অভাবের তাড়নায় স্ত্রী-কন্যাকে হত্যা করে আত্মহত্যা করেন নঈম


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


অভাবের তাড়নায় স্ত্রী-কন্যাকে হত্যা করে আত্মহত্যা করেন নঈম

একই সাথে পরিবারের তিন সদস‍্যের রহস‍্যজনক মৃত্যু। ঘর থেকে একে একে উদ্ধার করা হল দেহ বাবা-মা-মেয়ের মরদেহ। স্ত্রী ও এক সন্তানের ছোট পরিবার ছিল নঈমের।   

সোমবার (২১ মার্চ) ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের পূর্বসবধমান জেলার কাটোয়া থানার পানুহাট বৈদ‍্যপাড়ায়। 

অভাবের তাড়নায় এই চরম সিদ্ধান্ত  নাকি নেথথ‍্যে রয়েছে অন্য রহস‍্য, তা জানার চেষ্টায় পুলিশ। পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব বধমান জেলার কাটোয়া থানার পানুহাট বৈদ‍্যপাড়ার বাসিন্দা নঈম শেখ ও তাঁর স্ত্রী কামরুন বিবি। এই দম্পতির একমাত্র মেয়ে ছিল নাম পিংকি খাতুন। 

জানা যায়, সোমবার সকাল দশটা বেজে গেলেও ওই পরিবারের কারও সাড়া শব্দ পাননি প্রতিবেশী ও আত্মীয় স্বজনরা। ডাকাডাকি করে সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে তাঁরা। সেই সময় দেখতে পান ঝুলছে নাঈম শেখ। বিছানায় পড়ে রয়েছে তার মেয়ে পিংকি খাতুন(১৪) আর গলায় গামছা জড়ানো অবস্থায় মেঝেতে পড়ে রয়েছে নঈমের স্ত্রী কামরুন বিবি। প্রাথমিকভাবে অনুমান স্ত্রীও মেয়েকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন নঈম শেখ। পুলিশ সকাল প্রায় ১১টায় দেহ তিনটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে প্রেরন করে। ঘটনায় পূর্নাঙ্গ তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কাটোয়ার খাজুরডিহি পঞ্চায়েতের পানুহাট বৈদ‍্যপাড়ার বাসিন্দা  নঈম শেখ ছিলেন পেশায় গাড়িচালক। তারা ছয় ভাই। পাশাপাশি পৃথক সংসারে তারা থাকতেন। নঈম সবার ছোট। 

পরিবার সূত্রে জানা যায়, নঈমের মেয়ে পিংকি খাতুন ছিলেন প্রতিবন্ধী। নবম শ্রেনীর ছাত্রী ছিলেন। অভাবের সংসারে প্রতিবন্ধী মেয়েকে নিয়ে দুঃচিন্তায় থাকতেন দম্পতি। তার জেরেই কি স্ত্রী ও মেয়েকে মেরে আত্মঘাতী হয়েছেন নঈম? নাকি দম্পতি একসঙ্গে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন? এই তিন মৃত্যুর ঘটনায় এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে।

তবে পুলিশ আত্মীয় স্বজন ও প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে।

এসএ/