রোজায় কেউ যেন পণ্য মজুদ করে কৃত্রিম সংকট করতে না পারে: প্রধানমন্ত্রী


Janobani

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪:০৬ পিএম, ৩রা মার্চ ২০২৪


রোজায় কেউ যেন পণ্য মজুদ করে কৃত্রিম সংকট করতে না পারে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা - ছবি: সংগৃহীত

একটা সরকারের ধারাবাহিকতা না থাকলে উন্নয়নটা টেকসই হয় না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এটায় প্রমাণিত। আমরা চাই, আমাদের দেশ এগিয়ে যাক, এটাই আমাদের লক্ষ্য। সমালোচকরা শুধু তাৎক্ষনিক নিজেদের সুবিধা চায়। জনগণের কল্যাণের কথা আমাদের চেয়ে ভালো কেউ জানে না। কে কি বললো তা না শুনে প্রতিটি প্রকল্প গ্রহণের সময় সাধারণ মানুষ ও দেশের উপকারের কথা বিবেচনা করতে হবে।


রবিবার (৩ মার্চ) সকালে নিজ কার্যালয়ের শাপলা হলে ডিসি সম্মেলনে উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি ডিসিদের এই আহ্বান জানান।


জেলা প্রশাসকদের উদ্দেশ্যে করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “রমজানে বাজারের দিকে নজর দিতে হবে, যেন ভোক্তারা হয়রানির শিকার না হয়। নিত্যপণ্য যেন সহজে মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। মজুতদারদের ঠেকাতে এবং খাদ্যে ভেজাল বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। রোজায় কেউ যেন পণ্য মজুদ করে কৃত্রিম সংকট করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।”


আরও পড়ুন: বেইলি রোডে ট্রাজেডি: বার্ন ইনস্টিটিউট থেকে বাড়ি ফিরলেন আরও ২ জন


এসময় তিনি জনগণের সেবার কথা মাথায় রাখতে জেলা প্রশাসকদের তাগিদ দিয়েছেন।


কিশোর গ্যাংয়ের বিষয়ে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “পরিবার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে নজর দিতে হবে যেন কেউ এ পথে না যায়। যুবসমাজকে দেশের ইতিহাস সম্পর্কে সচেতন করতে হবে।”


এ বছর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে ৩৫৬টি প্রস্তাব দিয়েছেন ডিসিরা। গেল বছর এই প্রস্তাবের সংখ্যা ছিল ২৪৫। জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনাররা এ প্রস্তাব দিয়েছেন। এ সম্মেলনে মোট ৩০টি অধিবেশন হবে। এর মধ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে কার্য অধিবেশন ২৫টি।


আরও পড়ুন: প্রাণ বাঁচাতে কাচ্চি ভাইয়ের স্টোর রুমে আশ্রয়, সেখানেই মিলেছে বেশি মরদেহ


শনিবার (২ মার্চ) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক সম্মেলন উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন এ তথ্য জানান।


তিনি বলেন, “জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারদের কাছ থেকে প্রাপ্ত প্রস্তাবগুলোতে জনসেবা বাড়ানো, জনদুর্ভোগ কমানো, রাস্তাঘাট ও ব্রিজ নির্মাণ, পর্যটনের বিকাশ, আইন-কানুন বা বিধিমালা সংশোধন, জনস্বার্থ সংরক্ষণের বিষয়গুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সাজানো হয়েছে। বেশি প্রস্তাব সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ সংক্রান্ত। এ সংক্রান্ত মোট প্রস্তাব ২২টি পাওয়া গেছে।”


জেবি/এসবি