ঈদের কেনাকাটায় বিশেষ কিছু বিষয় লক্ষ্য রাখবেন
জনবাণী ডেস্ক
প্রকাশ: ০৭:১৯ অপরাহ্ন, ২৫শে মার্চ ২০২৪
ঈদুল ফিতর ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের জন্য বছরের সবচেয়ে বড় উৎসব। সারা বছর ধরে সবাই এই বিশেষ দিনের জন্য অপেক্ষা করে থাকেন। এই দিনকে ঘিরে বিভিন্ন পরিকল্পনা থাকে। সেই পরিকল্পনারই বড় একটি অংশ হলো ঈদের কেনাকাটা করা। আর ঈদের আনন্দ দ্বিগুণ হয় যখন প্রিয়জনদের জন্য মনমতো কেনাকাটা করা যায়। কিন্তু সেসব কিছু কিনতে যাওয়ার আগে কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখা অনেক জরুরি। নাহলে আপনার কষ্টের টাকা সঠিকভাবে খরচ নাও হতে পারে। সবকিছুর জন্যই একটি পরিকল্পনা থাকা ভালো। এতে সে অনুযায়ী কাজ সমাপ্ত করা সহজ হয়।
তবে চলুন জেনে নেওয়া যাক ঈদের কেনাকাটার আগে কোন বিষয়গুলো খেয়াল করা অতন্ত জরুরি-
সঠিক পরিকল্পনা করা: কেনাকাটা করার আগে ভালোভাবে তালিকা তৈরি করে নিতে হবে। আপনি কী কিনতে চান, আপনার কোনটি বেশি প্রয়োজন, আর কোনটি কম প্রয়োজন, সেই গুরুত্ব অনুযায়ী তালিকা সাজাতে হবে। তাহলে কেনাকাটা করতে অনেক সুবিধা হবে। অনেক সময় লক্ষ্য করলে দেখা যায়, তাড়াহুড়োয় অপ্রয়োজনীয় জিনিসও কেনা হয়। এভাবে তালিকা সাজিয়ে নিলে আর সেই ভয় আর থাকবে না।
আরও পড়ুন: ইফতার ও সেহরির সময় যা খাবেন, যা খাবেন না
বাজেট নির্ধারণ করে নেওয়া: কেনাকাটার জন্য আপনি ঠিক কতটা বাজেট রাখবেন, সেটি আগে থেকেই নির্ধারণ করে নিতে হবে। নতুবা পরে দেখা যাবে, অনেক অপ্রয়োজনীয় জিনিস কেনা হয়ে গেছে, কিন্তু প্রয়োজনীয় জিনিস কেনার জন্য আর বাজেট নেই। তখন বেশ সমস্যায় পড়তে হবে। তাই আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী খরচ করুন। সামর্থ্যের বাইরে গিয়ে বাজেট করবেন না।
বিভিন্ন পোশাকের দাম সম্পর্কে ধারণা রাখা: ঈদ উপলক্ষে কেনাকাটার আগে যা কিনবেন তার দাম সম্পর্কে ধারণা নিয়ে যাওয়াই ভালো। কারণ এ সময়টাতে সব কিছুর দামই অনেকটা বাড়িয়ে বলা হয়। তাই দাম সম্পর্কে ধারণা থাকলে কেনাকাটা করতে সহজ হবে।
কেনাকাটার জায়গা নির্ধারণ: সবার সব জায়গা থেকে কেনাকাটা করার সামর্থ্য থাকে না। তা ছাড়া প্রয়োজনীয় সব জিনিসও সব জায়গায় পাওয়া যায় না। তাই আপনার সামর্থ্য এবং প্রয়োজন অনুযায়ী কোন মার্কেট থেকে কী কিনবেন, তা আগেই ঠিক করে রাখবেন। এতে আপনার সময় বাঁচবে অনেকটাই। আপনাকেও রোজা রেখে এদিক-ওদিক ছোটাছুটি করতে হবে না।
আরও পড়ুন: সাহরিতে যেসব খাবার না খাওয়ায় ভালো
অর্থের অপচয় না করা: ঈদে সবাই অনেক কেনাকাটা করে, এটা ঠিক। তবে এটাও মাথায় রাখতে হবে, অর্থের খুব বেশি অপচয় যেন না হয়। অপচয় না করার জন্য ইসলাম ধর্মে বলা হয়েছে। কেনাকাটার ক্ষেত্রেও আপনাকে সংযম ধরে রাখতে হবে।
যাচাই করে কেনা: যেকোনো জিনিস কেনার সময় যাচাই-বাছাই করে কিনতে হবে এবং ক্রয়ের রসিদ সংগ্রহ করতে হবে। যাতে ঠিকঠাক জিনিস ক্রয় করা যায় কিংবা প্রয়োজনে বদলানো যায়। এই সুযোগ থাকলে আপনার পোশাক কিনে ঠকে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আত্মীয় ও অভাবীদের জন্য কেনাকাটা: বাজেটের একটা অংশ রাখতে হবে নিকাত্মীয় ও দরিদ্রদের জন্য। উপহার আদান-প্রদানে সম্পর্ক আরও সুন্দর হয়ে ওঠে। আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী আত্মীয় ও দরিদ্রদের জন্য কেনাকাটা করুন। তাদের খুশি দেখে আপনার মনও ভালো থাকবে।
আরও পড়ুন: ইফতারের সময় কী খাবেন?
আরামদায়ক পোশাক কেনা: ঈদ উপলক্ষে কেনা হলেও সেই পোশাক আমরা সারা বছরই কমবেশি পরে থাকি। তাই পোশাকটা যেন আরামদায়ক হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। অনেক টাকা দিয়ে ভারী জামা কিনে রেখে দিলে সেই পোশাক পরবর্তী সময়ে আলমারিতেই থেকে যাবে। তাই এমন পোশাক কিনুন, যা আরামদায়ক এবং সবসময় ব্যবহারের উপযোগী।
বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন: ঈদের সময় মার্কেটে অনেক ভিড় থাকে। এ সময় পকেটমার, ছিনতাইকারীর দৌরাত্ম্য অনেক বেড়ে যায়। তাই অবশ্যই বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে যেন টাকাপয়সা, মোবাইল বা কোনো প্রয়োজনীয় জিনিস হারিয়ে না যায়।
এমএল/