পুরনো প্রেমিকের সাথে একই শাড়িতে ঝুলে আত্মঘাতী গৃহবধূ
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
প্রেমে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল পরিবারের সদস্যরা। তরুণীকে জোর করে বিয়ে দিয়েছিলেন অন্যত্র। কিন্তু প্রেম যে কোন বাধার পরোয়া করে না। তাই বাধ্য হয়ে অন্যত্র বিয়ে করলেও প্রেমিকের প্রতি টান কমেনি। বাবার বাড়ি আসায় দু'বছর পর প্রেমিকের সঙ্গে নতুন করে তৈরি হয়ে ছিল ঘনিষ্ঠতা। যার জেরে চরম সিদ্ধান্ত নিলেন যুগল প্রেমিক প্রেমিকা।
ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরে। রবিবার সকালে ভগবানপুরের সুবোধপুর গ্রামের একটি শ্মশানের গাছে দুটি দেহ ঝুলতে দেখেন স্থানীয়রা। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় পুলিশে। একই শাড়িতে ঝুলন্ত তরুণী ও যুবকের দেহ উদ্ধার করে তাঁরা।
জানা গেছে, মৃত তরুনীর নাম সোনামনি প্রধান ও যুবক শ্রীকান্ত সামন্ত। ভগবানপুরের বাবিয়া গ্রামের বাসিন্দা সোনামনি। বিবাহসূত্রে খাগা গ্রামে থাকতেন তিনি। আর পশ্চিম ঘোষপাড়া এলাকার বাসিন্দা শ্রীকান্ত। মৃতেরা একই সঙ্গে স্কুলে পড়তেন। সেই সময় তাঁদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। প্রণয়ের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে যুগল। কিন্তু সোনামনি আর শ্রীকান্তের প্রেমে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল তরুণীর পরিবার। সম্পর্ক মেনে নেননি তাঁরা। জোর করে অন্যত্র বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয় সোনামনির।
স্থানীয় সূত্রে প্রকাশ, কিছুদিন আগেই বাবার বাড়িতে এসেছিলেন সোনামনি। এরপর শনিবার রাতে আচমকা বাড়ি থেকে বেপাত্তা হয়ে যান সোনামনি। রবিবার সকালে মেলে দেহ। প্রেমিকের সঙ্গে ঘর বাঁধার স্বপ্ন পূরণ হবে না, তা বুঝতে পেরেই একসঙ্গে মৃত্যুর পথ বেঁছে নিল যুগল।
যদিও এই জোড়া মৃত্যুর নেপথ্যে অন্যকোন ও রহস্য রয়েছে কিনা, তা এখন ও স্পষ্ট নয়। যুগলকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়ার তত্ত্ব ও উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ।
এসএ/