পাবনায় মাচায় তরমুজ চাষে কৃষকেরা সাবলম্বী


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৫:৪৫ অপরাহ্ন, ২৪শে এপ্রিল ২০২৪


পাবনায় মাচায় তরমুজ চাষে কৃষকেরা সাবলম্বী
ছবি: প্রতিনিধি

গ্রীষ্মকালীন মাচায় তরমুজ চাষ করে সাবলম্বী কৃষকেরা। পাবনা সাথিয়া উপজেলার করমজা ইউনিয়নের পূর্ব মল্লিকপাড়ায় গ্রীস্মকালীন তরমুজ চাষে কৃষকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।


জানা যায়, পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এর সহযোগিতায় সমন্বিত কৃষি ইউনিট কৃষি খাতের আওতায় প্রোগামস ফর পিপলস ডেভেলপমেন্ট (পিপিডি) কর্তৃক বাস্তবায়িত বেড়া শাখার আওতায় কৃষকদের উৎসাহিত করা হয় গেল বছর সাঁথিয়ার করমজা গ্রামের কৃষক আবুল খায়ের নতুন জাতের এই তরমুজ ছয় একর জমিতে চাষ করেন। এতে মোটামুটি লাভবান হওয়া এবছর মোট ১২ জন কৃষক আগ্রহ প্রকাশ করে এক হেক্টর জমিতে চাষ করছেন নদুন এই নতুন জাতের তরমুজ।


প্রতিটি তরমুজের ওজন গড়ে ২-৩ কেজি হয়। সাইজে ছোট হওয়ায় সকলের ক্রয় ক্ষমতার নাগালে থাকে। এই তরমুজ খেতে অনেক সুস্বাদু পুষ্টিকর। এই তরমুজ চাষে ব্যবহৃত হচ্ছে মালচিং পেপার। এই পেপারে ফসল চাষ করলে মাটির আর্দ্রতা ঠিকঠাক থাকে, জমিতে আগাছার পরিমাণ হয়না বললেই চলে এবং রোগবালাইও তুলনামূলক কম হয়।


আরও পড়ুন: তাপ প্রবাহে প্রাণিসম্পদ ব্যবস্থাপনায় করণীয়


কৃষকরা জানান, আশা করছি এই তরমুজ বিক্রি করে অনেক ঢাকা আয় করতে পারব। চাষাবাদের এই নতুন পদ্ধতি দেখে কৃষকরা অনেক স্বনন্দিত। আগামীতে এই প্রযুক্তিতে তরমুজ চাষ ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাবে বলে কৃষকেরা মনে করছেন।


তরমুজ খেতে অনেক সুস্বাদু পুষ্টিকর। এই তরমুজ চাষে ব্যবহৃত হচ্ছে মালচিং পেপার। এই পেপারে ফসল চাষ করলে মাটির আর্দ্রতা ঠিকঠাক থাকে, জমিতে আগাছার পরিমাণ হয়না বললেই চলে এবং রোগবালাইও তুলনামূলক কম হয়।


কৃষক আবুল খায়ের বলেন, গেল বছর আমি প্রথমে আমি ৬ একর জমিতে এই পদ্বতি মাচায় তরমুজ চাষ করি এতে মোটামুটি ভালো লাভ হয়। এবার আমি দুই বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। আমার দেখাদেখি এবার অনেক কৃষক মাচায় তরমুজ চাষ করেছেন। একবার বেড তৈরি করলে তিনবার ফসল ফলানো যায় এতে খরচও কম হয়। এবছরও ভালো লাভ হবে বলে আশ করছি।


আরও পড়ুন: বেগুন চাষে স্বাবলম্বী ভাঙ্গার সম্রাট মাতব্বর


পিপিডি'র কৃষি কর্মকর্তা, অনুপ কুমার ঘোষ বলেন, মল্লিকপাড়ায় মালচিং পদ্ধতির মাধ্যমে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ হচ্ছে।


২০২৩ সালে মাত্র ২ জন কৃষকের মাধ্যমে ২০ শতক জমিতে প্লট আকারে শুরু করা হয়েছিল, কিন্তু বর্তমানে তাবেড়ে ১২ জন কৃষকের মাঝে পায় ১ হেক্টর জমিতে চাষবাদ হচ্ছে এবং চাষীদের দক্ষতা উন্নয়নের জন্য প্রশিক্ষণও প্রদান করা হয়েছে।


সর্বোপরি পিকেএসএফকে সাধুবাদ জানাচ্ছি আর্থিকভাবে সহযোগিতা করার জন্য সাঁথিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জিত কুমার জানান, মালচিং পদ্ধতিতে তরমুজ চাষে কৃষদের ব্যাপক আগ্রহ বাড়ছে পিপিভি'র সাথে আমরাও কৃষকদের নিয়ে আমরা একাধিকবার উঠান বৈঠক করেছি। করমজা গ্রামের প্রতিটি তরমুজ চাষিদের উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বিষমুক্ত চাষাবাদ করার পরামর্শের পাশাপাশি সকল পরামর্শ দিয়ে আসছি।


এমএল/