দুবাইয়ে বাংলাদেশিদের ৪৪১৫ কোটি টাকার সম্পত্তি, যা জানাল দুদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:১৩ অপরাহ্ন, ১৭ই মে ২০২৪
মধ্যপ্রাচ্যের ধনকুেবেরের শহর দুবাইয়ের আবাসন খাতে সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলা ধনাঢ্য ব্যক্তিদের তালিকায় রয়েছেন ৫৩২ বাংলাদেশি। দেশটিতে তাদের তাদের ৪ হাজার ৪১৫ কোটি টাকা মূল্যের সম্পত্তি রয়েছে।
সম্প্রতি ফ্রান্সভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইইউ ট্যাক্স অবজারভেটরি (ইউট্যাক্স) দুবাইয়ে বাংলাদেশিদের সম্পদের তথ্য দিয়েছে।
আরও পড়ুন: দুবাইয়ে ৩৯৪ বাংলাদেশির সম্পদের পাহাড়
প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, ২০২২ সালে দুবাইয়ের আবাসন বাজারে ৫৩২ বাংলাদেশি মোট ৩৭ কোটি ৭৪ লাখ ডলার বিনিয়োগ করেছে। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪ হাজার ৪১৫ কোটি টাকার (১ ডলার সমান ১১৭ টাকা) বেশি।
প্রতিবেদনে ইউট্যাক্স জানায়, ফাঁস হওয়া তথ্যের সঙ্গে ফাঁস না হওয়া তথ্যও আমলে নিয়েছে গবেষণা সংস্থাটি। তবে এসব সম্পত্তির মালিক কারা, তা প্রতিবেদনে জানানো হয়নি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দুবাই শহরে প্রস্তুত বা অপ্রস্তুত আবাসন সম্পত্তি কিনেছেন এবং তথ্য ফাঁস হয়েছে এমন বাংলাদেশির সংখ্যা ২০২২ সালে ছিল ৩৯৪ জন। ওই বছর তারা ৬৪১টি সম্পত্তি কেনেন, যার দাম ২২ কোটি ৫৩ লাখ ডলার। আর ২০২০ সালে শহরটিতে প্রস্তুত ও অপ্রস্তুত আবাসন সম্পত্তি কেনা ৪০৫ জন বাংলাদেশির তথ্য ফাঁস হয়েছে। ওই বছর তাঁদের কেনা ৬৫৭টি সম্পত্তির মূল্য ছিল ২১ কোটি ১২ লাখ ডলার। অর্থাৎ ২০২০ সালের তুলনায় ২০২২ সালে কমসংখ্যক সম্পত্তি কিনলেও বাংলাদেশিদের সম্পত্তির মূল্য ছিল বেশি।
দুদক কমিশনার (তদন্ত) মো. জহুরুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বিষয়টি নতুন। তথ্যগুলো সম্পর্কে আরও বিস্তারিত খোঁজখবর নিতে হবে। এরপর দুদকের উদ্যোগ বা করণীয় সম্পর্কে বলা যাবে।’
আরও পড়ুন: ৪৬৮ হজযাত্রী বহনকারী বিমানে আগুন, জরুরি অবতরণ
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুর্নীতি দমন কমিশনের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘দুদক তার শিডিউলভুক্ত অপরাধের অনুসন্ধান ও তদন্ত করবে। বিদেশে অর্থপাচারের যেসব তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে, কমিশনের সেদিকে নজর রয়েছে। কমিশন অনুমোদন দিলে শিগগিরই এ বিষয়ে অনুসন্ধানের জন্য টিম গঠন করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিদেশে অর্থপাচারের অনুসন্ধান কাজ বেশ জটিল ও সময়সাপেক্ষ। তবে সব সংস্থার সমন্বয় থাকলে তা দ্রুত সম্পন্ন করা সম্ভব। দুদক বিদেশ থেকে পাচারের টাকা ফেরত আনার নজির এর আগেই স্থাপন করেছে।’
জেবি/এজে