দ্রুত ওজন কমাতে ওয়াটার ফাস্টিংয়ের যত উপকারিতা


Janobani

জনবাণী ডেস্ক

প্রকাশ: ০৬:৪৫ অপরাহ্ন, ৯ই মে ২০২৪


দ্রুত ওজন কমাতে ওয়াটার ফাস্টিংয়ের  যত উপকারিতা
ছবি: সংগৃহীত

সবার সামনে নিজেকে স্মার্ট ও সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করেন না এমন মানুষ হয়তো খুঁজে পাওয়া দায়। তবে, হঠাৎ ওজন বেড়ে গেলে কপালে পড়ে যায় চিন্তার ভাঁজ। কারণ, অতিরিক্ত ওজনের ফলে শরীরে বাসা বাঁধতে পারে নানা রোগব্যাধি। এজন্য ওজন কমানো জরুরি। তাই ওজন ঝরাতে অনেক রকম ডায়েট করতে শুরু করেন কেউ কেউ। তাতে অনেকে উপকারিতা পান আবার কেউ উল্টো বিপদেও পড়েন।


কিন্তু পুষ্টিবিদরা বলছেন, শুধু পানি পান করেই ঝড়ানো সম্ভব শরীরের অতিরিক্ত ওজন। তারা এটির নামকরণ করেছেন ‘ওয়াটার ফাস্টিং’। ওজন ঝরাতে এই উপায় বেশ কার্যকর।


আসলে ওয়াটার ফাস্টিং কি?


এক কথায় দীর্ঘ সময় শুধু পানি করে থাকা ওয়াটার ফাস্টিং। যারা অল্প সময়ে ওজন কমাতে চান, তাদের প্রতি বেলায় সময় ভাগ করে এই তরল পান করতে হবে। টানা ১৫-২০ দিন ওয়াটার ফাস্টিং করলে খুব সহজেই কমবে ওজন। এক্ষেত্রে সারাদিন আপনি পানি ছাড়া আর কোনো কিছুই খেতে পারবেন না। সেক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য পানি পান করেই পেট ভরাতে হবে। এতে শরীর থেকে ক্ষতিকর পদার্থগুলো বেরিয়ে যায়। বিশেষজ্ঞদের বলছেন, ওয়াটার ফাস্টিং এর সময় চাইলে অর্গ্যানিক কালো কফি, গ্রিন টি’সহ ডিটক্স ওয়াটার পান করা যাবে।


আরও পড়ুন: রোদে বাইকারদের যেসব পরামর্শ না মানলেই বিপদ


সপ্তাহে ২-৩দিন এর বেশি ওয়াটার ফাস্টিং না করাই ভালো। দ্রুত ওজন কমাতে ওয়াটার ফাস্টিংয়ের পাশাপাশি সপ্তাহের অন্যান্য দিন ড্রাই ফাস্টিং করতে পারেন। তবে পুষ্টিবিদের পরামর্শ ছাড়া এ ধরনের ফাস্টিং না করাই উত্তম। আর তাড়াহুড়া করে ওয়াটার ফাস্টিং করলেও চলবে না। ফাস্টিং করার অন্তত সপ্তাহখানেক আগ থেকে ক্ষুধা কমানোর জন্য সুষম খাবার খেতে হবে ও ভাজাপোড়া ও মিষ্টিজাতীয় খাবার পরিহার করতে হবে।


এ সময় অলিভ অয়েল, খাঁটি নারকেল তেল, সরিষার তেলসহ বাটার, ঘি, বাদাম, ডিম, শাকসবজি ও মাছ-মাংস ইত্যাদি প্রতি বেলার খাবারে রাখতে হবে। ফলে, আপনার ফ্যাট অ্যাডাপটেশন দ্রুত হবে অর্থাৎ ক্ষুধা কমে যাবে। এরপর থেকে ওয়াটার ফাস্টিং ও নিয়ম করে ড্রাই ফাস্টিং করে দিনে এক বেলা অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টায় একবার খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। দেখবেন দ্রুত ও স্বাস্থ্যকর উপায়ে আপনি ওজন কমাতে সক্ষম হবেন। আস্তে আস্তে ২৪-৭২ ঘণ্টা পর্যন্তও করতে পারেন ওয়াটার ফাস্টিং। এক্ষেত্রে দিনে ২-৩ লিটার পানি পান করতে হবে। ওয়াটার ফাস্টিং চলাকালীন সময়ে কম পরিশ্রম করতে হবে।


আরও পড়ুন: সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে গিয়ে পুরুষ হারাচ্ছেন বাবা হওয়ার ক্ষমতা


ওয়াটার ফাস্টিংয় করলে আরও যেসব উপকার মেলে-


১. শরীরে অতিরিক্ত ক্ষতিকর পদার্থ জমা হলে অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলোর কার্যকারিতা হ্রাস পায়। পানি পান করে ফাস্টিং করলে শরীর থেকে এসব বিষাক্ত পদার্থ বেরিয়ে যায়।


২. শরীরের কোষগুলির উপর ইনসুলিনের প্রভাব বৃদ্ধি পায়। ফলে রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। তবে এই উপবাস করার আগে ডায়াবেটিসের রোগীদের অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।


৩. শরীরে লেবটিন হরমোনের ক্ষরণ বাড়ে। এই হরমোন ক্ষুধার অনুভূতি নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে ওয়াটার ফাস্টিংয়ে ক্ষুধা কমে ও অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার ইচ্ছেও কমে যাবে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।


৪. পানি পান করলে শরীর কিটোসিস পর্যায় চলে যায়। কিটোসিস পর্যায়ে স্নায়ুর কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়। ফলে মানসিক স্বাস্থ্যও ভালো থাকে।


সূত্র: মেডিকেল নিউজ টুডে/হেলথলাইন


জেবি/আজুবা