সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রেম, প্রেমিকের সঙ্গে ঘুরতে এসে ধর্ষণের শিকার তরুণী


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৭:৫৭ অপরাহ্ন, ২৪শে মে ২০২৪


সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রেম, প্রেমিকের সঙ্গে ঘুরতে এসে ধর্ষণের শিকার তরুণী
ফাইল ছবি

সোশ্যাল মিডিয়ার পরিচয় থেকে প্রেম। এরপর বৃহস্পতিবার (২৩ মে) বিকেলে প্রেমিক পলাশ দাশের সাথে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ঘুরতে যান ওই তরুণী। পরে ওই তরুণীকে মেঘনা নদীর পাশে একটি জঙ্গলের ঝোপে নিয়ে ধর্ষণ করেন প্রেমিক পলাশ দাস। এ সময় বিষয়টি কয়েকজন ছিনতাইকারী দেখে ফেলেন। এরপর ছিনতাইকারীদের একজন ওই তরুণীকে আবারও ধর্ষণ করেন। এ ঘটনায় প্রেমিকসহ ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।


বৃহস্পতিবার (২৩ মে) ৭টা ৩০ মিনিটে ভৈরব মেঘনা নদীর পাড়ের রেলওয়ে জোড়া সেতু সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।


গ্রেফতারকৃতরা হলেন প্রেমিক নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার পিরিজকান্দি গ্রামের মনিন্দ্র দাসের ছেলে পলাশ দাস (১৮), একই এলাকার সেন্টু মিয়ার ছেলে রাব্বি (১৯), ভৈরব শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকার সুমন মিয়ার ছেলে নির্জন ওরফে আরিয়ান (১৭), শহরের ভৈরবপুর দক্ষিণ পাড়া এলাকার সুজন মিয়ার ছেলে সান (১৭), শহরের কমলপুর এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে পাপন (১৮), একই এলাকার আংগুর মিয়ার ছেলে আবদুল্লাহ (১৮), শহরের চন্ডিবের এলাকার মিলন মিয়ার ছেলে হাসান (১৭) ও একই এলাকার আনাস মিয়ার ছেলে ফুয়াদ (১৯)।


আরও পড়ুন: গাজীপুরে আগুনে পুড়ল কলোনির ৭০ কক্ষ


এদের মধ্যে প্রেমিক পলাশ দাস ও নির্জন তরুণীকে ধর্ষণ করেন। বাকি ছয়জন তাদের সহযোগিতা করেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।


এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার ভুক্তভোগী তরুণীর বাবা বাদী হয়ে ভৈরব থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। ভুক্তভোগী ওই তরুণীর বাড়ি কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলায়। শুক্রবার (২৪ মে) আসামিদের কিশোরগঞ্জ আদালতে চালান দেওয়া হয়। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য তরুণীকে কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।


মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, প্রেমিক পলাশের সাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচয় হয় ওই তরুণীর। বৃহস্পতিবার তারা প্রথমে ভৈরবের মানিকদি এলাকার সেতু সংলগ্ন একটি রেস্টুরেন্টে আড্ডা দেন। পরে বিকেলের দিকে তারা দুজন মেঘনা নদীর পাড়ে ঘুরতে যান। সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলে নদীর পাড়ের একটি ঝোপে নিয়ে পলাশ দাস ওই তরুণীকে ধর্ষণ করেন। এ সময় ঘটনাটি দেখে ফেলেন ওই এলাকায় অবস্থানরত কয়েকজন ছিনতাইকারী। পরে তারা দুজনকে আটক করে দুটি মোবাইলসহ টাকা-পয়সা কেঁড়ে নেন। পরে নির্জন নামের এক ছিনতাইকারী আবারও ওই তরুণীকে ধর্ষণ করেন। এ সময় তরুণীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন জড়ো হন। পরে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে তাৎক্ষণিক থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ওই তরুণীসহ ৮ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।


আরও পড়ুন: পাসপোর্ট অফিস থেকে কিশোর গ্যাংয়ের ২ সদস্য গ্রেফতার


ভুক্তভোগী তরুণীকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করলে শুরুতে তিনি নির্জনের নাম বললেও প্রেমিক পলাশ দাসের কথা সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন। পরবর্তীতে আসামিদের সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে তিনি পলাশ দাসের কথা স্বীকার করে নেন।


ভৈরব থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, আসামিদের গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তরুণীর মেডিকেল রিপোর্ট পাওয়ার পর পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


এমএল/