শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত আসছে

শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন নাহার জানিয়েছেন, আবহাওয়া পরিস্থিতি বিবেচনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে। 

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সচিবালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, “শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা বা বন্ধের বিষয়ে আবহাওয়া পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে তারপরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এক্ষেত্রে আগামীকাল শুক্রবার বা শনিবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

এর আগে গেল ২০ এপ্রিল প্রচণ্ড গরমের কারণে দেশের সব স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসায় ৭ দিনের ছুটি ঘোষণা করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। রোজার ঈদ ও পহেলা বৈশাখের টানা ছুটি শেষে গেল ২১ এপ্রিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা ছিল। এই ছুটির ফলে আগামী ২৮ এপ্রিল খোলার কথা রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। তবে দেশে চলমান তীব্র তাপপ্রবাহ এখনও কমেনি, ফলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি আরো বাড়তে পারে।

গেল ২১ এপ্রিল স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি বৃদ্ধির ইঙ্গিত দেন। সেসময়ে তিনি বলেন, “তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি বুঝে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ানো হবে। কারণ আমরা বাচ্চাদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলব না।”

আরও পড়ুন: তীব্র তাপদাহে প্রাথমিক-মাধ্যমিকে চালু হতে পারে অনলাইনে ক্লাস

সেইসাথে বাচ্চা ও বয়স্কদের প্রয়োজন ছাড়া বাসার বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দেন ডা. সামন্ত লাল সেন। এছাড়া হাসপাতালগুলোকে প্রতিকূল পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।

এদিকে, দেশে তৃতীয় দফায় আরও ৩ দিনের হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদফতর। সংস্থাটি বলছে, দেশজুড়ে চলমান তাপমাত্রার পারদে খুব একটা হেরফের হবে না। বাতাসে জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বাড়তে পারে। এতে প্রচণ্ড তাপদাহে মানুষ, পশু-পাখির নাকাল অবস্থা এখনই শেষ হচ্ছে না। ফলে চলমান হিট অ্যালার্ট (তাপপ্রবাহ) আরো ৩ দিন বাড়ানো হয়েছে।

বৃহস্পতবার  সকাল থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা বা তিনদিন হিট অ্যালার্ট অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

আরও পড়ুন: আগামী বছর এসএসসি পরীক্ষা হবে পাঁচ ঘণ্টা

এতে বলা হয়, আপাতত বড় পরিসরে বৃষ্টি হয়ে তাপপ্রবাহ দূর হওয়ার সম্ভাবনা নেই। ফলে আগের জারি করা ৩ দিনের হিট অ্যালার্ট শেষ হয়েছে গতকাল বুধবার। আজ থেকে আরও তিনদিনের হিট অ্যালার্ট জারি করা হলো।

আবহাওয়া অফিস বলছে, “পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত যথেষ্ট নয়, প্রয়োজন বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে বৃষ্টি। আগামী মে মাসে বৃষ্টিপাত বাড়লে দাবদাহ অবস্থার কিছুটা পরিবর্তন হতে পারে বলে ধারণা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের।”

জেবি/এসবি