মুন্সীগঞ্জে গৃহবধুকে মারধরের পর নিখোঁজের প্ররোচনা লম্পট স্বামীর


Janobani

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫:০৬ অপরাহ্ন, ২৯শে মে ২০২৪


মুন্সীগঞ্জে গৃহবধুকে মারধরের পর নিখোঁজের প্ররোচনা লম্পট স্বামীর
ছবি: প্রতিনিধি

মুন্সীগঞ্জে গৃহবধুকে মারধরের পর নিখোঁজের প্ররোচনা লম্পট স্বামী ইমরান হোসেনের। ঘটনাটি ঘটেছে মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের যোগীনিঘাট (দক্ষিন ইসলামপুর) এলাকার মো. আব্দুল হাকিম বেপারী বাড়িতে। 


অভিযোগের আলোকে জানাযায়, রবিবার (১৯ মে) পারিবারিক কলহের জের ধরে গৃহবধু তানজিলা আক্তার (২০) কে বেদম প্রহার করে তার স্বামীসহ পরিবারের সদস্যরা। অথচ ঐ গৃহবধু বাড়ি থেকে নিখোঁজ রয়েছে এমন অভিমত স্বামী ইমরান ও তার পরিবারের লোকজনের। ঘটনার সংবাদ পেয়ে সদর উপজেলার ভাষানচর (দক্ষিন কান্দি) গ্রামের ইকবাল হোসেন ও তার স্ত্রীসহ ছুটে আছেন মেয়ের খোজঁ-খবর নিতে। এসে দেখেন তাদের মেয়ে স্বামীর বাড়িতে নেই। মেয়ে কোথায় জানতে চাইলে মেয়ের জামাই ইমরানসহ তার বাড়ির লোকজন তাদের উপর চড়াও হয়ে মারধরের উপক্রম হয়।


পরিশেষে মেয়েক দেখতে না পেয়ে বাবা ইকবাল ও তার স্ত্রী আশে পাশের মানুষের কাছে খোঁজ-খবর নিয়ে জানতে পারে যে, ঘটনার দিন তানজিলাকে মারধর করেছে যৌতুকলোভী পরিবার। কোন উপায় খোজে না পেয়ে ইকবাল হোসেন চলে যান আইনী সহযোগিতার জন্য মুন্সীগঞ্জ থানায়। গিয়ে দেখেন থানায় এক পুলিশ অফিসারের কক্ষে বসে আছে মেয়ের জামায়ের বড় ভাই মাসুম বেপারী। তাকে দেখে চড়াও হয়ে যায় এবং থানা পুলিশকে বলেন ওরা কোন অভিযোগ করলে আমলে না নিতে। পরে ইকবাল হোসেন তার মেয়েকে ফিরে পেতে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্তরা হলেন ইমরান হোসেন (২৫) পিতা আব্দুল হাকিম (৬৫), রোজিনা আক্তার (৩০), মাসুদা বেগম (৫০), মাসুম (৩৫)সহ অজ্ঞাতনামা আরো অনেকে। 


আরও পড়ুন: মুন্সীগঞ্জে ৯০২ পিস ইয়াবাসহ মহিলা মাদক ব্যবসায়ী আটক  


থানায় অভিযোগের আলোকে সদর থানার এস আই নাজমুল তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে সরেজমিনে গিয়ে তদন্ত করার পরেও, ঘটনার ১০দিন অতিবাহিত হলেও আদৌও তানজিলার কোন খোজঁ-খবর পাওয়া যায়নি। এদিকে মেয়েকে খুঁজে না পেয়ে শোকের মাতম তার পরিবারে।


প্রসঙ্গত, তানজিলা আক্তারকে ইমরানের সহিত বিবাহ দেন ১৩/১২/২০২১ সালে। বিয়ের সময় মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে তানজিলার বাবা ইকবাল হোসেন সাড়ে ৩ ভরি স্বর্ণ ও নগদ প্রায় ৪ লাখের বেশি টাকা দেন। এরপরেও যৌতুকলোভী লম্পট স্বামী ইমরান ও তার পরিবার বারবার আরও মোটাঅংকের টাকার জন্য গৃহবধু তানজিলাকে চাপ সৃষ্টি করে। বাবার বাড়ি থেকে টাকা না এনে দিলেই তানজিলাকে মারধর করত। তানজিলার বাবার দাবী তার মেয়েকে মেরে লাশগুম করে এখন তার শুশুরবাড়ির লোকজন নিখোঁজের প্ররোচনা চালাচ্ছে।


আরও পড়ুন: মুন্সীগঞ্জে সালফিউরিক এসিড বিক্রি-ট্রাকসহ আটক ৩


অন্যদিকে ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ে সরেজমিনে গেলে এলাকাবাসি জানায়, আব্দুল হাকিম পর ধনলোভী লোক সে তার বড় ছেলেকে অনেক বড়লোক এক পরিবারে বিয়ে করান মোটা অংকের টাকা যৌতুক নিয়ে। পরে বিয়ের কয়েকমাস যেতেই বিভিন্ন কেলেঙ্কারী করে ছেলের বউয়ের নামে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে যৌতুকের টাকা আত্মসা করে ফেলে। এটা তার টাকা ইনকামের নতুন কৌশল।


ভুক্তভোগী বাবা ইকবাল হোসেনের দাবী অবিলম্বে তার মেয়ে তানজিলাকে খুঁজে তার কাছে ফিরেয়ে দিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।


এমএল/