ফ্রিপ প্রকল্পের আঞ্চলিক কর্মশাল অনুষ্ঠিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:০৮ অপরাহ্ন, ১৩ই মে ২০২৪
হাওড় অঞ্চলের কৃষির উন্নয়নে ফ্লাড রিকনস্ট্রাকশন ইমার্জেন্সি এসিসটেন্স প্রজেক্ট (ফ্রিপ) এর আঞ্চলিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত।
সোমবার (১৩ মে) ঢাকার ফার্মগেটে অবস্থিত তুলা উন্নয়ন বোর্ড অডিটোরিয়ামে ফ্লাড রিকনস্ট্রাকশন ইমার্জেন্সি এসিসটেন্স প্রজেক্টের আঞ্চলিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: বিএডিসিতে জীবপ্রযুক্তি প্রকল্পের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
ফ্লাড রিকনস্ট্রাকশন ইমার্জেন্সি এসিসটেন্স প্রজেক্ট (ফ্লিপ) এর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ বাদল চন্দ্র বিশ্বাস।
পরিকল্পনা, প্রকল্প বাস্তবায়ন ও আইসিটি উইংয়ের পরিচালক মো: রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত ও প্রকল্পের নোট উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক ড. তৌফিকুর রহমান।
কৃষিবিদ বাদল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, বাংলাদেশের কৃষি হচ্ছে প্রকৃতির সাথে যুদ্ধ করে টিকে থাকা একটি সংগ্রামের নাম। হাওড় এলাকায় ফসল উৎপাদনে আগাম ও আকস্মিক বন্যা, সেচের পানিয় অপ্রতুলতা ইত্যাদি নানাবিধ চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়। প্রকল্পটির আওতায় সময়োপযোগী কৃষি প্রযুক্তি প্রয়োগ, কৃষকদের গ্রুপে সম্পৃক্তকরণ ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সর্বশেষ টেকসই প্রযুক্তি ব্যবহার করে এলাকার শস্য নিবিড়তা বৃদ্ধির পাশাপাশি ভিশন ২০৪১ পূরণের লক্ষ্যে পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে সহায়ক হবে।
আরও পড়ুন: কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে টিএ প্রকল্পের কর্মশালা
তিনি আরও বলেন, এ ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকার ও এডিবি'র অর্থায়নে ফ্লিপ প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তিনি বলেন এ প্রকল্পের মাধ্যমে হাওড় এলাকায় বিভিন্ন ধরনের সেচ অবকাঠামো নির্মান ও যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে অনবাদী জমি আবাদের আওতায় আনা ও জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবেলায় ভূমিকা রাখতে পারবে। কর্মশালায় তিনি আরও উল্লেখ করেন ফ্লিপ প্রকল্প হাওড় অঞ্চলের কৃষকদের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন এবং টেকসই জীবিকায়নে গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
কৃষির গুরুত্ব বিবেচনায় প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন "দেশের এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে" উল্লেখ করে বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ প্রশিক্ষিত ও দক্ষ কর্মী গড়ে তোলার মাধ্যমে অংশ গ্রহন করবে।
পরিকল্পনা, প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং আইসিটি উইংয়ের পরিচালক মো. রেজাউল করিম বলেন, উচ্চফলনশীল ও প্রতিকূলতা সহিষ্ণু নতুন নতুন জাত উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণের ফলে খাদ্যশস্য, সবজি ও ফল উৎপাদনে বৈচিত্র্য এসেছে এবং ফসল উৎপাদনে বাংলাদেশ অদ্ভুতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে। তিনি এ প্রকল্পের জলবায়ু অভিঘাত সহনশীল বিভিন্ন ফসল ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে হাওড় অঞ্চলের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের মাধ্যমে স্মার্ট দেশ গঠনে অগ্রনী ভূমিকা পালন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
কর্মশালায় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তারা প্রকল্পের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড স্লাইড প্রেজেন্টেশনের মাধ্যেমে তুলে ধরেন এবং কর্মশালায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সিলেট অঞ্চলের সিলেট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলা এবং প্রধান কার্যালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ,গবেষণার বিজ্ঞানীবৃন্দ, কৃষক প্রতিনিধি ও উদ্যোক্তা কৃষকসহ ২৫০ জন অংশগ্রহন করেন।
জেবি/এসবি