পাপুয়া নিউগিনিতে ভূমিধস, শতাধিক মানুষের জীবন্ত সমাধি


Janobani

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ০৭:০০ অপরাহ্ন, ২৪শে মে ২০২৪


পাপুয়া নিউগিনিতে ভূমিধস, শতাধিক মানুষের জীবন্ত সমাধি
ছবি: সংগৃহীত

পাপুয়া নিউগিনির উত্তরাঞ্চলের দুর্গম এলাকার এনগা প্রদেশের কাওকালাম গ্রামে বড় আকারের ভূমিধসে অন্তত ১০০ জনের প্রাণহানি হয়েছে। এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। বৃহস্পতিবার (২৩ মে) স্থানীয় সময় রাত ৩টার দিকে ভূমিধসের এ ঘটনা ঘটে। ওই সময় গ্রামটির বেশিরভাগ বাসিন্দা গভীর ঘুমে আছন্ন ছিলেন।


কাওকালাম গ্রামের বাসিন্দা নিঙ্গা রোলে টেলিফোনে রয়টার্সকে বলেন, ভূমিধসে কমপক্ষে ৫০টি বাড়ি ধ্বংস হয়েছে। গভীর রাতে সবাই ঘুমিয়েছিলেন, তাই দুর্যোগের সময় অধিকাংশই বাড়ি থেকেই বের হতে পারেননি কেউ। ফলে, এই ৫০টি বাড়িতে বসবাসকারী মানুষের মধ্যে অল্প কয়েকজন বাদে বাকি সবার মৃত্যু হয়েছে জীবন্ত অবস্থায় মাটিচাপা পড়ে।


আরও পড়ুন: নিজ জন্মশহরেই চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন রাইসি


কাওকালাম গ্রামটির পাপুয়া নিউগিনির এঙ্গা প্রদেশে, রাজধানী পোর্ট মোরেসবি থেকে ৪০০ কিলোমিটার উত্তরে এর অবস্থান। নিঙ্গা রোলে সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু ছবি ও ভিডিও ফুটেজ আপলোড করেছেন। আর সেসব ফুটেজে দেখা গেছে, লোকজন ধ্বংস্তূপ থেকে পাহাড় ও গাছের শেকড় বেয়ে ওপরে ওঠার চেষ্টা করছেন।


রয়টার্সকে রোলে বলেন, ‘গ্রামের যে এলাকায় ভূমিধস সংঘটিত হয়েছে, সেটি খুব দুর্গম এলাকা। ওই এলাকার প্রায় চারপাশ ঘিরে পাহাড় আর বড় বড় গাছ রয়েছে। ফলে যারা বেঁচে আছে এখনও, তাদের সেখান থেকে বের করে আনা কঠিন হয়ে পড়েছে।’


আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য করার পক্ষে ১৪৩ দেশ


পাপুয়া নিউগিনির প্রধানমন্ত্রী জেমস মারাপে শুক্রবার (২৪ মে) এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘ভূমিধস কবলিত এলাকাটি দুর্গম এবং সেখানে উদ্ধার তৎপরতা চলাতে আমরা ইতোমধ্যে দুর্যোাগ মোকাবিলা বাহিনী, পুলিশ ও সেনা সদস্যদের সমন্বয়ে একটি যৌথ দল গঠন করেছি। এছাড়া মাটির স্তূপ থেকে মরদেহ উদ্ধার, সৎকার ও ত্রাণ তৎপরতা পরিচালনা করতে সরকারি কর্মকর্তাদের বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’


কাওকালাম গ্রামের কাছেই পোরগেরা স্বর্ণের খনি। আর সেই খনির একাংশও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভূমিধসের কারণে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, স্বর্ণ আহরণের জন্য খনি অঞ্চলে অপরিকল্পিত খোঁড়াখুঁড়িই এ ধসের কারণ হতে পারে সূত্র: রয়টার্স


এমএল/