ঢাকার সড়কে তীব্র যানজট

ইফতারের আগ মুহূর্তে রাজধানী ঢাকার সড়কে তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে। অফিস শুরুর সময় যানজটের তীব্রতা কিছুটা থাকলেও, তা অফিস শেষে ভয়াবহ আকার ধারণ করে। 

বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসের বিকালে রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, যানবাহনের ব্যাপক চাপ রয়েছে বেশিরভাগ রাস্তায়। এতে করে সড়কগুলোতে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজট। গুরুত্বপূর্ণ সিগন্যালগুলোতে যানবাহনের চাপ সামলাতে ট্রাফিক পুলিশের কর্মকর্তা ও সদস্যদের হিমশিম খেতে দেখা গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কারওয়ানবাজার, তেজগাঁও, ব নানী, মহাখালী, বিজয় সরণি,  সাতরাস্তা, মগবাজার, মালিবাগ, শান্তিনগর, বাংলামোটর, মৌচাক,  কাকরাইল, মিন্টু রোড, পল্টন, রামপুরা, বাড্ডা, নতুনবাজার, এলাকায় যানবাহনের তীব্র চাপ রয়েছে। এছাড়া সিগন্যালগুলোতে বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে যানবাহনকে। তবে, মেট্রোরেল যেসব রুটে রয়েছে, সেসব রুটে তেমন যানজট নেই।

সাভার-যাত্রাবাড়ী রুটে চলাচলকারী বাসের হেলপার জানান, ট্যানিক্যাল, কলেজগেট, আড়ং, কারওয়ান বাজারে ব্যাপক যানজট রয়েছে। সকালের তুলনায় বিকালে যানজট বেশি থাকে। আধা ঘণ্টার রাস্তা যেতে দেড় দুই, ঘণ্টা চলে যায়।

আরও পড়ুন: ইফতারের আগে যেসব রুটে তীব্র যানজটের আশঙ্কা

এদিকে, যানজটের ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানবাহন আটকে থাকলেও বেশিরভাগ গণপরিবহণে তিল ধারণের জায়গা নেই। বাসের গেটে অনেককে ঝুলতে দেখা গেছে। চৈত্রের গরমে ভিড় ও যানজটে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের। অনেকে বিরক্ত হয়ে বাস থেকে নেমে হাঁটা ধরছেন। সারাদিন রোজা রাখার কারণে অনেকে তাও করতে পারছেন না। যানজটে বসে ভোগান্তি নিয়েই অপেক্ষা করছেন বাড়ি ফেরার।

এবার রোজার মাসে সরকারি অফিসগুলোর সময়সূচি ঠিক করা হয়েছে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা। মূলত অফিস শেষে পরিবারের সঙ্গে ইফতার করতে বাসায় ফেরার তাড়া থাকে কর্মজীবীদের। যার চাপ পড়ে সড়কে।

আরও পড়ুন: পণ্যের বিজ্ঞাপন সংক্রান্ত প্রবিধানমালা বাস্তবায়ন করছে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ

এ বিষয়ে তেজগাঁও ট্রাফিক জোনের অতিরিক্ত ডিআইজি মোস্তাক আহমেদ গণমাধ্যমকে জানান, “অফিস ছুটির পর সবাই ইফতার করতে একসঙ্গে বাড়ির পথ ধরে। তার উপর আজকে বৃহস্পতিবার শেষ কর্মদিবস। যার ফলে সড়কে যানবাহনের ব্যাপক চাপ রয়েছে। কারণ রাস্তার ধারণক্ষমতার তুলনায় যানবাহনের সংখ্যা অনেক বেশি। তারপরও কোথাও গাড়ি দাঁড়িয়ে নেই। আমাদের পর্যাপ্ত জনবল আছে। পাশাপাশি রমজান ঘিরে বিশেষ ট্রাফিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সবাই যেন ইফতারের আগে বাসায় পৌঁছাতে পারে আমরা সেই চেষ্টা করছি।”

জেবি/এসবি