খুবই জরুরি। কারণ এসময় অসুস্থ হলে রোজা রাখাটাই কষ্টসাধ্য হয়ে যাবে। আর সেইসাথে প্রয়োজন মানসিক প্রস্তুতিও। তাই রমজানের প্রস্তুতি হিসেবে আগে থেকেই প্রশান্তিদায়ক পরিবেশ তৈরি করুন। বিশেষ করে কথা কম বলা ও ঝামেলাপূর্ণ বিষয় এড়িয়ে চলার সর্বদা চেষ্টা করুন। আত্মীয় এবং বন্ধু-পরিজনের সাথে ভালো ব্যবহার করুন। মন ভালো থাকে সে ধরনের কাজ করুন। পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টিকর খাবার খান। নিয়মিত পানি পান করুন। সবধরনের অলসতা ঝেড়ে ফেলুন। কাজে ব্যস্ত থাকলে মনও ফুরফুরা থাকবে। সব সময় ভালো চিন্তা করুন।আর এতে সবকিছুই অনেক সহজ মনে হবে।


শিশুদের জন্য যা প্রয়োজন


রোজায় শিশুদের খাবার ও অন্যান্য বিষয়েরও দিকেও দৃষ্টি রাখতে হবে। কেননা শিশুরা রোজা রাখতে পারে না। বড়দের কারণে যেন তাদের খাবারে কষ্ট না হয় সেদিকেও নজর রাখুন। এসময় রোজা রেখে শিশুর জন্য খাবার তৈরি করাটা বেশ ঝক্কির কাজ হতে পারে। তাই চেষ্টা করুন শিশু খেতে পছন্দ করে এই সব ধরনের কিছু খাবার আগেভাগেই তৈরি করে সংরক্ষণ করে রাখতে। আবার যেসব খাবার খুব সহজে তৈরি করা যায়, সেগুলোও বাসায় রাখতে পারেন। সেইসাথে ফল, সবজি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় খাবারও শিশুর জন্য সংনক্ষণ করুণ। সম্ভব হলে খাবার তৈরি করার সময় শিশুকেও আপনার সাথে রাখুন। তাতে করে সে নিজের খাবার নিজেই তৈরি করে খাওয়া শিখবে। তবে শিশুকে চুলার কাছে যেতে না দেওয়াই ভালো হবে। এদিকে বিশেষ খেয়াল রাখুন।


আরও পড়ুন: বাসায় তৈরি করুন বিশেষ রসপুলি


পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে নজর দিন


পরিচ্ছন্নতা অনেক জরুরি বিষয়। বিশেষ করে ইবাদতের জন্য বাসা-বাড়ী পরিষ্কার থাকতে হবে। বাসা পরিষ্কার থাকলে মনও ফুরফুরা থাকে। আর একমনে প্রার্থনা করা যায়। তাই রোজা শুরু হওয়ার আগেই বাড়িঘর ভালোকরে পরিষ্কার করার চেষ্টা করুন। ধুলো-ময়লা ঝেড়ে-ঝুড়ে চকচকে করে রাখুন। আসবাবপত্র নিয়মিত মুছে রাখুন। বিছনার চাদর, বালিশের কভার, পর্দা এবং এ জাতীয় যা যা আছে সেগুলো আগেই ধুয়ে রাখতে পারেন। এতে রোজার সময় কষ্ট কম হবে। বাড়ির দেয়ালের রঙও পরিবর্তন করাতে পারেন। দেয়ালে পছন্দের কোনো রঙ থাকলে হৃদয়েও প্রশান্তি আসতে পারে।


এমএল/