সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে গিয়ে পুরুষ হারাচ্ছেন বাবা হওয়ার ক্ষমতা

নিজেকে সুবলিষ্ঠ ও আকর্ষনীয় হিসেবে উপস্থাপন করতে গিয়ে বাবা হওয়ার ক্ষমতা হারাচ্ছেন অনেক পুরুষ। দিন দিন এই প্রবণতা বেড়েই চলেছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, নিজেকে অত্যন্ত শক্তিশালী পুরুষ হিসেবে প্রমাণ করতে অনেক পুরুষ কৃত্রিম পদ্ধতির সহায়তা নিয়ে থাকেন যা কেড়ে নিচ্ছে সন্তান জন্মদানের ক্ষমতা।

তারা বলছেন, শরীরকে পেশীবহুল রাখতে গিয়ে অনেক পুরুষ স্টেরয়েড ব্যবহার করেন, যা তাদের শরীরে শুক্রাণু সংখ্যা কমিয়ে দিতে পারে।

এছাড়া মাথার চুল পড়ে যাওয়া রোধ করতে অর্থাৎ টাক থেকে নিজেকে বাঁচাতে গিয়ে যে সকল চিকিৎসা নিয়ে থাকেন তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া স্বরূপ পুরুষের শুক্রাণু উৎপাদন প্রক্রিয়া।

আরও পড়ুন: চিন্তামুক্ত ঘুম চান? মেনে চলুন নিয়মগুলো

যুক্তরাষ্ট্রের ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জেমস মোসাম জানিয়েছেন, নিজেদের সন্তান উৎপাদন ক্ষমতা পরীক্ষা করাতে আসা পুরুষের সংখ্যা অনেক বেড়েছে।

তিনি গভীরভাবে লক্ষ্য করে দেখেছেন, এই পুরুষদের প্রায় সবার মধ্যেই স্টেরয়েডের অতি ব্যবহার ছিল একটি সাধারণ বিষয়।

তারা সবাই পেশীবহুল শরীর তৈরি এবং মাথায় কৃত্রিম উপায়ে চুল বৃদ্ধির জন্য ওষুধ ব্যবহার করেছেন।"এর ফলে তাদের শুক্রাণু সংখ্যা এত কমে যায় যে তারা একেবারেই সন্তান উৎপাদন করতে পারছিলেন না।"

আরও পড়ুন: দারিদ্রতা না প্রাচুর্যতা, সন্তানকে কী শেখাবেন?

কিভাবে স্টেরয়েড এই ক্ষতি করে-

পেশল শরীর তৈরি করার জন্য যে অ্যানাবলিক স্টেরয়েড ব্যবহার হয়, তা পুরুষের হরমোন টেস্টোস্টেরনের নিঃসরণ বাড়ানোর কথা।

কিন্তু অ্যানাবলিক স্টেরয়েডের কারণে মস্তিষ্কের পিটুইটারি গ্লান্ড শুক্রাণু তৈরির দুটি মূল হরমোন এফএসএইচ ও এলএইচের উৎপাদন কন্ধ করে দেয়।

একই ঘটনা ঘটে যখন কোন পুরুষ চুল পড়া রোধ করার জন্য তৈরি ওষুধ ব্যবহার করে থাকেন।

ড. মোসাম বলছেন, "এর ফলে একজন পুরুষ ৯০ শতাংশ পর্যন্ত সন্তান উৎপাদনে অক্ষম হয়ে যেতে পারেন।""এটা একটা আজব বিষয় যে পুরুষ নারীকে আকর্ষণ করার জন্যই জিমে যাচ্ছেন, স্টেরয়েড নিচ্ছে, কিন্তু শেষ বিচারে তা তাকে পুরুষত্বহীন করে দিচ্ছে।"

তিনি বলছেন, এই প্রবণতা বন্ধের উপায় সম্পর্কে পুরুষদের সচেতন হতে হবে। সূত্র:বিবিসি 

জেবি/আজুবা