চিনির গলিত লাভায় মরছে কর্ণফুলির মাছ!


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৫:১২ অপরাহ্ন, ৬ই মার্চ ২০২৪


চিনির গলিত লাভায় মরছে কর্ণফুলির মাছ!
ফাইল ছবি

চট্টগ্রামে এস আলম রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডে লাগা আগুন নেভেনি ৪৩ ঘণ্টায়ও। আর ইন্ডাস্ট্রি থেকে নির্গিত গলিত লাভায় দূষিত হচ্ছে কর্ণফুলি নদী,  এর ফলে মাছ এবং অন্যান্য জলজ প্রাণী মারা যাচ্ছে


বুধবার (৬ মার্চ) দুপুর ২টা পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের আগুন নেভাতে দেখা গেছে।


কর্ণফুলী পাড় গিয়ে দেখা গেছে, কেমিক্যাল মিশ্রিত অপরিশোধিত চিনি আগুনে পুড়ে গলে সোজা কর্ণফুলী নদীতে পড়ছে। এর ফলে নদীতে কেমিক্যাল মিশে পানি দূষিত হচ্ছে। এতে করে নদীর মাছ মারা যাচ্ছে। নদী থেকে স্থানীয়রা হাত দিয়েই চিংড়ি কাঁকড়াসহ আরও অন্য মাছগুলো ধরছেন। এছাড়া স্থানীয় আরো কয়েকজন হাত জাল ফেলেও মাছ ধরছেন।


এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ও নদী বিশেষজ্ঞ ড. মঞ্জুরুল কিবরিয়া গণমাধ্যমকে জানান, “চিনিমিশ্রিত এসব পানির কারণে নদীর পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যাচ্ছে। এর প্রভাব সরাসরি মাছ এবং অন্যান্য জলজ প্রাণীর ওপর পড়ছে। যে জন্য তাদের মৃত্যু হচ্ছে।”


আরও পড়ু: চট্টগ্রামে ৪৩ ঘণ্টায়ও নেভেনি সুগার মিলের আগুন


এদিকে,  আগুন পুরোপুরি নেভানো সম্ভব হয়নি আরও সময় লাগবে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা।


ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক (প্রশাসন অর্থ) জসিম উদ্দিন এ বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন।


তিনি বললেন, “চট্টগ্রামের যে গুদামটিতে আগুন লেগেছে সেটিতে বিপুল পরিমাণ অপরিশোধিত চিনি মজুত ছিল। গুদামটি প্রায় ২৫ হাজার বর্গফুটের। উচ্চতা প্রায় ৫-৬ তলা ভবনের সমপরিমাণ। যেখানে অপরিশোধিত চিনির বিপুল মজুত ছিল। এগুলো এক ধরনের দাহ্য পদার্থ। পানি দিয়েও এ আগুন নেভানো যাচ্ছে না। এ কারণে আগুন নেভাতে দীর্ঘ সময় লেগে যাচ্ছে। তবে আগুন যাতে ছড়িয়ে না পড়ে আমরা তা নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি। কবে নাগাদ আগুন নেভানো যাবে তা এ মুহূর্তে নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়।”


আরও পড়ু: চট্টগ্রামে সুগার মিলে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১৮ ইউনিট


উল্লেখ্য, সোমবার (৪ মার্চ) বিকেল ৩টা ৫৩ মিনিটে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানা এলাকার এস আলম রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পবিত্র রমজান মাস ঘিরে এসব চিনির আমদানি করা হয়েছিল। আগুন লাগার পর ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে আগুন নির্বাপণে যোগ দেন সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা। বর্তমানে ফায়ার সার্ভিসের বিপুলসংখ্যক সদস্য আগুন নির্বাপণে কাজ করছেন।


জেবি/এসবি