বাংলাবান্ধায় পুলিশ পরিচয়ে যুবক অপহরণ


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৫:৫৪ অপরাহ্ন, ২৭শে মে ২০২৪


বাংলাবান্ধায় পুলিশ পরিচয়ে যুবক অপহরণ
ছবি: প্রতিনিধি

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা এলাকা থেকে পিস্তল ও ওয়াকিটকি হাতে এক যুবককে পুলিশ পরিচয়ে তুলে নিয়ে গেছে। বিষয়টি নিয়ে তেতুঁলিয়া থানায় সাধারন ডায়রি করেছে তার পরিবার। দুদিন পেরিয়ে গেলেও তার সন্ধান পায়নি পুলিশ। তার নাম সাগর হোসেন (২৩) পিতা মহসিন আলী বাড়ি বাংলাবান্ধা এলাকায়। তবে পুলিশ দাবি করেছে তাদের কোন সদস্য এমন কাউকে গ্রেফতার বা আটক করেনি। 


জানা যায়, শনিবার (২৫ মে) সকালে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর এলাকায় একটি পরিবহণের টিকিট কাউন্টার থেকে একটি সাদা মাইক্রোবাসে সাধারণ পোশাকের কয়েকজন যুবক আইনের লোক পরিচয়ে তাকে তুলে নিয়ে যায়।

 

এদিকে সাগরের পরিবার ও স্থানীয়রা জানায়, সাগর আগে পাথরের ব্যবসা ও গাড়ি চালকের কাজ করলেও কয়েক মাস ধরে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর এলাকায় শ্যামলী পরিবহণের একটি কাউন্টারে বুকিং সহযোগী হিসেবে কাজ করছিলেন।


আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে কমলা গাছের চারা পেয়ে আনন্দিত কোমলমতি শিক্ষার্থীরা


শনিবার সকালে ওই প্রতিষ্ঠান থেকে একটি সাদা মাইক্রোবাসে সাদা পোশাকের কয়েকজন যুবক পুলিশ পরিচয়ে তাকে নিয়ে যায়। তাদের হাতে পিস্তল ও ওয়াকিটকি ছিলো। কিন্তু পরে জেলার কোন পুলিশ এমন কাউকে গ্রেফতার করেনি বলে নিশ্চিত হয়েছে তার পরিবার। এ নিয়ে এদিন রাতে তেঁতুলিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি করে। এই দলের সদস্যরা বাংলাবান্ধার ধানসিঁড়ি ইন্টারন্যাশনাল আবাসিক হোটেলে উঠেছিলেন বলে জানা গেছে। 


সাগরের বাবা মহসিন আলী বলেন, আমার ছেলেকে আইনের লোক পরিচয় দিয়ে তুলে নিয়ে গেছে। কারা নিয়ে গেছে জানতে পারিনি। তবে পুলিশ বলছে তারা এমন কাউকে আটক করেননি। আমার ছেলের সাথে কি হয়েছে আমরা জানি না। এ নিয়ে আমরা বেশ আতঙ্কের মধ্যে আছি। আমার ছেলেকে উদ্ধারের ব্যবস্থা করুন।


ধানসিঁড়ি আবাসিক হোটেলের ম্যানেজার হাসিবুর রহমান বলেন, আমাদের হোটেলে আটজন তিনটি রুম বুকিং দিয়ে অবস্থান করেছিলেন। তাদের কাছে পিস্তল ও ওয়াকিটকি ছিলো। তারা যে এনআইডি দিয়ে বুকিং দিয়েছিল সেটির ঠিকানা রাজবাড়ি এলাকার। আমরা পুলিশকে সিসি টিভির ফুটেজ ও তথ্য দিয়েছি। তবে তারা কাউকে তুলে নিয়ে গেছে কিনা আমরা জানিনা। 


আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ইস্কাফ ও ফেন্সিডিলসহ মাদক ব্যাবসায়ী গ্রেফতার


ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মোজাফ্ফর হোসেন বলেন, আমাদের কেউ এমন কাউকে আটক বা গ্রেপ্তার করেনি। তবে এ বিষয়ে পুলিশ কাজ করছে।


তেঁতুলিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সুজয় কুমার রায় বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি জিডি হয়েছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে বেশ গুরুত্বের সাথে কাজ করছি।


এমএল/