বাবার স্বপ্ন মেয়ে পড়বে ইবির আইন বিভাগে


Janobani

ক্যাম্পাস প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৪:৫১ অপরাহ্ন, ৩রা মে ২০২৪


বাবার স্বপ্ন মেয়ে পড়বে ইবির আইন বিভাগে
ছবি: জনবাণী

চোখে মুখে স্বপ্নের আভা। মেয়ের থেকে বাবার স্বপ্নই বেশি। অনেকের কাছে একটা আসন নিশ্চিত করাটাই স্বপ্নের চেয়ে বড়। সেই মুহূর্তে মেয়েকে পরীক্ষা কেন্দ্রে পাঠিয়ে ডায়না সত্বরে বাবার একমাত্র জিকির আইনে পড়ার মতো পজিশন হোক মেয়ের। বলছি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) কেন্দ্রে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা এক অভিভাবকের স্বপ্নের কথা। স্বপ্নের কথা বলতে গিয়ে এক পর্যায়ে তিনি বলেন আইনে পড়ার স্বপ্ন আছে বলেই ইবিতে মেয়েকে নিয়ে আসছি।


শুক্রবার (৩ এপ্রিল) গুচ্ছভুক্ত 'বি' ইউনিট ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা মেয়ে শিক্ষার্থী শিকফার অভিভাবক কায়মনোবাক্যে ব্যক্ত করেন তাঁর লালিত স্বপ্নের কথা।


আরও পড়ুন: তীব্র তাপদাহ থেকে রক্ষা পেতে ইবিতে ইসতিসকার নামাজ আদায়


পরীক্ষার্থীর বাড়ি রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলায়। পরিবারের তৃতীয় সন্তান। এর আগেও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কৃতকার্য হয়। কিন্তু বাবার স্বপ্ন মেয়ে ইবিতে আইন বিভাগে অধ্যায়ন করবে।


ওই অভিভাবক জানান, ৯৫ হাজার শিক্ষার্থীদের মধ্যে আইন বিভাগে ভর্তি হতে পারাটা ভাগ্যের ব্যাপার। সেই ভাগ্যটা আমার সন্তানের প্রতি আশীর্বাদ হিসেবে ধরা দিক এই প্রার্থনা করি। একজন সন্তানের প্রতি বাবার চেয়ে মা-ই দেখাশোনা করার সুযোগ বেশি পায়। এদিকে আমি একজন ব্যবসায়ী হওয়ায় দেখাশোনা করার তেমন সুযোগ থাকে না। রাজবাড়ী থেকে ইবি নিকটবর্তী বলে এখানে রাখার স্বপ্ন দেখি। বাকিটা সৃষ্টির্তায় ভালো জানে। আমার মেয়েটা মেধাবী বলে এতটুকু প্রত্যাশা রাখি। ওদের বয়স হয়ে গেছে। স্বপ্ন পূরণের দায়িত্ব তাদের নিজের। আমরা শুধু সাপোর্ট করে যেতে পারি।


আরও পড়ুন: ইবির শেখ রাসেল হল প্রভোস্টের দায়িত্বে অধ্যাপক ড. মুর্শিদ আল


এদিকে শিক্ষার্থী শিকফা বলেন, আমার চেয়ে আমার আব্বুর স্বপ্ন বেশি। বি ইউনিটে যেহেতু আইন সর্বোচ্চ টপ পজিশনে আছে। চাকরি লেভেলে চাহিদা বেশি। সুতরাং স্বপ্ন দেখি আইনে পড়ার। আব্বু আম্মুর আশীর্বাদে আইনে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাব বলে আশা করি।


 প্রসঙ্গত, এদিন বেলা ১১টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬টি একাডেমিক ভবনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবরেটরি স্কুলে মানবিক বি ইউনিটের পরীক্ষা শুরু হয়ে বেলা ১২ টা পর্যন্ত চলে। ইবি কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থী ছিল সাত হাজার ২৪৬। এরমধ্যে উপস্থিত ছিলেন ছয় হাজার ৭৮১ জন। যা হিসেব অনুযায়ী মোট ভর্তিচ্ছুর ৯৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ।



আরএক্স/