মধ্যরাতে চট্টগ্রামের পথে রওনা হচ্ছে এমভি আব্দুল্লাহ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:২২ অপরাহ্ন, ১লা মে ২০২৪
সোমালি জলদস্যুর হাত থেকে মুক্ত পাওয়ার পর বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ২৩ নাবিক নিয়ে চট্টগ্রামের পথে রওনা হতে যাচ্ছে।
বুধবার (১ মে) মধ্যরাতেই জাহাজটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের সমুদ্রসীমা ত্যাগ করবে বলে জানা গেছে।
এদিন স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন জাহাজের প্রধান প্রকৌশলী এ এস এম সাইদুজ্জামান।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত জাহাজটি আমিরাতের ফুজাইরাহ বন্দর সীমানায় অবস্থান করছে। বুধবার মধ্যরাতেই ২৩ নাবিক নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশে নোঙর তুলবে জাহাজটি। ইতোমধ্যে সংযুক্ত আমিরাত থেকে জাহাজে ৫৫ হাজার টন চুনা পাথর বোঝাই করা হয়েছে।
প্রধান প্রকৌশলী সাইদুজ্জামান জানান, ফুজাইরাহ বন্দর থেকে জাহাজে জ্বালানি তেল নেওয়া হচ্ছে। তেল নেওয়া সম্পন্ন হলে রাত ১২টার মধ্যেই জাহাজটি দেশের উদ্দেশে রওনা হবে। আগামী ১৫ মে’র মধ্যে জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছাবে।
আরও পড়ুন: ২৩ নাবিকসহ দেশের পথে এমভি আবদুল্লাহ
তিনি আরও জানান, জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পাওতার পর শারজাহর আল হামরিয়া বন্দরে জাহাজে থাকা ৫৫ হাজার টন কয়লা খালাস করা হয়। এরপর গত শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে নতুন কার্গো বোঝাই করতে জাহাজটি দেশটির মিনা সাকার সমুদ্র বন্দরে যায়। সেখানে নতুন করে ৫৫ হাজার টন চুনা পাথরের কার্গো বোঝাই করা হয়।
এদিকে, কেএসআরএম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুল করিম জানান, আরম আমিরাত ত্যাগ করার পর মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে এমভি আবদুল্লাহ ২৩ নাবিকসহ চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছাবে।
এর আগে ২৩ নাবিকসহ জাহাজটি গেল ২১ এপ্রিল বিকেলে আল হামরিয়া বন্দরের বহির্নোঙরে নোঙর করেছিল। এর পরদিন (২২ এপ্রিল) রাতে জেটিতে নোঙর ফেলে জাহাজটি। এরপর শুরু হয় কয়লা খালাসের প্রক্রিয়া।
আরও পড়ুন: এমভি আবদুল্লাহর কয়লা খালাস শুরু, জাহাজেই ফিরবেন ২৩ নাবিক
তার আগে আগে মুক্তিপণ দিয়ে গেল ১৩ এপ্রিল দিবাগত রাত ৩টা ৮ মিনিটে এমভি আবদুল্লাহ এবং জাহাজে থাকা ২৩ নাবিক জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পান। এরপর জাহাজটি আমিরাতের আল হারমিয়া বন্দরের উদ্দেশে রওনা হয়।
প্রসঙ্গত, মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে দুবাই যাওয়ার পথে গেল ১২ মার্চ সোমালিয়ার দস্যুরা ভারত মহাসাগর থেকে এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটিকে জিম্মি করে। এরপরে মুক্তিপণ দিয়ে জাহাজটি ১৩ এপ্রিল দিবাগত রাতে ছাড়া পায়। অর্থাৎ, জিম্মি করার ৩২ দিন পর জাহাজটি মুক্তি পায়।
জেবি/এসবি