টুঙ্গিপাড়ায় ফেসবুকে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট তথ্য প্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৫:১৭ অপরাহ্ন, ২৫শে এপ্রিল ২০২৪
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার ডুমুরিয়া ইউনিয়নের পারঝনঝনিয়া গ্রামের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক আলহাজ্ব মো. আসলাম শেখের নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ ও ইউটিউব-এ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট তথ্য প্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুর ১২ টায় ভুক্তভোগী আসলাম শেখ তার নিজ বাড়ীতে তারই আপন ভাই দবির শেখের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে আসলাম শেখ বলেন, বেশ কিছুদিন পূর্বে আমার নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, ইউটিউব ও হোয়াটসঅ্যাপ-এর মাধ্যমে আমাকে জড়িয়ে মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও ভুয়া তথ্য প্রচার করে আমাকে পারিবারিক ও সামাজিকভাবে হেয় করা হয়েছে। আমি ন্যাক্কারজনক এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
আপনারা সকলে অবগত আছেন যে, আমি পূর্বে সেনা বাহিনীতে কর্মরত ছিলাম। সেনা বাহিনীর চাকুরি থেকে অবসরের পর ২০০৬ সাল থেকে আমি গার্মেন্টস ব্যবসার সাথে জড়িত এবং ঢাকাস্থ মিরপুর-১ নম্বর এলাকায় "মিতালী" মার্কেটের ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হিসাবে দীর্ঘদিন যাবৎ দায়িত্ব পালন করে আসছি। এছাড়াও আমি স্থানীয় রাজনীতির সাথে জড়িত। বর্তমানে আমি ০৫ নং ডুমুরিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করে চলেছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে এক কোটি টাকা প্রণোদনা দিয়েছেন। গার্মেন্টস ব্যবসায় আমার সাফল্য স্থানীয় কিছু দুষ্কৃতিকারী ও স্বার্থান্বেষী মহল সহজে মেনে নিতে পারছেন না। তাই আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে। কিছুদিন আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাড়াটিয়া লোক দিয়ে ভুয়া অপপ্রচার করিয়েছে যাতে আমার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুরে বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায়
গত ২৯/০৩/২০২৪ ইং তারিখ বিকাল ৪.২১ ঘটিকার সময় ওরা আমার গ্রামের বসত বাড়ির কিছু ছবি মোবাইলে ধারণ করে। তাই দিয়ে কিছু ভিডিও বানিয়ে পরবর্তীতে ০১৮১৮৬১৯২৬৭ নম্বর দিয়ে একটি ভিডিও আপলোড করে। পরবর্তীতে জানতে পারি ওই নম্বরটি আমার আপন বড় ভাই এস.এম দবির হোসেনের। তার কাছে এ বিষয়ে জানতে ফোন করলে সে আমার ফোন রিসিভ করেননি। গত ১৫/০৩/২০২৪ ইং তারিখে আমার আম্মা মৃত্যুবরণ করেছেন। মৃত্যুবরণ করার পরে পৈতৃক / ক্রয়কৃত সম্পত্তি ভাগাভাগির জেরে সে এ অপপ্রচারে লিপ্ত হয়। যে লোকের মাধ্যমে এই মিথ্যা অপপ্রচারটি করেছেন সে আমাদের এলাকার বাসিন্দা নন। আমি আমার বড় ভাই মোস্তফা কামালের কাছ থেকে ক্রয় করি ২৬ শতাংশ, মো. হাবিবুর রহমানের কাছ থেকে ক্রয় করি ৭৮ শতাংশ, এস.এম দবির হোসেনের কাছ থেকে ক্রয় করি ১০৪ শতাংশ, মো. শফিকুল ইসলামের কাছ থেকে ক্রয় করি ১২১ শতাংশ, মো. মফিজুল ইসলামের কাছ থেকে ক্রয় করি ৬৫ শতাংশ, আমার আম্মার ২৬ শতাংশ, আমার বড় বোন আলেয়া বেগমের কাছ থেকে ক্রয় করি ১৩ শতাংশ জমি ও আরো কিছু জমি বাবুল, স্বপ্না, মফিজুর গং-এর কাছ থেকে ক্রয় করি এটার বিরুদ্ধেও ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে।
এই জমি আমার অনুকূলে নিতে চাইলে তখনি তাদের সাথে আমার বিরোধ সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে তারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচারে লিপ্ত হয়। যারা এ অপপ্রচারের সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আমি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানাচ্ছি।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পারি যে, এরা ভাড়াটিয়া গুন্ডা বাহিনীর মাধ্যমে আমাকে প্রাণে মেরে ফেলারও গভীর ষড়যন্ত্র চালিযে যাচ্ছে এবং প্রকাশ্যেও হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে, আমার কোন দূর্ঘটনা ঘটলে ও আমার কোনো প্রকার ক্ষতি সাধন হলে এরাই দায়ী থাকবে।
প্রিয় সাংবাদিক ভাই, আমি আমার জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত সহ আপনাদের মাধ্যমে দেশবাসী ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মমতাময়ী মা শেখ হাসিনার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এমএল/