শাকিব খানের সাথে বিয়ের গোপন তথ্য ফাঁস করলেন অপু
বিনোদন প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:২২ অপরাহ্ন, ২৭শে এপ্রিল ২০২৪
ঢাকাই সিনেমার সফল জনপ্রিয় জুটি অপু বিশ্বাস-শাকিব খান। এ জুটির অভিনীত অধিকাংশ সিনেমাই ব্যবসাসফল হয়েছে। এ কারণে দর্শকমহলেও অনেক পরিচিত জনপ্রিয় এই জুটি। একসাথে কাজ করতে করতে প্রেম অতঃপর বিয়ে করেন তারা দুজন। বিয়ের পর তাদের দাম্পত্যজীবনে ঘর আলো করে আসে সন্তান আব্রাম খান জয়।
বিয়ে ও সন্তানের কথা প্রকাশ্যে আসার পর ভাঙনের সুর বাজতে থাকে এই তারকা জুটির সংসারে। একপর্যায়ে বিবাহ বিচ্ছেদ হয় তাদের। দুজনের দুদিকে পথ চলতে থাকলেও সাম্প্রতিক সময়ে এ নায়িকাকে বেশ ইতিবাচক দেখা যায় সাবেক স্বামী ও অভিনেতা শাকিবের ব্যাপারে। এমনকী বেশ ঘনিষ্ঠতাও রয়েছে তাদের মধ্যে। এবার নায়কের সাথে কীভাবে বিয়ে হয়েছিল তা জানিয়েছেন অভিনেত্রী অপু বিশ্বাস।
সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যমে এসে ব্যক্তিজীবন নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। অপু বিশ্বাস বলেন, মা কখনই আমাকে নায়িকা ভাবেননি। কোনো একটা ব্যাপারে শুটিং সেটে এসেই মা ধাপ্পড় দিয়েছেন আমাকে। আমি তখন মেকআপ নেওয়া, রোমান্টিক সিনের জন্য প্রস্তুত। আর মা বলছে, এদিকে আয়। আমি বলি আসছি। কিন্তু আসছি বললাম কিজন্য, উঠে সবার সামনেই দুই গালে দুটি থাপ্পড় দিয়েছেন মা।
আরও পড়ুন: বুবলীকে ডাক্তার দেখানো উচিত, বললেন অপু বিশ্বাস
অপু বলেন, বলতে গেলে সেসময় ক্যামেরা অন। মেকআপ থাকায় মুখে থাপ্পড়ের দাগ বসে গেছে। সেটে উপস্থিত থাকা সবাই বলছিল, আন্টি কী হয়েছে, কী হয়েছে। ছবির নাম ছিল ‘তোমার জন্যে মরতে পারি’। সবার সামনে একে তো এমন লজ্জা, আবার মারের ব্যথাতো আছেই, তৃতীয়ত যাকে পছন্দ করি তার সামনে ছোট হয়ে গেলাম না? এসব কিছুই হচ্ছে বিয়ের পূর্বের ঘটনা। আর এসব ব্যাপার থেকেই আমাদের বিয়ে।
এই নায়িকা বলেন, মা যখন এভাবে আমাকে বাধা দিচ্ছিল, শাকিব খান তখন মগবাজারের একটি ডুপ্লেক্স বাসায় থাকত। সেখানে গিয়েছিলাম। আর সেখানে আমার শাশুড়িও ছিলেন। তখন আন্টি বলে ডাকি আমি। যাওয়ার পর আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, আমি কী খেতে পছন্দ করি। আমি সবসময় ইলিশ মাছ খেতে খুবই পছন্দ করি।
অপু বিশ্বাস বলেন, আমার মাকে আমি বলেছিলাম, আমি শপিংয়ে যাচ্ছি। শাকিব খানের বাসায় যাওয়ার পর আমাকে ইলিশ মাছ খাওয়ান আন্টি। সাথে উকিল বাবা মামুন (প্রযোজনা ব্যবস্থাপক মামুনুজ্জামান মামুন) ছিলেন। শাশুড়ি ইলিশ মাছ ভেজে খাওয়ান। মাছের এক টুকরা আমাকে খাইয়েও দেন। এত লজ্জা আর ভয় লাগছিল। আবার বিষয়টি এত বেশি ভালো লেগেছিল যে প্রায় তিন মাস আমি শুধু ওই কল্পনা বা চিন্তাই করতাম। মানে কীভাবে সবার মধ্যে আমাকে খাওয়াল। একবার এক লোকমাই খাইয়ে দিয়েছিল।
এমএল/