Logo

জুড়ীর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে সেবার দরজায় ঝুলছে তালা

profile picture
জনবাণী ডেস্ক
২২ মার্চ, ২০২৪, ০১:০৫
74Shares
জুড়ীর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে সেবার দরজায় ঝুলছে তালা
ছবি: সংগৃহীত

এছাড়াও স্বাস্থ্য কেন্দ্রের আশেপাশে নোংরা পরিবেশ। নেই বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থাও।

বিজ্ঞাপন

হোসাইন রুমেল: মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার প্রান্তিক পর্যায়ের সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রতিটি ইউনিয়নে প্রতিষ্ঠা করা হয় ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র। এসব স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মাধ্যমে সেবা প্রত্যাশী জনগোষ্ঠীকে নিয়মিত ভাবে স্বাস্থ্য বিষয়ক বিভিন্ন রকম সেবা ও প্রয়োজনীয় ওষুধ প্রদানের নিয়ম থাকলেও ব্যতিক্রম চিত্র জুড়ী উপজেলার ফুলতলা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে।

জানা গেছে, এই এলাকায় প্রায় ৪০ হাজারের মতো জনসংখ্যার এই ইউনিয়নে স্বাস্থ্য সেবা না পেয়ে নিরাশ হয়ে ফিরতে হচ্ছে এলাকার সাধারণ লোকজনকে। এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোর জন্য সরকার লাখ লাখ টাকা খরচ করছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। ডাক্তার নাই, ওষুধ নাই। সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৩ টা পর্যন্ত খোলার কথা থাকলেও  প্রায় দিনই বন্ধ থাকে। এসব দেখার যেন কেউ নেই।

বিজ্ঞাপন

এছাড়াও স্বাস্থ্য কেন্দ্রের আশেপাশে  নোংরা পরিবেশ। নেই বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থাও। কেন্দ্রের চারিদিকে দেয়াল থাকার কথা থাকলেও  সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত গরু ছাগলের মাঠ হিসাবে ব্যবহার হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

সরেজমিনে দুপুর ১২ টায় গিয়ে ফুলতলা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে গেলে দেখা যায়- উপসহকারি কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার, পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক ও  ফার্মাসিস্ট কর্মকর্তার রুমে তালা ঝুলানো। অবশ্য তালা ঝুলানোর কারণ হিসাবে জানা যায় উপসহকারী কমিউনিটি চিকিৎসা কর্মকর্তা ৩ বছর আগে আসলেও থাকেননি ৩ দিনও। ফার্মাসিস্ট ও অফিস সহায়ক কাম নিরাপত্তাপ্রহরী পদ শূন্য রয়েছে ১ যুগের ও বেশি সময় ধরে।

বিজ্ঞাপন

তবে পরিকল্পনা পরিদর্শকার পদের দ্বায়িত্বে  আছেন জোছনা বেগম চৌধুরী, আয়া হিসাবে দ্বায়িত্বে রয়েছেন নিলুফা ইয়াসমিন। তাদের দুই জনের কারণে এখনো আলো বাতাসের দেখা পাচ্ছে এই স্বাস্থ্য কেন্দ্র।

বিজ্ঞাপন

এই বিষয়ে ফুলতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম তাজুল ইসলাম বলেন, স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভালো ডাক্তার নেই, বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা নেই। এবং পরিবেশগত দিক দিয়ে অনেক খারাপ অবস্থা এখানে স্বাস্থ্যের ঝুঁকি রয়েছে যার কারণে মানুষ এখানে চিকিৎসা সেবা নিতে এসে অসুস্থ হয়ে পড়ে।

 

স্থানীয় ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য জামাল উদ্দিন সেলিম বলেন, ফুলতলা একটি সীমান্তবর্তী ও অবহেলিত এলাকা। এখানে দুইটি বড় চা বাগান ও দুইটি মহাল রয়েছে, যেখান থেকে সরকার কোটি কোটি টাকার রাজস্ব আদায় করে। সেখানে একটি মাত্র স্বাস্থ্য কেন্দ্র। এখানে ভালো ডাক্তার দেয়া হলে ও এটির পরিচর্যা করলে এলাকার মানুষ উপকৃত হবে।

বিজ্ঞাপন

স্থানীয় বাসিন্দা তানভীর চৌধুরী তাপস বলেন, এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি আমার বাড়ির পাশে এবং এটি প্রায় সময়েই বন্ধ থাকে। মানুষ চিকিৎসা সেবা নিতে আসলে নিরাশ হয়ে ফিরে যায়। একদম বেহাল অবস্থা। আমরা কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

বিজ্ঞাপন

এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সমরজিৎ সিংহ জানান, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র আমার অধীনে নয় এটি  উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আব্দুল মতিন সাহেবের অধীনে।

বিজ্ঞাপন

উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আব্দুল মতিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, কেন্দ্রে যে সকল সমস্যা রয়েছে আমরা ভিজিট করে অধিদপ্তরে জানাই। এখন সরকার এসব না দেখলে আমাদের কি করার তবে নিয়োগের ব্যাপারে আমি কিছু জানি না সমরজিৎ বাবু জানেন।

বিজ্ঞাপন

মৌলভীবাজার জেলা সিভিল সার্জন ডা. চৌধুরী জালাল উদ্দিন মুর্শেদ রুমী বলেন, আমি যতটুকু জানি জুড়ী উপজেলায় আমাদের কোনো সাব সেন্টার নাই। যদি থাকেও এটি ফ্যামিলি পেন্ডিং এর আন্ডারে।

জেবি/এসবি

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ

মোঃ শফিকুল ইসলাম ( শফিক )

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ৫৭, ময়মনসিংহ লেন, ২০ লিংক রোড, বাংলামটর, ঢাকা-১০০০।

ফোনঃ 02-44615293

ই-মেইলঃ dailyjanobaninews@gmail.com; dailyjanobaniad@gmail.com

জনবাণী এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। কপিরাইট © ২০২৫

Developed by: AB Infotech LTD