কুয়াকাটায় ভাসমান যৌনকর্মীদের উৎপাতে অতিষ্ট পর্যটকরা
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৫:৫০ অপরাহ্ন, ১৬ই মে ২০২৪
সাগর কন্যা কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে সন্ধ্যা নামলেই সমুদ্র জুড়ে ভাসমান যৌনকর্মীদের বাজার। এদের উৎপাতে অতিষ্ট দেশ-বিদেশ থেকে আগত পর্যটকসহ স্থানীয় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ও ঐতিহ্যবাহী সমুদ্র সৈকত পটুয়াখালী কুয়াকাটায় প্রতিনিয়ত পর্যটকদের আনাগোনা বেড়েই চলছে।
আরও পড়ুন: কুয়াকাটা সৈকতে পর্যটকের ট্রাভেল ব্যাগ চুরি করার সময় আটক ৩
এদিকে নাগরিক কোলাহল থেকে মুক্তি পেতে প্রকৃতির কাছে ছুটে আসছে ভ্রমণপিয়াসু পর্যটকরা। একে কেন্দ্র করে স্থানীয় প্রভাবশালী ও প্রশাসনের ছত্রছায়ায় সৈকত এলাকায় ভাসমান যৌনকর্মীদের দৌরাত্ম বৃদ্ধি বেড়েই চলেছে। প্রতিদিন সন্ধার পর থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত সৈকতের জিরো পয়েন্টের পূর্ব পাশে ট্যুরিজম পার্ক সংলগ্ন এলাকায় ১০/১২ জনের বহিরাগত একটি নারী চক্রের আনাগোনা। সৈকতে ঘুরে ঘুরে খদ্দের যোগাড়ে নামে এসব যৌনকর্মীরা । সৈকতে ভ্রমণে আসা যুবক পর্যটক ও স্থানীয়রা এদের টার্গেট।
ভ্রমণে আসা নানা শ্রেণী পেশার বয়সী পর্যটক ও স্থানীয়রা হয়ে যায় এদের খদ্দের। সৈকত থেকে খদ্দের নিয়ে বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে নিয়ে ওঠে।
আবাসিক হোটেলে চুক্তি ভিত্তিক রাত্রি যাপনসহ স্বল্প সময়ের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় ওই পর্যটকদের। কতিপয় আবাসিক হোটেল ম্যানেজার, বয়, মটোর বাইক চালক, সৈকতের ক্ষুদ্র ব্যবসায়িরা এদের দালাল হিসেবে কাজ করে থাকে। এসব পতিতারা খদ্দেরদের ইয়াবাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক সরবরাহ সহ মাদক কারবারিদের সাথে যোগসূত্র রয়েছে ।
আরও পড়ুন: শ্রমিকদের বেতন-বোনাস ঈদের আগেই দেওয়ার সিদ্ধান্ত
সরেজমিনে দেখা গেছে, সৈকতের জিরো পয়েন্টের পূর্ব পাশে ট্যুরিস্ট পুলিশ বক্সের সামনেই ট্যুরিজম পার্ক সংলগ্ন এলাকায় প্রতিদিন সন্ধার পর থেকে রাত ১২ টা পর্যন্ত এক ডজনেরও বেশি পতিতাদের আনাগোনা । ট্যুরিস্ট পুলিশ সদস্যদের নাকের ডগায় এসব পতিতারা খদ্দের যোগাড় করে থাকে। ট্যুরিস্ট পুলিশের এমন নমনীয় ভূমিকায় হতাশ সাধারণ পর্যটকসহ স্থানীয়রা।
কুয়াকাটা (ভারপ্রাপ্ত) ট্যুরিস্ট সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ আবুল কালাম আজাদ বলেন, সৈকতে ভাসমান যৌনকর্মীদের আনাগোনা রয়েছে। যৌনকর্মীরা যাতে বিচে অবস্থান করতে না পারে এজন্য অভিযান পরিচালনা করা হয়। পতিতাবৃত্তির বিষয়টি পুরোপুরি পরিলক্ষিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ৷
আরএক্স/