বাগেরহাটে আশ্রয় কেন্দ্রে ছুটছে মানুষ


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৯:৫৬ অপরাহ্ন, ২৬শে মে ২০২৪


বাগেরহাটে আশ্রয় কেন্দ্রে ছুটছে মানুষ
ছবি: প্রতিনিধি

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটে সকাল থেকে থেমে থেমে বৃষ্টিপাত ও দমকা হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। সময়ের সাথে সাথে বাড়তে থাকা বৃষ্টিপাত ও দমকা হাওয়ায় জেলার শরণখোলা, মোংলা, রামপাল ও মোরেলগঞ্জ উপজেলার নদী তীরবর্তী মানুষের মাঝে বেশ আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। 


এমন অবস্থায় রবিবার (২৬ মে) বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত জেলার ৩৫৯টি আশ্রয় কেন্দ্রে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে বলে জেলা প্রশাসনের এক তথ্যে জানা গেছে। এছাড়া রিমালের প্রভাবে জীবনহানি ও ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, রেডেক্রিসেন্টসহ বিভিন্ন সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবিরা লোকজনকে আশ্রয় কেন্দ্র নিতে কাজ করে যাচ্ছে।


আরও পড়ুন: রেমালের প্রভাবে তলিয়ে গেল সুন্দরবন


এদিকে বাগেরহাটে দুপুর থেকেই বইতে শুরু করেছে ঝড়ো হাওয়া। জেলার সকল নদ-নদীর পানি ২ থেকে ৩ ফুট বৃদ্ধির ফলে শরণখোলা, মোরেলগঞ্জ, রামপাল, মোংলা, বাগেরহাট সদর ও কচুয়া উপজেলার শতাধিক গ্রামের নিম্নঞ্চল ৫ থেকে ৬ ফুট পানিতে তলিয়ে গেছে।প্লাবিত হয়েছে কয়েক হাজার ঘরবাড়ি।


বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মো. খালিদ হোসেন বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবেলায় বাগেরহাটে ৩৫৯টি আশ্রয় কেন্দ্রের পাশাপাশি নদী তীরবর্তী উপজেলা গুলোতে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এসব আশ্রয় কেন্দ্রে গুলোতে ২ লক্ষেরও বেশি মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে। এছাড়া ৩ হাজার ৫শ ৫ জন স্বেচ্ছাসেবক ও ৮৮টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। খোলা হয়েছে ১০টি কন্টোল রুম। বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে ৬৪৩ মেট্রিকটন চাল ও ৫লক্ষ ৫০ হাজার টাকা।


আরও পড়ুন: মোংলায় ৬০ জন যাত্রী নিয়ে নৌকাডুবি  


এছাড়াও জেলার ৯টি উপজেলার সকল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সকল কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিলের পাশাপাশি উপকূলের ঝুঁকিপূর্ণ বেরিবাধ এলাকা গুলোতে বিশেষ নজরদারিতে রাখা হচ্ছে।  


এমএল/